২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০১:৪৫:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


নিউরো হাসপাতালের সক্ষমতা উন্নত দেশের সাথে তুলনাযোগ্য
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৩-২০২৪
নিউরো হাসপাতালের সক্ষমতা উন্নত দেশের সাথে তুলনাযোগ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হসপিটাল


নিউরো হাসপাতালের সক্ষমতা এখন বিশ্বের যেকোনো উন্নত দেশের সাথে তুলনার যোগ্য করে তুলেছেন। দিন দিন নিউরো রোগীদের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে পাওয়া যাচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেছেন। 

গত ৫ মার্চ মঙ্গলবার শাহবাগস্থ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশান হলে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরো সার্জন্স কর্তৃক আয়োজিত সোসাইটি অব নিউরো সার্জন্স অব বাংলাদেশ (এসএনবি) এর ১০তম জাতীয় নিউরোলজি কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। 

নিউরো চিকিৎসায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় কোন অংশেই কম নেই উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউরো হাসপাতালকে ৩০০ বেড থেকে বৃদ্ধি করে ৫০০ বেডে নিয়ে এসেছেন। ঐসব রোগীদের যাতে কষ্ট করে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে আসতে না হয় সেজন্য আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে নিউরো চিকিৎসা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হতে কাজ শুরু করছি।

মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের নানা রকম সমস্যা ও প্রতিকূলতা যে আছে তা আমি জানি। কিন্তু মানুষকে চিকিৎসা তো দিতে হবে। জাতীয় সংসদে গেলে সংসদ সদস্যরা আমাকে বলেন তার এলাকায় চিকিৎসক থাকে না। যেখানেই যাই সেখানেই হাসপাতালে ডাক্তার থাকে না শুনতে পাই। এগুলো তো ভালো কথা না। উপজেলা হাসপাতালে যদি ডাক্তার থাকতে না চায় তাহলে গ্রামের মানুষ কোথা থেকে ভালো চিকিৎসা পাবে। আমি বারবার বলেছি; চিকিৎসা খাতে সুনাম ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদেরকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের রুট লেভেল পর্যন্ত ভালো চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে হবে। হ্যাঁ, প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকদের কিছু অসুবিধা আছে আমি জানি। এসব অসুবিধা আমি নোট করছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা চিকিৎসা সেবা দিতে যাবে তাদের জন্য কী কী ইনসেনটিভ রাখা যায় সেগুলো নিয়ে আমি কাজ শুরু করেছি। আমি চিকিৎসকদের সুবিধা যেমন দেব, চিকিৎসকদেরকেও রোগীদেরকে সেবা বুঝিয়ে দিতে হবে। চিকিৎসকরা গ্রামে গিয়ে মানুষকে শুধু সেবা দিক, আমি তাদের সব সুবিধা বাড়িয়ে দিব।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, চিকিৎসকদের উন্নত সেবা দিতে হলে ভালো মানের চিকিৎসা বিজ্ঞানের বই পড়তে হবে। চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধিতে চিকিৎসকদের আরো কাজ করতে হবে, নতুন নতুন চিকিৎসা গবেষণায় মন দিতে হবে।

সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ বদরুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, স্বাচিপের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বাচিপ মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান মিলন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়াসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন সোসাইটি অব নিরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর আবু নাসির রিজভী।

শেয়ার করুন