২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৫:৩৮:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


গুম হত্যা নির্যাতন চিত্র বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে মাঠে বিএনপি
বিএনপির কৌশলে সরকার মার খেয়েছে
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৯-২০২২
বিএনপির কৌশলে সরকার মার খেয়েছে


আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুমসহ নিপীড়ন নির্যাতনের পাশাপাশি সরকারের মানবাধিকার লংঘনের বিষয় তুলে ধরতেই বিএনপি রাজপথে আন্দোলন কমসূচির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই, একই সাথে সুশাসনের অভাবের বিষয়টি তুলে ধরতে চায় দলটি। আর একারণে বিএনপি একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে মামলা হামলা তোয়াক্কা না করেই। খবর সংশ্লিস্ট সূত্রের। 

বিএনপির সাম্প্রতিক কিছু কর্মসূচি

বিএনপি’র পক্ষ থেকে চলতি বছর মে মাসে দুই ইস্যুতে ১২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল । মে’তে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টানা ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। আবার ২৯ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। একই মাসে সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। ১২ মে ঢাকা মহানগরে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

একই ইস্যুতে ১৪ মে সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করে দলটি। এর পর দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশের মহানগরীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিএনপি । এর পর জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দলীয় নেতা নূরে আলম ও আবদুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ২২ আগস্ট থেকে সারা দেশে বিএনপির যে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে তা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টেনে নেয় দলটি। এর মাঝে রাজধানীর মিরপুরে সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে গত রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। এসব কর্মসূচিতে বিএনপি বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক হামলার শিকার হয়। এতে গত কয়েকদিনে বিএনপি’র হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে মামলা হামলা হয়েছে। কারো বাড়িতেও হামলা হয়েছে। এছাড়া বিএনপি বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী হারিয়েছে এসব কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে। এসময়ে বিএনপি’র কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাধা দেয়ার বিষয়টিও প্রকাশ্যেই ঘটে গেছে।  

কেনো বিএনপি’র এমন কর্মসূচিতে..

বিএনপির একেবারে শীর্ষ পর্যায়েই সিদ্ধান্ত ছিল তারা অত্যন্ত ধীরে সুস্থে সরকারের বিরুদ্ধে এগুবে। দলটি এখনো যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্তও করেনি। এবছরের একেবারে শেষে দিকে কিংবা আগামী বছরের শুরতে সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে বলেই দলের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যে বিএনপি দল গোছানোর পাশাপাশি যাদের সাথে নিয়ে ভবিষ্যতে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম ও জোট গঠন করবে তাদের সাথে বোঝাপড়ায় তাদের ব্যস্ত রাখবে। কিন্তু হঠ্যাৎ করে বিএনপি এসব প্লান পরিকল্পনা বাদ দিয়ে আন্দোলনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বিএনপি যে কর্মসূচি দিয়েছিল এবং তা পালন করে তার পেছনে ছিল নানান ধরনের কারণ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেত বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ১৪ থেকে ১৭ আগস্ট বাংলাদেশ সফর করেন। চার দিনের সফরে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ ছাড়া পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি মানবাধিকারকর্মী, নাগরিক সমাজ ও গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন এবং কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। দেখা গেছে, এসফরের সময়ে বিএনপি রাজপথে বেশ তৎপর ছিল। বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে সরকারের বিভিন্ন ধরনের অব্যাবস্থা তুলে ধরে। তবে বিএনপি মিশেল ব্যাশেলেতের সফরকে টার্গেট করে তেমনভাবে মাঠে নামে। 

এছাড়া জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ প্রধানদের তৃতীয় সম্মেলন ছিল। এ সম্মেলনতে সামনে রেখেও বিএনপি কর্মসূচি জোড়দার করে। কেননা ’গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার’ অভিযোগে বাংলাদেশের বিশেষ পুলিশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর ছয়জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর অন্যদিকে জাতিসংঘের পুলিশ প্রধান সম্মেলনে অংশ নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদসহ ছয় কর্মকর্তা সে আগস্টের  শেষে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে যান। অন্যদিকে সরকারও বেশ কৌশুলি হয়। তারা ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সফররত মিশেল ব্যাশেলেতকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে সরকার মত প্রকাশে বড়োই উদার। রাজনৈতিক কর্মকান্ডে কোনো বাধা দিচ্ছে না। কেননা জাতিসংঘ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে বলপূর্বক অন্তর্ধান, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং এর অনেক অভিযোগই র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) বিরুদ্ধে। কবে এক্ষেত্রে বিএনপি’র কৌশল কিছুটা মাঠে মারা যায। কিন্তু মিশেল ব্যাশেলেতের সফর শেষে সরকার বেশ সক্রিয় হয় বিএনপি’কে মাঠে দমন পীড়নের মধ্যে রাখতে। অপরদিকে মিশেল ব্যাশেলেতের সফর শেষেও বিএনপি আরো বড়ো কর্মসূচি দিতে থাকে। 

কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছিল ভারতে গুরুত্বপূর্ণ সফর। বিএনপি’র ভাবনায় ছিল প্রধানমন্ত্রীর  সফরের সময় বিক্ষোভ সমাবেশ করে ভারতে এটা জানান দেয়া বাংলাদেশে দলটির (বিএনপি) অবস্থান অনেক শক্ত। অন্যদিকে সরকারের মাথায় ছিল বিএনপি যদি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় এমন দাঙ্গা হাঙ্গামা বাধায় তা সরকারের জন্য হবে বিব্রতকর। 

আর এজন্য প্রধানমন্ত্রীর ভারতে সফরের আগে এবং পরেও বিএনপি রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ শক্ত কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে। জানান দেয় বাংলাদেশে একটি শক্ত বিরোধী দল আছে। অন্যদিকে আইন শৃংখলা বাহিনী একটু বেশি তৎপর হয় যখন গণমাধ্যমে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তা হলো সদ্য বাংলাদেশ সফরকারী জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ও চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেটের সর্বশেষ রিপোর্টে মানবাধিকার বা অন্যান্য বিষয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়নি। 

যেসব দেশ এবং অঞ্চলে মানবাধিকার নিয়ে সমস্যা ও উদ্বেগ রয়েছে, সেটি তার রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে। সেই দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ নেই। জাতিসংঘের এই রিপোর্টে গুম বা খুনের মতো বিশেষ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যেসব দেশে ঘটছে, সেটিও রিপোর্টে উল্লেখিত হয়েছে। এতে সরকারের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি দেখা দেয়। কিন্তু পরে অন্য একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয় যে এটি সত্য নয়। বলা হয় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেতের জেনেভার সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার হয়েছে বলে তাঁর দপ্তর জানিয়েছে। এতে সরকারের মধ্যে আরেকধরণের অস্বস্তি দেখা দেয়। 

আরো কর্মসূচি বিএনপি’র?

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেতের সফর শেষ। প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনারও ভারত সফর হয়ে গেছে। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ প্রধানদের তৃতীয় সম্মেলনও শেষ। তাহলে বিএনপি কেনো আরো কর্মসূচি দিচ্ছে? জানা গেছে বিএনপি আরো কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে। এমনই আভাস মিলেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বক্তব্যে। আমীর খসরু গত ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার বলেছেন, বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে। তিনি প্রতিবাদী কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ও সাহসী ভূমিকার উল্লেখ করে বলেছেন, ‘এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এই ধারা থামানো যাবে না।

 বাংলাদেশের মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের জন্য মানুষ রাস্তায় নেমেছে। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে। তবে এভাবে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন নিয়ে জানা গেছে আরেক তথ্য। জানা গেছে জাতিসংঘের ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স’ নামে পরিচিতি গুমবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি গত শুক্রবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এতে বলা হয় জাতিসংঘের গুমবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে বাংলাদেশে গুমের অভিযোগ বেড়েছে। কমিটির সর্ব সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ২২ মে থেকে এ বছরের ১৩ মে পর্যন্ত এক বছরে কমিটির কাছে আসা বাংলাদেশে গুমের অভিযোগের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮, যা আগে ছিল ৭৬। গত সোমবার কমিটির ১২৮তম সভা শুরু হয়। সভায় ২১টি দেশের ৬৯৬টি গুমের অভিযোগ পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়া আগামী মঙ্গলবার(এরির্পোট যেদিন লেখা হচ্ছে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদে প্রতিবেদনটি পেশ করা হবে। 

আর একারণে বিএনপি মাস জুড়ে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি এই কৌশলে সরকার মার খেয়ে গেছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। সরকার আগেরবারের মতো বিএনপি’র রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে এ মাসেও নমনীয় থাকলে সুবিধা হতো। কিন্তু তা না করে যেভাবে নিজ দল ও আইন শৃংখলা বাহিনীকে বিএনপি’র বিরুদ্ধে নামিয়ে দিয়েছে তাতে এমন সময়ে সরকারের ইমেজের জন্য অনেক ক্ষতিকর হয়েছে। আর অন্যদিকে এসব কর্মসূচিতে বাধা পেয়ে বিএনপি লাভবানই হয়েছে। 

 বিএনপি আন্তর্জাতিক বিশ্বকে জানিয়ে দিলো রাজনৈতিক কর্মসূচি কিভাবে পন্ড করে দিচ্ছে সরকার। তবে সরকার সব ঘটে যাবার পর বুঝেছে বিএনপি কেনো আগস্ট-সেপ্টেম্বর জুড়ে এসব কর্মসূচি চালিয়েছে। এমন বোধদয়ের নমুনা মিলেছে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার কেন্দ্রের কোনো নির্দেশনা নেই বলে। ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘নির্দেশনার বাইরে কেউ যদি এসব হামলায় জড়িয়ে পড়েন, আমরা কিন্তু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেষ কথা

রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। সরকার একদিকে যেমন দেশ ও দল সামলাতে হচ্ছে। তেমনি নজর রাখতে হচ্ছে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনেও। এ কাজটি সুচারুভাবে করতে আগের মতো যুৎসই কৌশল নিতে পারছে না তারা। দলীয় কোন্দল ছাড়াও নানান ধরনের ব্যক্তি গোষ্ঠী সরকারের মাথা ভেঙ্গে খাচ্ছে। একে করে ত্যাগি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দূরে সরে গেছে। 

একারণে বড়ো দেরিতেই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বুঝতে পেরেছে তার দলের নেতাকর্মীরা সারা দেশে বিএনপি ঠেকাও এর নামে কর্মসূচির জন্য আন্তর্জাতিক পরিসরে কি খেসারত দিতে হবে। এদিক থেকে বিএনপি সফল হয়ে গেছে। এখন দেখা যাবে সরকার ও বিরোধী দল আগামী কিভাবে খেলতে নামে। 

শেয়ার করুন