২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১১:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে উদৃতি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘আমরা কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণ নিয়েছি’
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৪-২০২৩
‘আমরা কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণ নিয়েছি’ দ্য রিজ-কার্লটন হোটেলের সভাকক্ষে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত/ছবি সংগৃহীত


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কিছুটা স্বস্তির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। এদিকে, বৈশ্বিক ঋণ দাতা সংস্থাটি ভবিষ্যতেও এই ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে। শনিবার বিকেলে দ্য রিজ-কার্লটন হোটেলের সভাকক্ষে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বাসস’র। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আমরা কিছুটা স্বস্তির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নিয়েছি।’ আইএমএফ সম্প্রতি বাংলাদেশের জন্যে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির ব্যাপক প্রশংসা করেছেন আইএমএফের এমডি যা কোভিড-১৯ মহামারির পরে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করে তুলেছে।

 মোমেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে উদ্ধৃত করে বলেন, “বিশ্বে বাংলাদেশ একটি রোলমডেল (সামগ্রিক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে) কারণ, দেশটি এমনকি করোনা মহামারির পরও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে পেরেছে।” আইএমএফ প্রধান বলেন, সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন।

তিনি বলেন, অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন ও দক্ষ যোগাযোগ এবং আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এছাড়া, ক্রিস্টালিনা কোভিড-১৯ মহামারিকালে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখারও প্রশংসা করেছেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের নানা উদ্যোগ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধানকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, “দেশের উন্নয়ন একদিনে হয়নি বরং এটি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার ফল।”

 শেখ হাসিনা বলেন, পট পরিবর্তনের পর কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন চেয়েছেন সেভাবে তাঁর পরিকল্পনা করেন এবং ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের পদক্ষেপ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধানকে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় আইএমএফের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে আশা করেন।

ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর আবদুর রউফ বলেন, গত ১৪ বছরে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আইএমএফ সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে এবং দেশটি কখনই এর থেকে বিচ্যুত হয়নি।

 তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মসূচি নিয়ে আইএমএফের সাথে কাজ করছে যা বাংলাদেশ মাত্র দু’সপ্তাহের আলোচনার মাধ্যমে পেয়েছে, যদিও অনেক দেশ বছরে পর বছর ধরে আলোচনা চালিয়েও পায় না। আইএমএফ প্রধানকে উদ্ধৃত করে রউফ বলেন, “আইএমএফ ভবিষ্যতে এই ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।” ব্রিফিংকালে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন