২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০২:৪৪:৫৬ পূর্বাহ্ন


ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের
‘ভারত পাশে ছিল বলেই বাংলাদেশের নির্বাচনে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র অশুভ হস্তক্ষেপ করতে পারেনি’
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৩-২০২৪
‘ভারত পাশে ছিল বলেই বাংলাদেশের নির্বাচনে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র অশুভ হস্তক্ষেপ করতে পারেনি’


“ভারত পাশে ছিল বলেই বাংলাদেশের নির্বাচনে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র অশুভ হস্তক্ষেপ করতে পারেনি।” কথাগুলো বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো বলে সিট মহল বিনিময় ৬৮ বছরের যে সমস্যা তার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছেন। তিস্তা সহ অভিন্ন নদীর পানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।এর সমাধানও অবশ্যই হবে, ধৈর্য ধারণ করতে হবে। গায়ে পড়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ততা করে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।”
 
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন, এটি সমীচীন নয় বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ভারত বিরোধী মনোভাব কেন জাগ্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে? যারা নির্বাচনে আসেনি এটি তাদের অপপ্রচারে একটা ঢাল। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন  ভারত বিরোধিতায় লিপ্ত হয় একটি মহল। এখনও তারা সেটি করছে।  
 
বাজারে সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “সিন্ডিকেট কি ভালো? সরকার কেন সিন্ডিকেটকে সমর্থন করবে? সিন্ডিকেট যে বা যারা করুক, এর সূত্র খুঁজতে হবে। প্রকৃত সত্য বের করতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার এখানে সক্রিয় আছে। সংকট সমাধানের যোগ্য নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।” তাই সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।  
 

দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, “সংখ্যালঘু ধারণাটাই একটা দাসত্বের শেকল, ভেঙে ফেলতে হবে। দাসত্ব কেন করবেন? বাংলাদেশের সংবিধান কী বলে, কেন নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবেন? বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সব ধর্মের মানুষের সমান অবদান ছিল। হিন্দুদের জমি দখল ও মন্দির ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও তারা সবার অভিন্ন শত্রু দুর্বৃত্ত। ঐক্যবদ্ধভাবে এদের করতে হবে।”  
 
এ সময় শেখ হাসিনার সরকারকে সংখ্যা লঘু বান্ধব সরকার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন আছে ততদিন পাশে আছে। আওয়ামী লীগ আগেও পাশে ছিল, এখনও আছে এবং আগামীতেও থাকবে। অন্য দল ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের মতো আবার পরিস্থিতি তৈরি হবে।’  
 এর আগে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।


বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাস গুপ্ত প্রমুখ।

শেয়ার করুন