২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ১১:৪৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


কঠিন সময়, ঘনীভূত সংকট
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৩-২০২৪
কঠিন সময়, ঘনীভূত সংকট


বিশ্বজোড়া নানা ঘটনায় অর্থনৈতিক সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। ইসরায়েল-হামাস সংঘাত চলছে। উত্তর কোরিয়া অথবা ইরানের সঙ্গে যে কোনো মুহূর্তে যুদ্ধ শুরু হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বের পশ্চিমা শক্তির। 

দেখতে দেখতে চলে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। মুসলিম বিশ্ব এবাদত বন্দেগীতে সময় কাটাচ্ছে। কিন্তু এই মাসেও গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বমোড়ল নিষ্ফল দ্যূতিয়ালি এবং নপুংসক জাতিসংঘের কোনো প্রচেষ্টাকে গায়ে মাখছে না ইহুদিরা। বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে গাজা এবং পশ্চিম তীরে দুর্ভিক্ষ অনিবার্য। অগডুত মহিলা শিশুরা অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। শক্তিশালী আরব দেশগুলোকেও সম্মিলিতভাবে কোন কিছু করতে দেখা যাচ্ছে না। বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে একদিকে মারণাস্ত্র দিচ্ছে অন্যদিকে লোকদেখানো সাহায্য সামগ্রী পাঠাচ্ছে গাজায়। এটি ঠিক সর্প হয়ে দংশন আর ওঝা হয়ে ঝাড়ার মতো। বিশ্বজুড়ে মুসলিম সমাজ সব ধরনের ইহুদি পণ্য বর্জন করা অব্যাহত রাখা উচিত। গণতন্ত্র আর আইনের শাসনের কথা গণহত্যায় সহায়তাকারী যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে মানায় না। খোদ যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেনবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে বড় বড় শহরে। 

বাংলাদেশে কিন্তু সরকার নানামুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণে কিছুটা সফল হয়েছে, গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহেও মোটামুটি স্বস্তি আছে। তবে নতুন যে খবর সেটা হলো বৈদেশিক ধার কর্জ করার অর্থ প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এটা ভাবনার বিষয়। নতুন করে শুরু পুরোনো সরকারের মন্ত্রিসভার মাধুকেন্দ্রিমা-মধুচন্দ্রিমার সময় শেষ। সব সেক্টর থেকে চিহ্নিত সিন্ডিকেট নির্মূল করতে না পারলে চারিদিক থেকে সংকট সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলবে। আশা করি সরকার প্রধান বন্ধু চিনতে ভুল করবেন না। 

ব্যর্থ, দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টা, মন্ত্রীদের ভ্রান্ত পরামর্শে অনেক সেক্টরে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এখনো সময় আছে আমলা এবং ব্যবসায়ীদের কবলমুক্ত হয়ে সঠিক পেশাদারদের সঠিক স্থানে পদায়ন করে স্বাধীনতার আদর্শে সংকট মোকাবিলা করা। আগামী দিনগুলো খুব কঠিন, অনেক চ্যালেঞ্জ। আগ্রাসী ভূরাজীনীতি অনেক কৌশলে সামাল দিতে হবে। 

বাংলাদেশে কিন্তু এখন রাজনৈতিক কোনো অস্থিরতা নেই। সরকার সবকিছুর নিয়ন্ত্রণে। অভাব সততার, অভাব দেশপ্রেমের। সরকার জনগণকে সম্পৃক্ত করে সিদ্ধান্ত নিতে কেন কুণ্ঠিত বোধগম্য নয়। জনগণ রাজনীতি বিমুখ। তবে বাংলাদেশের সুবিধা মেধাবী তরুণ প্রজন্ম। ওদের সঠিক পথের দিশা দিতে পারে সৎ রাজনৈতিক নেতৃত্ব। সরকারকে দ্রুত কিছু জনকল্যাণমূলক কাজ করে আপামর জনসাধারণকে আস্থায় নিতে হবে। 

শেয়ার করুন