৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ৬:৫৯:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


সব দিয়ে দিলাম কিন্তু যেটা ন্যায্য পাওয়ার সেই তিস্তার পানি পেলেন না- রিজভী
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৩-২০২৪
সব দিয়ে দিলাম কিন্তু যেটা ন্যায্য পাওয়ার সেই তিস্তার পানি পেলেন না- রিজভী


সরকারের ‘নতজানু পররাষ্ট্র নীতি’র কারণে বাংলাদেশ ন্যায্য হিৎসা থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন,  ‘‘ পার্শ্ববর্তী দেশে কোনো আবদার মাটিতে পড়ে না, প্রত্যেকটি আবদারই পুরন করতে হয় শেখ হাসিনাকে। সীমান্ত চুক্তির প্র্রটোকল করেছেন কিন্তু প্রতিদিন আমাদের লোক মারা যায়। শেখ হাসিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রতিবাদ দূরে থাক একটু মাথা উঁচু করে কথাও বলতে পারেন না। কি পেয়েছেন আপনি প্রধানমন্ত্রী তাদের(ভারত) কাছ থেকে? এতো নতজানু কেনো?”

‘‘ সীমান্ত চুক্তি করার পরও বাংলাদেশীদের হত্যা করা হচ্ছে পাখির মতো। প্রতিদিন মৃত্যুর খবর, প্রতিদিন বাংলাদেশীদের নিহত খবর বিএসএফ দ্বারা। সব দিয়ে দিলাম কিন্তু যেটা ন্যায্য পাওয়ার সেই তিস্তার পানি পেলেন না, সেই গঙ্গার পানি পাওয়া গেলো না।”

প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘‘ কি পেয়েছেন শেখ হাসিনা? ব্রিকস নাম শুনেছেন। একটা জোট সেখানে ইন্ডিয়া বাংলাদেশের জন্য কোনোভাবেই কোনো কথাই বলেনি… বাংলাদেশ বাদ পড়ে গেছে ব্রিকস থেকে। এটা মানুষ মনে করে ভারত যদি চাইত বাংলাদেশ এই জোটের সদস্য হতে পারত, হতে পারেনি। এতো প্রেম, এতো মহব্বত কিন্তু ওইদিক থেকে পান না তারা(সরকার)।”

‘‘ শুধু অপমান ছাড়া শুধু লাঞ্ছনা ছাড়া আপনি কি পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী? আপনার লজ্জ্বা হয় না।”

তিনি বলেন, ‘‘ পশ্চিম বাংলা-আসামের অনেক বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে আজকের বিজেপি(ভারতীয় জনতা পার্টি) সরকারের অনেক কর্তা ব্যক্তিরা বলেছেন এরা হচ্ছে, বেআইনি বাংলাদেশী। তারা অবৈধভাবে বসবাস করে পশ্চিম বাংলা, আসামে… কে বলেছেন? বিজেপির দ্বিতীয় ক্ষমতাশালী ব্যক্তি তার নাম অমিত শাহ। উনি কয়েকবছর আগে বলেছিলেন, ওরা না খেয়ে থাকে, এরা খাবার পায়, এরা ক্ষুধার যন্ত্রণায় ভারতে প্রবেশ করে। এবার যদি বিজেপি জিতে …মানে গত নির্বাচনের সময়ে সবাইকে ঘাড় ধরে বের করে দেবো।”

‘‘ আর আসামে গিয়ে কি বলেছেন সেখানকার বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে চিহ্নিত করে বলেছেন যে, এরা হচ্ছে উঁইপোঁকা। এই উঁইপোঁকাদেরকে একদিন বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দিতে হবে… এই অমিত শাহ বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আপনার লজ্জ্বা হয় না। ভারতে লোকদেরকে অবৈধ বাংলাদেশী বলে উঁইপোঁকার সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশ অপমানিত হয় না? বাংলাদেশ লাঞ্ছিত হয় না? আপনি প্রতিবাদ করতে পারেন না,গলা তুলে কথা বলতে পারেন না।”

রিজভী বলেন, ‘‘ অথচ যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, গণতন্ত্রহীনতার প্রতিবাদ করে তাদেরকে আপনি কারাগারে বন্দি রাখেন। সাইফুল আলম নিরবদের মতো্ প্রতিবাদীদের আপনি নির্যাতন করেন, অত্যাচার করেন, মিথ্যা মামলা দেন।”

‘‘ আর যারা আমাদেরকে লাঞ্ছিত করছে, আমাদেরকে হত্যা করছে, আমাদেরকে উঁইপোঁকার সাথে তুলনা করছে তাদের বিষয়ে শেখ হাসিনা নিশ্চুপ। কারণ এরা একটি ডামি সরকার। তারা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়, জনগনের ভোটকে ভয় পায় তাই তাকে একটা শক্ত খুঁটির সাথে বেধে থাকতে হয়। সেই শক্ত খুঁটি তিনি মনে করে পার্শ্ববর্তী দেশ। শক্ত খুঁটি মনে করে তিনি বাংলাদেশের মানুষকে ত্যাগ করেছে, তিনি ভোটারদেরকে ত্যাগ করেছেন, তিনি গণতন্ত্রকে নির্বাচন দিয়েছেন, তিনি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে ত্যাজ্য করেছেন।”

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্র দলের সাবেক নেতাদের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা এবং কারাবন্দি যুব দলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের মুক্তির দা্বিতে এই মানববন্ধন হয়।

যুব দলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু‘র সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক এবিএম শামসুল হক, যুব দলের সাবেক নেতা খালেক হাওলাদার, এসএম জাহাঙ্গীর প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন