২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ১০:৬:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


হঠাৎ ফখরুলের আর্তি ‘সময় খুব কম’
মাসউদুর রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৯-২০২৩
হঠাৎ ফখরুলের আর্তি ‘সময় খুব কম’


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সময় খুব কম। আসুন, জেতার জন্য লড়াই করি। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা এই সংগ্রাম ও লড়াই করি। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।’ বিএনপি এ নেতা রাজপথে ও ইনডোরে বহু কথা বলে দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে আসছেন। প্রতিপক্ষকে হুমকিধমকিও দিচ্ছেন। হঠাৎ করে গত ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার প্রেসক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তার আহ্বান, গুরুত্বপূর্ণ ও কিছুটা হতাশাজনক। হঠাৎ কেন এমন তাড়াহুড়া। কেনই-বা তিনি সময় কম দেখছেন। তাহলে দীর্ঘদিন সংগ্রাম করে আসা বিএনপির পরিকল্পনায় কী কোনো গলদ ছিল নাকি নতুন কোনো কৌশলের অংশবিশেষ! 

রানিং সেপ্টেম্বর মাস ছাড়া হাতে অক্টোবর। এর মধ্যে এক দফা আন্দোলন দিয়ে সরকারের পতন কী নিশ্চিত করতে পারবে বিএনপি? এটা বড় এক প্রশ্নে রূপান্তরিত হয়েছে। মির্জা ফখরুল আঙুলের কর গুনে দেখেছেন, কঠোর আন্দোলনে হাতে সময় খুব কম। অল্পসময়ে ঝিমিয়ে পড়া আন্দোলন চাঙ্গা ও মাঠ গরমের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ফেলে দেওয়ার মতো আন্দোলন জমানোর যে সময়, তা কী যথেষ্ট? বাংলাদেশের অতীত রাজনীতি কিন্তু বলছে, মোটেও না। কারণ এতো অল্প সময়ে কঠোর আন্দোলন করার মতো দল বিএনপি হলেও সেই শক্তি সামর্থ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে সরকারের নানা কৌশলের কারণেই। একের পর এক মামলা, হামলা দিয়ে নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই দুর্বল। এরপরও যতোটা চাঙ্গা হয়েছিল বিভাগীয় পর্যায়ে মহাসমাবেশের পর, সেটা ধরে রাখতে ব্যর্থ। বিএনপির সর্বশেষ বড় আন্দোলন অবস্থান ধর্মঘট। ২৮ জুলাই, শনিবার ২০২৩। ওই অবস্থান কর্মসূচি সেভাবে সফল না হলেও পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের মহড়ায় যেটুকু হয়েছিল, তাতে দেশ বিদেশে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থা বিবৃতি দেয়। সেখানে বিএনপির আন্দোলনের অধিকার, এমনকি পুলিশের কার্যকলাপ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। সেই থেকে অনেকটাই নীরবে পেরিয়ে গেছে অন্তত দেড়টি মাস। 

একেবারে নিশ্চুপ ছিল তা নয়, তবে ব্যাপক আকারে হয়নি কিছু। অন্তত যার মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের ভড়কে দেওয়া যায়। দুশ্চিন্তায় ফেলে চাপে ফেলে দেওয়া যায়। অজ্ঞাত কারণে বিএনপি ধীরে চলো নীতিতে যেয়ে সময়ক্ষেপণ করে আন্দোলনের মাঠ ঠান্ডা করে ফেলেছে। মির্জা ফখরুল এখন যে বলে ফেললেন সময় খুব কম, সেটা তার হতাশার কথা ছাড়া আর কিছুই না। হঠাৎই তারা দেখছেন আন্দোলনের মাঠে দুর্দান্ত আওয়ামী লীগও বিএনপিকে হটাতে শতাধিক হরতাল ধর্মঘট করে সফল হয়, সে তুলনায় বিএনপির আন্দোলন তো তেমন কিছুই না।  

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও বসে নেই। হামলা মামলা তো আছেই। একই সঙ্গে পুরোনো সব মামলা চাঙ্গা করে বিএনপির নেতাকর্মীদের অনেকটাই দৌড়ঝাঁপের মধ্যে রেখেছে। যেমনটা ২০১৪ ও ২০১৮ সনেও দেখা গেছে। ইদানীং শুরু বিএনপির সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতারের মিশন। কারণ বিএনপি আন্দোলন জমাতে চায় ঢাকায়। ফলে ঢাকাকেন্দ্রিক যেসব নেতৃবৃন্দ রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা চাঙ্গা হচ্ছে। এর মধ্যে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

১১ সেপ্টেম্বর সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ না করায় এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ২৬ জুলাই বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ টুকুর ৯ বছরের সাজার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন। বিচারিক আদালতে রায় পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয় আদালত।

চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, হয়তো তাকেও যেতে হতে পারে কারাগারে। যদিও ফখরুলের ওই বক্তব্যের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমন কথার সমালোচনা করে বলেন, যদি অন্যায় না করেন তাহলে কারাগারে যাওয়ার ভয় কেন মির্জা ফখরুলের। 

বিএনপির নেতাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা নেই। ফলে বিএনপি যদি বড় ধরনের আন্দোলনের কৌশলে যায়, ক্ষমতাসীনরা সেটা দমনে বসেও থাকবে না, এসব থেকে ইঙ্গিত মেলে। তাহলে বিএনপির আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকছেন কে কে। তারা কতটা জমিয়ে তুলতে পারবেন এ স্বল্প সময়ে। তাদের ঘোষিত সরকার পতনের ‘এক দফা’ আন্দোলন বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে, এটা বড় প্রশ্ন আকারে দাঁড়িয়ে গেছে। তাছাড়া ক্ষমতাসীন দলও জানে আন্দোলন কীভাবে দমাতে হয়। তার হাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসন সবই পক্ষে। নেতাকর্মীদের তো এ শক্তিটাকে সমীহ করতেই হবে অন্তত তাদের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে। 

এর আগে অবশ্য বিএনপি একাধিকবার বলে আসছে, লাগাতার কর্মসূচিতে যাবে। শিগ্গিরই সে কর্মসূচি ঘোষণা করাও হবে। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা অবধি সে কর্মসূচির খবর নেই। দেই-দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপণ। যদিও বিএনপির নেতাকর্মীদের কিছুটা আশার আলো দেখানো হচ্ছে। বিএনপির শীর্ষ একাধিক নেতা উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন। বিভিন্নভাবে খবর বেরিয়েছে, সিঙ্গাপুরে তারা একাধিক সভায় মিলিত হন। ফলে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে আসার পর এখন বড় কর্মসূচি চূড়ান্ত করার জন্য উঠেপড়ে লেগে গেছে। 

এমন প্রেক্ষাপটে আগামী শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছে, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। অনেকেই ধারণা করছেন ওই সমাবেশ থেকে চূড়ান্ত আন্দোলনের একটা কর্মসূচি বা লাগাতার কর্মসূচি যেমন অবস্থান, ঘেরাও ইত্যাদি জাতীয় কর্মসূচি দিতে পারে বিএনপি। দলটির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ‘বাঁচা-মরার’ এবারের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত রাজপথে থাকতে প্রস্তুত নেতাকর্মীরা। সুতরাং বিএনপির সব প্রস্তুতিই রয়েছে। ভবিষ্যৎ পরিস্থিতিই বলে দেবে কোন ফর্মে সেই আন্দোলন আসবে। যখন সরকার পড়তে বাধ্য হবে; তখনই এ আন্দোলনের সমাপ্তি হবে। 

বিএনপির ভাবনায় চূড়ান্ত কর্মসূচি তাহলে কী

বিএনপির আসন্ন কর্মসূচি প্রসঙ্গে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবার আর গতানুগতিক আন্দোলন নয়। কিছুটা ভিন্নতা নিয়ে আসা হতে পারে। যাতে সরকারের টনক নাড়িয়ে দেওয়া যায়। কারণ গতানুগতিক আন্দোলন দিয়ে তো আর সরকারকে ফেলে দেওয়া সম্ভব না। ফলে যা করবে তারা সেটা অক্টোবরের মধ্যেই। আর এতে হয়তো ঘেরাও, অবস্থান, মহাসমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় কর্মসূচি আসবে। তবে বিএনপির নতুন যে নীতি সে অহিংস আন্দোলন সেটা অব্যাহত রেখেই দলটি আগাবে বলে জানা গেছে। 

নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে জাতীয় নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। বিএনপির নেতাদের শঙ্কা-তফসিল ঘোষণা হলে নির্বাচন ঠেকানো কঠিন হবে। তাই যা করার এর আগেই করতে হবে। তাছাড়া জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট অনুষ্ঠিত হয়ে যেতে পারে। শুক্রবারের ওই সমাবেশের আয়োজক বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর। বলা হচ্ছে, বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাদের ‘অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায়’ সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। ওইদিন বিকাল ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

বিএনপি হঠাৎ কেন তৎপর হলো 

বিএনপি এবার তাদের আন্দোলনে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। অহিংস আন্দোলন করতে যেয়ে যেসব কর্মসূচি তারা দিয়েছে সেগুলোতে আদতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ওপর কোনো চাপই তৈরি হয়নি। বিএনপি অহিংস আন্দোলন করেছে একই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাজোটের তৎপরতাও পর্যবেক্ষণ করেছে। তাদের সঙ্গে অবশ্য সখ্য/যোগাযোগ নিয়মিত রেখে চলেছিলেন তারা। এখনো সেটা বিদ্যমান। বিএনপি ভেবেছিল, হয়তো বৈদেশিক কোনো শক্তির অলৌকিক ক্ষমতায় দেশে কিছু একটা ঘটে যেতে পারে। কিন্তু আশার ওই আলো টিপটিপ করে জ্বলেই চলেছে। সেখানে বড় কিছু তারা এখন দেখতে পাচ্ছে না। আগের মতো বিদেশি দূতাবাসে থাকা রাষ্ট্রদূতদের তৎপরতা ও বিদেশ থেকে বিভিন্ন কর্মকর্তা বা প্রতিনিধিদের আগমন অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। নির্বাচন ইস্যুতে দৌড়ঝাঁপও কমে গেছে। সেভাবে তৎপরতাও তারা দেখাচ্ছেন না! এটাতে হতাশা বাড়ছে বিরোধীপক্ষের।

যদিও বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো এক গুমোট পরিবেশ চলছে। এরপরও দৃশ্যমান কিছু না দেখতে পেরে কিছুটা হতাশায় পর্যবসিত হয়ে যাচ্ছে বিএনপিসহ সমমনা দলসমূহ। কারণ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তিন টার্ম ক্ষমতায় থেকে বিদেশি যারা সোচ্চার দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য তাদের সঙ্গে শক্ত লিয়াজোঁ রেখে এগিয়ে চলছে। এটা বড় একটা ভয়ের কারণ। এর ফলে হতে পারে আওয়ামী লীগ আবারও একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, যা তারা ২০১৪ ও ২০১৮ সনে করেছে ঠিক অনুরূপ। তাছাড়া বন্ধুপ্রতিম দেশসমূহের প্রত্যাশার সঙ্গে ক্ষমতাসীন কখনই দ্বিমত করেনি। তারাও বারবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, এবার তারা একটা ফ্রি ও ফেয়ার নির্বাচন আয়োজনের সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ফলে বিএনপি যদি মাঠে আন্দোলন বেগবান করতে না পারে, সরকারের পতন ঘটানোর মতো কিছু করতে না পারে, সেখানে তো আর বিদেশিদের আগ বাড়িয়ে এসে কিছু করার নেই। 

কিন্তু সে বিএনপি ও সমমনা দল রাজপথ ভুলে অজ্ঞাত কারণে কঠোর আন্দোলনে না যেয়ে অনেকটাই ঝিম মেরে বসে সময়ক্ষেপণ করেছে এর উত্তর খুঁজছেন দলের তৃণমূলের নেতাকর্মী। দীর্ঘদিন থেকে তারাই চেয়ে আসছিলেন বড় কোনো আন্দোলনের রূপরেখা, কর্মসূচি। কিন্তু বিএনপি ও তাদের সমর্থিত জোট কালক্ষেপণে হতাশায় ফেলেছে। এখন যেহেতু এক মাসের সামান্য কিছু সময় বাকি, নির্বাচন কমিশনের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার এমনি মুহূর্তে তড়িঘড়ি শুরু। বলা হচ্ছে, হাতে সময় নেই। তবুও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তৈরি তাদের ‘বাঁচামরার’ লড়াইয়ে। 

সর্বশেষ

দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হোক সেটা কারোই প্রত্যাশা নয়। এজন্যই সংলাপ চেয়ে আসছিল বিভিন্ন মহল থেকে। আলোচনার মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধীপক্ষ মিশে একটা সমঝোতার মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতির নিরসন। আলোচনার টেবিলে সবই সম্ভব। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল এ ব্যাপারে উদাসীনতা দেখিয়েই চলেছে। এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা বিরোধীদলেরও। বিভিন্ন দফার পর তারা এখন ‘এক দফা’র আন্দোলনে। নির্বাচনের পূর্বে এ সময়টাতে ওই আন্দোলন জোরদার ও বাস্তবায়নে সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও কোনো কর্মঘণ্টার ক্ষতি না হয়, সে প্রত্যাশাই এখন সবার।

শেয়ার করুন