২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৯:০৮:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


জাতিসংঘের শান্তি মিশন মরণোত্তর মেডেল পেলেন দু’জন বাংলাদেশি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৬-২০২২
জাতিসংঘের শান্তি মিশন মরণোত্তর মেডেল পেলেন দু’জন বাংলাদেশি রাবাব ফাতিমার সাথে মিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ


শান্তিরীদের আত্মত্যাগ শুধু শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যেতে আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করে। গত ২৬ মে জাতিসংঘ সদরদফতরে আন্তর্জাতিক শান্তিরী দিবসে কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী শান্তিরীদের মরণোত্তর দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী দুজন বাংলাদেশি শান্তিরী মেজর এ কে এম মাহমুদুল হাসান ও ল্যান্স-করপোরাল মো. রবিউল মোল্লা এ মেডেল পান। মেজর এ কে এম মাহমুদুল হাসান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক-এ নিয়োজিত মিনুসকা (MINUSCA) মিশনে এবং ল্যান্স-করপোরাল মো. রবিউল মোল্লা দণি সুদানে নিয়োজিত আনমিস (UNMISS) মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হন। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজের কাজ থেকে বাংলাদেশের পে এ মেডেল গ্রহণ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এসকল মেডেল কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরীদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এবারের আন্তর্জাতিক শান্তিরী দিবসে জাতিসংঘ শান্তিরা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী ৪২টি দেশের ১১৭ জন শান্তিরীকে বিশ্ব শান্তিরায় সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য ‘দ্যাগহ্যামারশোল্ড’ মেডেল প্রদান করা হয়। জাতিসংঘ সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ (Antonio Guterres) বাংলাদেশসহ ৪২টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিদের হাতে স্ব স্ব দেশের মেডেল তুলে দেন।

দিবসটি উপলে জাতিসংঘ সদরদফতরে রতি শোক বইয়ে স্বার করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। শোকবার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্ব শান্তির জন্য পবিত্র দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ তার অনেক সাহসী সন্তানকে হারিয়েছে। তিনি শান্তিরায় জীবনদানকারী সকল বীর শান্তিরীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং অপূরণীয় এই তির জন্য তাঁদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

মেডেল প্রদান অনুষ্ঠানের পর কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী সকল শান্তিরীর সম্মানে জাতিসংঘ সদরদফতরের উত্তর লনে অবস্থিত ‘শান্তিরী মেমোরিয়াল সাইট’ এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এসময় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তারা ও জাতিসংঘ সদরদফতরে কর্মরত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব কর্তৃক জাতিসংঘ সদরদফতরের উত্তর লনে ‘শান্তিরী মেমোরিয়াল সাইট’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘জনগণ শান্তি অগ্রগতি: অংশীদারিত্বের শক্তি’। দিবসটিতে প্রতিবছর শান্তিরীদের পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার স্বীকৃতি এবং যাঁরা শান্তির জন্য জীবন হারিয়েছেন তাঁদের মরণোত্তর দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল প্রদান করে পবিত্র স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানো হয়। বাংলাদেশ বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরা কার্যক্রম শীর্ষ শান্তিরী প্রেরণকারী দেশ। বাংলাদেশের ৬ হাজার ৮০২ জন শান্তিরী বিশ্বের ৯টি মিশনে কর্তব্যরত রয়েছেন। দায়িত্বরত অবস্থায় এ পর্যন্ত জীবন উৎসর্গ করেছেন ১৬১ জন বাংলাদেশি শান্তিরী। করোনা অতিমারীজনিত কারণে দুই বছর পর আবার জাতিসংঘ সদরদফতরে সশরীরে আন্তর্জাতিক শান্তিরী দিবস পালন করা হলো।

শেয়ার করুন