০৬ মে ২০১২, সোমবার, ০৬:১২:৩৪ পূর্বাহ্ন


লংআইল্যান্ডে ঈদ পুনর্মিলনী ও বৈশাখী উৎসব
দেশ রিপোট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৪-২০২৪
লংআইল্যান্ডে ঈদ পুনর্মিলনী ও বৈশাখী উৎসব অনুষ্ঠানে অতিথি ও আয়োজকবৃন্দ


নিইউয়ার্কের বাঙালিদের মাঝে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে কাজ করে যাচ্ছে নাসাউ বাংলাদেশি কমিউনিটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ এপ্রিল লং আইল্যান্ডে ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী ও বৈশাখী উৎসবের আয়োজন করে সংগঠনটি।

অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সিনেটর ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এবং উল্লেখযোগ্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। শুরুতেই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে বৈশাখী মেলা, নাচ-গান, বাচ্চাদের পারফর্মেন্স, পুঁথি পাঠ, ম্যাজিক শোসহ নানান আয়োজন ছিল। আর এসব উপপভোগ করতে প্রবাসীরা অনুষ্ঠানে আসেন বাঙালি সাজে। নারীরা পড়েছিলেন লাল-সাদা শাড়ি আর ছেলেরা পাঞ্জাবি-পায়জামা। শিশুরাও সেজেছিল বাঙালি সাজে। এ যেন সুদূর আমেরিকায় ছোট্ট এক বাংলাদেশ।

মূলত প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরদের বাংলাদেশের নিজস্ব কৃষ্টি কালচার ও উৎসবের সঙ্গে পরিচিতি এবং যুক্ত থাকার উদ্দেশ্যে এই আয়োজন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা দি ইউনাইটেড স্টেটস সুপ্রিম কোর্ট বারের সদস্য, এক্সিডেন্ট কেইসেস, মেডিকেল মেলপ্রেকটিস ও ইমিগ্রেশন বিষয়ে অভিজ্ঞ, বাংলাদেশি আমেরিকান এটর্নি এট ল মঈন চৌধুরী।

এসময় ডেমোক্রেটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার মঈন চৌধুরী উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটি একটি সুন্দর আয়োজন। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা যেমন আনন্দিত হই, তেমনি আমাদের পরস্পরের মাঝে একটি সামাজিক বন্ধন তৈরি হয়। একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারি। সর্বোপরি বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন প্রজন্মের মেলবন্ধন তৈরি হয়। আশা করবো নাসাউ বাংলাদেশি কমিউনিটি আমাদের আরও সুন্দর সুন্দর প্রোগ্রাম উপহার দেবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নাসাউ বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন মোতাছির মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শামিবুর রহমান (শামীম), ভাইস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া হক, আশিকুজ্জামান চোধুরী, মনিরুর রহমান প্রমুখ।

নাসাউ বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন মোতাছির মিয়া জানান, এবার ঈদুল ফিতরের পরপরই পহেলা বৈশাখ পালিত হয়েছে। তাই দুটি উৎসব আমরা একসঙ্গে উদযাপন করতে পেরে আনন্দিত। আয়োজকরা বলেন, পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা মানে শুধুমাত্র উৎসবে মেতে ওঠা নয়, বাঙালির বর্ষবরণ সংস্কৃতিকে পরবর্তী প্রজন্মকে জানিয়ে দেওয়াও উদ্দেশ্য।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কৃষ্ণা তিথি, শানু হোসাইন, অর্ণব ও আয়না মাহিবা। আর নাচ পরিবেশন করেন আরটিভি ইয়াং স্টার লিনা মানহা, প্রিয়া ডায়েস। এছাড়া শামীমের একের পর এক মনোমুগ্ধকর ম্যাজিক পরিবেশনায় অনুষ্ঠানটি আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

মনমাতানো গানের মুছনায় আর বাহারী বাঙালী খাবারের ডিনার শেষে সবাই খুব সুন্দর একটি সন্ধায় কাটিয়ে বাড়ি ফিরেন।

শেয়ার করুন