১৭ মে ২০১২, শুক্রবার, ০৮:২৩:৪৭ পূর্বাহ্ন


মার্কিন রিপোর্ট, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য ফখরুলের আশাবাদ কিসের ইঙ্গিত
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৫-২০২৪
মার্কিন রিপোর্ট, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য ফখরুলের আশাবাদ কিসের ইঙ্গিত


বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কড়া সমালোচনা করেছে। এর পর দেশটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে প্রথমবারে মতো উঠে এসেছে খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ। এর পাশিাপাশি ঢাকায় বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সম্প্রতি কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য দিয়েছেন। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানান ধরনের গুঞ্জন, উদ্বেগ উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। ইঙ্গিত দিচ্ছে ভিন্ন প্রেক্ষাপটের, মিলছে রহস্যের ডালপালা। প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে আসলে কি হয়েছে বা হতে যাচ্ছে। 


মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্ট

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অক্ষমতা রয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপও আছে দেশটিতে। মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের বিষয়ে ব্যাপক দায়-মুক্তির কড়া সমালোচনা করে এভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টটি গত ২২ এপ্রিল সোমবার প্রকাশ করা হয়। মোদ্দাকথা বাংলাদেশে ২০২৩ সালে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বলা হয় যে ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে এসব পরিস্থিতি তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ওই বছরে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা পুনঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার বা সরকারি সংস্থা বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডসহ বিধিবহির্ভূত নানা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে খবর রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে মোট কতজন নিহত হয়েছে, সরকার সেই সংখ্যা প্রকাশ করেনি, আবার ঘটনাগুলো তদন্তে স্বচ্ছ পদক্ষেপও নেয়নি।

একটি ব্রিফিং কিছু স্পর্শকাতর তথ্য

স্থানীয় সময় সোমবার (২২ এপ্রিল) সারা বিশ্বের বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্ট-২০২৩ প্রকাশ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ব্রিফিংকালে দাবি করা হয় একটি বিস্ফোরক তথ্য। এতে বলা হয় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয় ওই বছরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বাংলাদেশের হাসপাতালে। এটা দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান উপ-সহকারী সচিব ও ব্যুরো অব ডেমোক্রেসি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লেবারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রবার্ট এস গিলক্রিস্ট। তিনি ব্রিফিংয়ে আরেকটি বিষয় মারাত্মকভাবে তুলে ধরেন। এখানে একটি আরো একটি স্পর্শকাতর বিষয় উল্লেখ করা হয়। দাবি করা হয় যে, সরকার এবং শাসকদের দ্বারা একটি ইতিবাচক পরিবর্তন সহজতর করতে সহায়তা করতে সক্ষম যুক্তরাষ্ট্র।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া আওয়ামী লীগের

রিপোর্ট প্রকাশের পরপর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকার পরও দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটাতে দীর্ঘদিন ধরে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের বাইরে থেকেও এই চক্র সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন ও নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। গত ২৯ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের প্রচারপত্র বিতরণ উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান। অন্যদিকে গত ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাস ভবনে কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহি কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অতি বাম, অতি ডান- সবাই এখন এক হয়ে সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেছেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমাদের দেশের কিছু লোক, যারা একেবারে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া- এদের কিছু বক্তব্য আর আমাদের দেশের কিছু আছে বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করে, সেই তথাকথিত বুদ্ধিজীবী অনবরত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গিবত গাইছে এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, এ দেশের অতি বাম, অতি ডান-সবই এখন এক হয়ে গেছে, এটা কীভাবে হলো, আমি জানি না। এই দুই মেরু এক হয়েও সারাক্ষণ শুনি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে হবে। অপরাধটা কী আমাদের?’ করোনা মহামারিতে বিনা পয়সায় সরকার টিকা দিয়েছে, জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর ধনী দেশগুলো দেয়নি। কিন্তু বাংলাদেশ দিয়েছে। করোনার পরীক্ষা বিনা পয়সায় করা হয়েছে। কোনো ধনী দেশও তা করেনি।

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের হামলার ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই দেশে মানবাধিকার কতটুকু আছে, সেটাই প্রশ্ন। কথা বলার স্বাধীনতা কতটুকু আছে, সেটাই প্রশ্ন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অধিকার কতটুকু আছে, সেটাই প্রশ্ন। বাংলাদেশের ওপর মানবাধিকারে রিপোর্ট লেখে, নিজেদের আয়নার চেহারা দেখে না। এটাই প্রশ্ন। প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে আরও বলেন, ‘মানবাধিকার সংস্থা, বিচার বিভাগ, যারা নিষেধাজ্ঞা দেয়, আমাদের ওপর খবরদারি করে, তাদের কাছে জবাব চাই। সেখানে আমার বাঙালি কেন মারা যাবে? ওই রকম ছোট্ট একটা শিশুকে মায়ের কোল থেকে নিয়ে হত্যা করা! শিক্ষকদের ওপর নির্যাতন করা, এর জবাব আমরা চাই। এটা তো সম্পূর্ণ মানবাধিকার লঙ্ঘন।’

বিএনপি যা বললো

যদিও অনেকটা দেরি বিশেষ করে বিএনপি একেবারের শীর্ষ পর্যায় থেকে তারপরে তা ছিল একটু ভিন্ন মাত্রা। কেননা বিএনপি’র পক্ষ থেকে মাঠে একেবারে তেমন জোড়ালো আন্দোলন নেই এবং পাশাপাশি দলটি কাহিল সরকারের নানান ধরনের রাজনৈতিক কৌশলে। সে-ই সময় সব হতাশা ছাপিয়ে মার্কিন রিপোর্টটি প্রকাশের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যটি ছিল ইঙ্গিতপূর্ণ। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতই অত্যাচার-নির্যাতন করুক না কেন, জনগণের কাছে তাদের পরাজয় বরণ করতেই হবে।

সব মিলিয়ে বার্তা কি?

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করে রিপোর্ট-২০২৩ প্রকাশ করেছে। এর আগে এমন রির্পোটের পরপরই বাংলাদেশের মাঠের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি গত দু’বছর বেশ দাবড়িয়ে বেড়িয়েছে। বিশেষ করে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার আরোপের পর বিএনপি আওয়াশী লীগ সরকারের ওপর বেশ চাপ সৃষ্টি করে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। র‍্যাব ও তার ছয় কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার লংঘনের দায়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। আবার এবার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করে রিপোর্ট-২০২৩ প্রকাশ করেছে যখন ২০২৪ সালের নির্বাচনকে পশ্চিমারা সুষ্ঠু হয়নি বলে মারাত্মকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়। আর এজন্যই মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করে রিপোর্ট-২০২৩ ’টি এবারের রাজনৈতিক অঙ্গনে ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে। 

ভিন্ন বার্তার আরো নমুনা

রিপোর্টটি প্রকাশের পর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে মার্কিনীদের একটি মন্তব্যও আরো বড়ো ধরনের বার্তা দেয়। বার্তাটির প্রেক্ষাপট দেখা যাক আগে। যুক্তরাষ্ট্র সারাবিশ্বের বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্ট-২০২৩ প্রকাশ করে। এ উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ব্রিফিং হয়। তবে প্রকাশিত মানবাধিকার রিপোর্টের ওপর সূচনা বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিকেন। মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের সঞ্চালনায় কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দেন গিলক্রিস্ট। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক মুশফিক ফজল আনসারী। তার এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব ডেমোক্রেসি, রাইটস অ্যান্ড লেবারের শীর্ষ কর্মকর্তা অ্যাম্বাসেডর রবার্ট গিলক্রিস্ট জানান একটি স্পর্শকাতর তথ্য। সাংবাদিক মুশফিক জানতে চান- বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্ট-২০২৩ এ নির্বিচারে হত্যা, নির্যাতন এবং রাজনৈতিক কারাবাসসহ উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতার ক্ষেত্রে- যেমন আপনি উল্লেখ করেছেন, তার আটকাদেশ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে দূরে সরানোর একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত। তাহলে আপনি কীভাবে নিশ্চিত করবেন যে এই রিপোর্টগুলো বাস্তব পরিবর্তনের দিকে পরিচালিত করে এবং ক্ষমতাসীন সরকারকে তাদের চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিণতির মুখোমুখি করে? এর জবাবে অ্যাম্বাসেডর গিলক্রিস্ট বলেন, আমি মনে করি যা ঘটবে তা নিশ্চিত করে বলা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। নিশ্চিতভাবেই মানবাধিকার রিপোর্টের সঙ্গে আমাদের প্রত্যাশা নির্দিষ্ট বিষয় এবং নির্দিষ্ট মানবাধিকার সংক্রান্ত উদ্বেগের উপর আলোকপাত করে, আমরা সরকার এবং শাসন ব্যবস্থার দ্বারা একটি ইতিবাচক দিক পরিবর্তন করতে সহায়তা করতে সক্ষম হবো। প্রশ্ন হচ্ছে কি ঘটবে? কি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে বলে আগাম বার্তা দিয়ে মন্তব্য করলেন অ্যাম্বাসেডর গিলক্রিস্ট? কেনো বললেন ‘আমরা সরকার এবং শাসনব্যবস্থার দ্বারা একটি ইতিবাচক দিক পরিবর্তন করতে সহায়তা করতে সক্ষম হবো।” বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই বিষয়গুলি নিয়ে বেশ রহস্যের সৃষ্টি করেছে। 

খালেদাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত্রে কারা?

প্রশ্ন হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছে । এতে আরো বলা হয় ওই বছরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু কারা কোন কোন দেশ বা ব্যক্তি এই ধরণের কর্মবান্ডে জড়িত আছে বা ছিল? কে এমন চক্রান্ত রুখে দিয়েছে ব্যর্থ করে দিচ্ছে বা দিয়েছে?

রহস্যে ঘি ঢেলে দিলেন আরেক মার্কিন কর্মকর্তা

এদিকে গত সপ্তাহের শেষে দিকে গত ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আইপিএস নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) ও বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। এতে মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলে ফেলেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমসহ নানা জায়গায় শুনেছি যে, ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। এটা সত্যি না। 

শেষ কথা

সার্বিক বিষয়গুলি বিশ্লেষণ করলে আমলে অনেক প্রশ্লের উত্তর আসলে এখনো মিলবে না, তবে নানান ধরনের রহস্যের ডালপালা মিলছে। আর এমন রহস্যের ডালপালা আরো মেলে, যখন ক্ষমতাসীনদের মধ্য থেকে কেউ বলে বসেন, দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটাতে দীর্ঘদিন ধরে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও বিএনপি’র ঘাড়ে বন্দুক রেখে বা দোষ চাপিয়ে কুল কিনারা খোঁজার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যায় ক্ষমতাসীনদের অন্যতম শরিক জাপা কেনো ঠিক এমন সময়ে বলে বসে তিনটি বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে এবং নির্বাচন সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। কেনোই-বা ক্ষমতাসীনদের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছে? সব মিলিয়ে আসলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ‘মার্কিন রিপোর্ট’, ‘প্রধানমন্ত্রী, কাদেরের মন্তব্য’ ‘ফখরুলের আশাবাদ’- কিসের ইঙ্গিত রাজনীতিতে?

শেয়ার করুন