বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিকাগোতে শেষ হলো টার্কিস ফেস্টিভাল। গত ২৪ মে শুক্রবার জুমার নামাজ থেকে শুরু হয়ে ফেস্টিভাল শেষ হয় ২৬ মে রোববার সন্ধ্যায়। শিকাগোর বিখ্যাত রোজমন্ট কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল এর্তোগুল ইউএসএ ইনক। অনুষ্ঠানটির গ্র্যান্ড স্পন্সর ছিল জাকাত ফাউন্ডেশন অব আমেরিকা। বর্ণ্যাঢ্য এ আয়োজনে ছিল মুসলিম ফ্যাশন, মুসলিম সভ্যতার বিভিন্ন ধরনের খাবার, লোক-সংস্কৃতির নান্দনিক উপস্থাপনা। ফেস্টিভালে মুসলিম সংস্কৃতির নানা দিক নিয়ে প্যানেল আলোচনা যোগ করে নতুন মাত্রা।
মূলত বিভিন্ন মুসলিম দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরাই ছিল এ অনুষ্ঠানের মূল । তুরুস্কের পাশাপাশি আরব, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে প্রায় দুই শতাধিক অভিনেতা, শিল্পী কলাকুশলী, প্যানেলিস্ট যোগ দেন এ অনুষ্ঠানে। তুর্কি ভাষার পাশাপাশি ছিল আরবি, উর্দু ও বাংলা সেশন।
গত ২৫ মে শনিবার ‘তুর্কি-বাঙালি মুসলিম সংস্কৃতির ঐতিহাসিক সংলাপ’ শীর্ষক বাংলা সেশনে আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, ইতিহাস গবেষক ও ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর সাবেক এমডি মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, মুসলিম নিউজ নেটওয়ার্ক এর সম্পাদক ও স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের এডজাঙ্ক ফ্যাকাল্টি মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন আনসারী, ইউনিভার্সিটি অব ক্যান্টাকির ফ্যাকাল্টি ড. নাজমুস সাকিব। ২৬ মে রোববার অনুষ্ঠিত হয় বাংলা কালচারাল শো। এতে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন যথাক্রমে শিল্পী ইকবাল ও রাসেল, লোকসংগীত পরিবেশন করেন মরিয়ম মারিয়া ও চন্দন চৌধুরী। বাংলা কবিতা আবৃত্তি করেন শোয়াইব আহম্মেদ ও রুমাইসা আনসারী।
বাংলার পাশপাশি আরবি ও উর্দু ভাষায় পৃথক পৃথক সেশন ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা বহুমাত্রিক সংস্কৃতির মেলবন্ধন তৈরি করে। এ অনুষ্ঠানে প্রায় ৫ শতাধিক স্টলের পসরা বসেছে বলে জানান আয়োজকরা। প্রথমবার আয়োজন করে সফল হওয়ায় ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে আয়োজকদের। ফেস্টিভালের আহ্বায়ক হালিল দেমির বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি রয়েছে, যা থেকে মার্কিন সমাজ উপকৃত হতে পারে। আমরা ৫ হাজার লোকের জন্য এ আয়োজন করেছিলাম কিন্তু তা ছাড়িয়ে গেছে ১০ হাজারের উপরে।
জ্যাজ ফ্লুটিস্ট কামিলাহ ফুরকান, তুর্কি সংগীতশিল্পী ফাতিহ কোকা, তুর্কি বংশোদ্ভূত মেসেডোনিয়ান গায়ক মেসুত কুর্তিস এবং মলডোভান গায়িকা লিওনিদা টিমুসের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।