২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ১০:৫১:১৭ পূর্বাহ্ন


এনজিওগ্রামে ধরা পরে হার্টে কয়েকটি ব্লক, রিং পরানো হয়েছে
নিবিড় পর্যবেক্ষনে আরো কিছুদিন খালেদা জিয়া
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৬-২০২২
নিবিড় পর্যবেক্ষনে আরো কিছুদিন খালেদা জিয়া


রিং পরানো হয়েছে। এখন সুস্থ্য হয়ে ওঠার কথা। কিন্তু সেটা তিনি হচ্ছেন না। ৭২ ঘন্টার নিবিড় পর্যবেক্ষনেও কোনো কিছু ঠাহর করা না যাওয়ার পর এবার আরো কিছুদিন। সেটা এখন আর দিনক্ষন বলে নয়। তার সুস্থ্যতা স্বাভাবিক পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত তাকে পর্যবেক্ষনে রাখা হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেননা খালেদা জিয়া তো আর একটি দুটি রোগে ভুগছেন না। অনেকগুলো জটিল রোগে এক সঙ্গে ভুগছেন। এতে করে অনেক অসুস্থতার সঠিক চিকিৎসা করা যায় না। এতে অন্যটির সমস্যার কারন হয়ে দাড়ায়। এভাবেই সর্বোচ্চটা দিয়ে চালানো হচ্ছে তাকে। 

রিং পরানো হয়েছে

হাসপাতালে ভর্তির পরপরই মেডিকেল বোর্ড বসে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় করনীয় সম্পর্কে আলোচনায় বসে। সেখানেই এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত হয় এবং এনজিওগ্রামে হার্টে কয়েকটি ব্লক ধরা পরে। পরবর্তিতে অবস্থা নাজুক দেখে তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তে রিং পরানো হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে। তার হার্টে বেশ কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ে। তার মধ্যে একটি ব্লক ছিল ৯৫ শতাংশ। সেটিতে রিং পরানো হয়েছে।’

উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এ জন্য তাকে মেডিকেল বোর্ড দেশের বাইরে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিলেও সরকারের অনুমতির অভাবে সেটা করানো যাচ্ছেনা। যদিও এদিন এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎকার জন্য যেতে হলে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুসারেই যেতে হবে। 


খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে হটাৎ অসুস্থতাবোধ করলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) তে ভর্তি করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়লুল কবির খান মিডিয়াকে নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি এ সময় বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া হটাৎ অসুস্থবোধ করলে তাকে দ্রুত বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্বাবধায়নে রাত ৩.২০ এর দিকে ভর্তি করা হয়েছে। 

এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এমনিতে এখন স্ট্যাবল (স্থিতিশীল) আছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর, বিশেষ করে এনজিওগ্রাম করার পর বোঝা যাবে সমস্যা কতটা জটিল। এমনিতেই তো তিনি গুরুতর পেশেন্ট। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।’

বিএনপির মহাসচিব  বলেন, ‘দিবাগত রাত ২টার দিকে ডা. এ জেড এম জাহিদের কাছে খবর পাই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থবোধ করছেন, তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিতে হবে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ম্যাডামের ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর আমি চলে আসি। আসার পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কথা হয়। তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের সঙ্গেও কথা হয়। এরপর হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আমরা আশাবাদী, দোয়া করি আগের মতোই তিনি অসুস্থতা কাটিয়ে উঠবেন এবং সুস্থ হয়ে আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন।’ 

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘চিকিৎসকেরা এরই মধ্যে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো করেছেন, সেগুলো অনুযায়ী আগের দিন বিকেল থেকে তাঁর হার্টে কিছু সমস্যা দেখা গেছে। তিনি তো একটু চাপা স্বভাবের মানুষ, কিছু বলেননি কাউকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং ডা. এফ এম সিদ্দিক তাঁকে চেকআপ করতে গেছেন, তখনই তাঁর প্রবলেমের বিষয়টি জানা যায়। তখনই তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।’ 



শেয়ার করুন