২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৪:৪২:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসছে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৭-২০২২
বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসছে


বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্ধশতাব্দীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বোচ্চ সুদহার ঘোষণা করেছে।

ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক বলছে, ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরার চেষ্টায় সুদহার বৃদ্ধি ছাড়া বিকল্প উপায় ছিল না। মার্চ মাসের পর এটি তৃতীয় দফা সুদহার বৃদ্ধির ঘটনা ঘটলো।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক বলেছে, গত মাসেও মুদ্রাস্ফীতি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। ভোক্তাদের জীবনে নাভিশ্বাস ওঠেছে। অর্থনীতিবিদরা দ্রব্যমূল্য আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন। তারা বলেছেন, অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। ব্যাংকগুলোর ঋণের ওপর ফেডারেল সুদহার বছর শেষে ৩.৪ শতাংশ পর্যন্ত যেতে পারে। ফলে মর্টগেজ, ক্রেডিট কার্ড এবং অন্যান্য ঋণের ওপর সুদহার বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে জনগণের ওপর আর্থিক চাপ আরও বাড়তে পারে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্বের সর্বত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার জন্য একই পন্থা অবলম্বন করতে শুরু করেছে, যা সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে।

কৌশল নির্ধারণী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইরয়াই পার্থিনন এর প্রধান অর্থনীতিবিদ গ্রেগরি ড্যাকো বলছেন, ’অধিকাংশ অগ্রসর অর্থনীতির দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং কিছু বিকাশমান দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের অর্থনৈতিক নীতিমালাকে কঠোর করছে। আমরা গত কয়েক দশক যাবত যে আন্তর্জাতিক পরিবেশ দেখতে অভ্যস্ত তার পরিবর্তন ঘটে চলেছে এবং বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়ছে।’

যুক্তরাজ্যে ভোগ্যপণ্যের মূল্য গত এপ্রিল মাসে ৯ শতাংশ বেড়েছে। গত দেড় মাসে মূল্য সূচক আরও বেড়েছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড গত ডিসেম্বর মাসের পর থেকে এ পর্যন্ত সুদহার পঞ্চম দফা বৃদ্ধি করেছে। ব্রাজিল, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও সুদহার বাড়িয়েছে। ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক আভাস দিয়েছে, আসছে গ্রীষ্মে তারা সুদহার বৃদ্ধি করবে।

২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখার জন্য ফেডারেল রিজার্ভ বছরে দু’বার ০.২৫ শতাংশ হারে সুদহার বৃদ্ধি করেছিল। ওই সময় ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল বলেছিলেন, ’তারা দ্রæত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন না।’

গত সপ্তাহে মুদ্রাস্ফীতির হার ৮.৬ শতাংশে উন্নীত হওয়ায় ফেডারেল সরকার সংকটে পড়েছে। গত ৩০ বছরে মুদ্রাস্ফীতি হার এত দ্রæত এই পরিমাণ কখনো বাড়েনি। পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কী করা যেতে পারে তা নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে। পাওয়েল বলেন, ’মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে আনা দরকার। তিনি স্বীকার করেন যে, মুদ্রাস্ফীতি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

কোনো কোনো পর্যবেক্ষক বলছেন যে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে পেরে ওঠার মতো ব্যবস্থা ফেডারেল রিজার্ভের নেই। তারা অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি এখনো বুঝতে অক্ষম। কারণ পাওয়েল গত বছর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সমস্যাকে সাময়িক ও সরবরাহ ব্যবস্থার সমস্যার সাথে জড়িত বলে উল্লেখ করেছিলেন। মূলত তখন থেকে মুদ্রাস্ফীতি তীব্র হতে শুরু করে। এরপর ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি নাজুক করেছে। কোভিডের আক্রমণতো আগে থেকেই ছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে পরিচালিত অধিকাংশ সমীক্ষায় দেখা গেছে যে দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি আরো শোচনীয় হওয়ার আশঙ্কা থেকে মুক্ত হতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ। তারা মনে করছেন যে ফেডারেল রিজার্ভ দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল পর্যায়ে আনার প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করলেও তাদের পক্ষে পরিস্থিতির অবনতি রোধ করা হয়ত সম্ভব হবে না।


শেয়ার করুন