১১ ডিসেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৬:০২:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ফ্যাক্টচেকিং ও কনটেন্ট মডারেশন কর্মীদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা ৮ ডিসেম্বর থেকে এফ ও এম সাবওয়ে লাইন সপ্তাহের দিনে রুট পরিবর্তন উইন রোজারিওর খুনি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে লেটিকেয়ার অস্বীকৃতিতে জাপানের প্রথম রাজধানী নারা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া পদত্যাগ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘোষণা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বয়কট নিষিদ্ধ করে অ্যাডামসের বিতর্কিত আদেশ হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারির ভাতিজার মাকে মুক্তির নির্দেশ বিশ্বকাপ ফাইনালে টিকেটের দাম ৬ হাজার ডলার ট্রাম্প প্রশাসন বিবেচনা করছে আরো ৩৬ দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারণ


এমিরেটসের ট্রেড পার্টনার অ্যাপ্রিসিয়েশন ডিনার ও ব্যবসায়িক মিলনমেলা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-১২-২০২৫
এমিরেটসের ট্রেড পার্টনার অ্যাপ্রিসিয়েশন ডিনার ও ব্যবসায়িক মিলনমেলা বক্তব্য রাখছেন এমিরেট সের নর্থ আমেরিকা ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাথিউ জোন্স


আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন খাতের সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান এমিরেটস এয়ারলাইনস তাদের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক সহযোগী ও অংশীদারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এবং ভবিষ্যৎ যৌথ কার্যক্রম আরো জোরদার করার উদ্দেশ্যে গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত জ্যাকসন হাইটসের সানাই রেস্টুরেন্টে আয়োজন করে এক বিশেষ সন্ধ্যা-ট্রেড পার্টনার সম্মাননা নৈশভোজ। ইভেন্টটি আয়োজন করেন এমিরেটসের কমার্শিয়াল অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার মোহাম্মদ এলনুমান এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমিরেটসের নর্থ আমেরিকা ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাথিউ জোন্স। অনুষ্ঠানে এমিরেটসের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নিউইয়র্কের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির কর্ণধার, সেলস টিম, মার্কেটিং স্টাফ এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। বাংলা ট্রাভেলসের প্রেসিডেন্ট বেলায়েত হোসেন, ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরসের মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বশির ট্রাভেল ট্রেড পার্টনারদের পক্ষ থেকেও তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।

স্বাগত বক্তব্যে মোহাম্মদ এলনুমান বলেন, ব্যবসায়িক অংশীদারদের প্রতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও পারস্পরিক সহযোগিতার ধারাবাহিকতাকে আরো মজবুত করতেই এ আয়োজন। এমিরেট সের ব্যবসায়িক সাফল্যের পেছনে ট্রেড পার্টনারদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের নিরবচ্ছিন্ন সমর্থনেই যাত্রী পরিবহন বৃদ্ধি, মার্কেট শেয়ার শক্তিশালী করা এবং আন্তর্জাতিক রুটে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এমিরেট সের অগ্রযাত্রা একার নয়; প্রতিটি ট্রেড পার্টনারই এই যাত্রার প্রকৃত অংশীদার। আজকের এই ডিনার তাদের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতারই প্রকাশ।

তিনি আরো জানান, এমিরেট স নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে ২৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করে-অর্থাৎ নিউইয়র্ক-দুবাই রুটে প্রতিদিন প্রায় তিনটি ফ্লাইট রয়েছে। এছাড়া মিলান রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হয়। ঢাকাগামী যাত্রীদের জন্য নিউইয়র্ক-দুবাই-ঢাকা রুট বর্তমানে অত্যন্ত সুবিধাজনক ও জনপ্রিয় পথ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যাত্রীরা দুবাই হয়ে স্বল্প সময়ে সহজেই ঢাকায় পৌঁছতে পারেন এবং সম্প্রতি এমিরেট স তাদের বিমানে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালু করায় যাত্রী অভিজ্ঞতা আরো উন্নত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে এমিরেট স বিশেষভাবে জনপ্রিয়-বিশেষ করে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি এবং অন্যান্য বড় শহরে। দুবাই এয়ারপোর্টে সহজ ট্রানজিট, লাগেজ সংযোগ, নতুন যাত্রীদের জন্য লাউঞ্জ সুবিধা এবং দ্রুত ট্রান্সফারের অপশন এমিরেটসকে আরো সুবিধাজনক করে তুলেছে। ফ্লাইটের সময়, পরিষেবার মান, ফ্রিকোয়েন্সি এবং নির্ভরযোগ্যতার কারণে নিউইয়র্ক-দুবাই-ঢাকা রুটটি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ভ্রমণের শীর্ষ পছন্দে পরিণত হয়েছে।

আনুষ্ঠানিক আলোচনায় এমিরেটসের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, রুট উন্নয়ন, বাজার সম্প্রসারণ এবং সম্ভাব্য অংশীদারিত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি ম্যাথিউ জোন্স। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শীর্ষ এয়ারলাইন এমিরেট স নিউইয়র্ক থেকে দুবাই হয়ে ঢাকাগামী যাত্রীদের জন্য সেবা ও সংযোগ বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশি যাত্রীদের ভ্রমণ চাহিদা বৃদ্ধি, উন্নত ইন-ফ্লাইট সেবা এবং দুবাইয়ে আরামদায়ক ট্রানজিট সুবিধার কারণে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এমিরেটসের যাত্রী সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তিনি আরো জানান, নিউইয়র্কের জেএফকে থেকে প্রতিদিন একাধিক ফ্লাইট দুবাইয়ের উদ্দেশে ছাড়ে, এবং দুবাইয়ের অত্যাধুনিক টার্মিনাল-৩ থেকে যাত্রীরা সহজেই ঢাকাগামী ফ্লাইটের সঙ্গে সংযোগ পাচ্ছেন। শুধু বাংলাদেশি যাত্রী নয়-দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ভ্রমণকারী ব্যবসায়ী, পর্যটক ও শিক্ষার্থীদের কাছেও এই রুট সমানভাবে জনপ্রিয়।

শুধু নিউইয়র্কই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলেস, স্যান ফ্রান্সিস্কো ও ওয়াশিংটন ডিসি থেকেও এমিরেটসের ঢাকাগামী কানেকশনের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাত্রীরা এসব শহর থেকে দুবাই হয়ে সহজেই ঢাকা পৌঁছাতে পারছেন। দুবাইয়ের বিশ্বমানের বিমানবন্দর সুবিধা এবং সুবিধাজনক ট্রান্সফারের কারণে এই রুট বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক সংযোগে পরিণত হয়েছে।

এমিরেট সের প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাস যাত্রীদের জন্য উন্নত আরাম, প্রশস্ত আসন এবং বিশেষ সেবা নিশ্চিত করে। এ ক্যাবিনে যাত্রীরা সাধারণ ইকোনমি থেকে বড় এবং আরামদায়ক আসনে বসে যাত্রা উপভোগ করতে পারেন, যার মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত পায়ের জায়গা, উন্নত লেগরুম এবং রিক্লাইন সুবিধা। প্রিমিয়াম ইকোনমির যাত্রীদের জন্য আলাদা ক্যাবিন, দ্রুত চেক-ইন এবং প্রাধান্য ভিত্তিক বোর্ডিং সুবিধা প্রদান করা হয়।

এমিরেটস তাদের বোয়িং ৭৭৭ ও এয়ারবাস এ৩৮০ বিমানে আরামদায়ক আসন, উন্নত ইন্টারটেনমেন্ট সিস্টেম, হালাল খাবার এবং পরিবারবান্ধব সুবিধা দিয়ে যাত্রী অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করছে। দুবাইয়ে দীর্ঘ ট্রানজিট হলে যাত্রীরা হোটেল সুবিধা, লাউঞ্জ, শাওয়ার রুমসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়া বাংলাদেশগামী যাত্রীদের জন্য এমিরেটসের লাগেজ অ্যালাউন্স সাধারণত অন্যান্য অনেক এয়ারলাইনসের তুলনায় বেশি হওয়ায় পরিবারভিত্তিক ভ্রমণে এমিরেটস যাত্রীদের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠছে।

শেয়ার করুন