বক্তব্য রাখছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়
গাইবান্ধা সোসাইটি নিউইয়র্কে ‘গাইবান্ধা মুক্ত দিবস’ উদযাপন করেছে। সম্ভবত এই প্রথম কোন জেলার সংগঠন তাদের মুক্তির দিন উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করলো। এজন্যে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও সুধীজন এই সোসাইটির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
জুইশ সেন্টারের অনুষ্ঠানটি শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের পর জ্বলন্ত মোমবাতি হাতে সমবেত কণ্ঠে দেশের গান পরিবেশনের মাধ্যমে। এ গানে অংশ নেন রেজা রহমান, মুক্তি সরকার, মাহফুজ তুহিন, দিলীপ প্রমুখ। তবলায় সঙ্গত করেন তপন মোদক। এরপরই মুক্তিযুদ্ধে গাইবান্ধার স্মৃতি নিয়ে লেখা সংকলনের মোড়ক উম্মোচন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অতিথিগণকে পাশে নিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়।
গাইবান্ধা সোসাইটির সভাপতি শাহজাহান সর্দারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপবেশন এবং বক্তব্য রাখেন নতুন প্রজন্মের সুবর্ণ রহমান, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার ভেটার্ন্সে-ইউএসএর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র ইনকের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুকিত চৌধুরী, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির পক্ষে ফার্স্ট সেক্রেটারি নূরএলাহি মিনা, কন্সাল জেনারেলের প্রতিনিধি আসিফ আহমেদ, লেখক হোসনে আরা, বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সিটি মেয়রের এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মান, হোস্ট সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রেজা রহমান এবং ‘৭ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল আওয়াল দুলাল।
বক্তব্যকালে একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। উন্নয়নের এই অগগতি থামিয়ে দিতে কোনো কোনো মহল গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। কারণ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি আবার যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়, তাহলে পিছিয়ে যাবে সবকিছু।