৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০৬:৪১:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


জাসাসের বিক্ষোভে হেলাল খান
শুধু তারেককে নয় ডা. জোবাইদাকেও ভয় পাচ্ছে হাসিনা সরকার
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৮-২০২৩
শুধু তারেককে নয় ডা. জোবাইদাকেও ভয় পাচ্ছে হাসিনা সরকার বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা


বর্তমান সরকার বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায় যে কারণে তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে গৃহবন্দি করে রেখেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভয় পায় যে কারণে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে একের পর এক সাজা দিচ্ছে। এখন দেখা যাচ্ছে ডা. জোবাইদা রহমানকেও এই স্বৈরাচারী সরকার ভয় পাচ্ছে, যে কারণে তার বিরুদ্ধেও সাজা ঘোষণা করেছে। গত ৬ আগস্ট সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় যুক্তরাষ্ট্র জাসাস আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নায়ক হেলাল খান এই সব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার সায়েম রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দীর পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফ মাহমুদুল হক, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন সবুজ, নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ফয়েজ চৌধুরী, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সদস্য সচিব সাঈদুর রহমান, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাষ্ট্র যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ আহমেদ, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট বিএনপির উপদেষ্টা এম এ বাতিন, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর খান হারুণ, যুক্তরাষ্ট্র যুবদল নেতা আমানত হোসেন আমান, মোহাম্মদ খোকন, মোহাম্মদ বুলবুল, শেখ হায়দার আলী, ফয়সাল আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জনি, নূরে আলম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেলাল খান বলেন, বর্তমান সরকার বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায় যে কারণে তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে গৃহবন্দি করে রেখেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভয় পায় যেকারণে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে একের পর এক সাজা দিচ্ছে। এখন দেখা যাচ্ছে ডা. জোবাইদা রহমানকেও এই স্বৈরাচারী সরকার ভয় পাচ্ছে, যে কারণে তার বিরুদ্ধেও সাজা ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, এই সব রায় সবই ফরমায়েশি রায়। আমরা এই রায় ঘৃণাভারে প্রত্যাখ্যান করছি। তিনি আরো বলেন, এই স্বৈরাচারি সরকারের পতন নিশ্চিত। বাংলাদেশে মানুষে রাস্তায় নেমেছে, যে কারণে আবল তাবল বকছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিবেন। তিনি আরো ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন, আমরা তাই-ই মনে করেছিলাম। ২০১৮ সালের নির্বাচন করে প্রমাণ করে দিয়েছেন এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তিনি আরো বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশের সময় ৪৬ লাখ নতুন সিম ঢাকায় প্রবেশ করেছিল, তা নিয়ে সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পেরেসান। পেরেশান হয়ে লাভ নেই- হামলা, মামলা, সাজা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। এই স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা সরকারকে বিদায় নিতে হবে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এখনো সময় আছে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে সেফ এক্সিট নিশ্চিত করুন, তানাহলে সেই সুযোগটিও পাবেন না। আমরা জানি কীভাবে দাবি আদায় করতে হয়।

ইঞ্জিনিয়ার সায়েম রহমান প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই স্বৈরাচারি সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে উঠেছে। এই যতদিন পর্যন্ত পদত্যাগ না করবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, আমরা জাতিসংঘ, হোয়াইট হাউস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে বিক্ষোভ করবো এবং এই নব্য স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত করে ঘরে ফিরে যাবো।

আবু সাঈদ আহমেদ বলেন, যে মামলায় তারেক রহমান এবং ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েসী রায়ে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে, তা ১/১১ এর সরকারের আমলের মামলা। এই ১/১১ সরকার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা করেছিল, সেই মামলাগুলো কই? তিনি বলেন, এক সময় এই সব মামলারও রায় হবে, সেই দিন বেশি দূরে নয়।

এম এ বাতিন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় দিয়ে লাভ নেই। কারণ বাংলাদেশের মানুষ জানে এই সব মামলা মিথ্যা বানোয়াট। তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার জন্যই এই রায় দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই সরকারের পতন হলে এসব রায়ও কার্যকর হবে না।

জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশকে সফল করার জন্য সসবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। বিক্ষোভ সমাবেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন