০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১০:০৯:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ড. মোমেনের বৈঠক
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০১-২০২৩
চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ড. মোমেনের বৈঠক বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিন গ্যাং।।


আফ্রিকার পাঁচ দেশে সফরে যাবার পথে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রা বিরতি করেছিলেন চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিন গ্যাং। গত ৯ জানুয়ারি সোমবার রাত ১টার দিকে প্রায় ২ ঘন্টার ওই যাত্রা বিরতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় ঘন্টা খানেক দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়। তবে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে সে ব্যাপারে বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

এদিকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক প্রসঙ্গে বিসিবি জানায়, ‘আফ্রিকা সফরে যাওয়ার সময় বিমানের জ্বালানি নেয়ার কারণে তাকে এই যাত্রাবিরতি করতে হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বলা হয় যে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় সোমবার রাত একটার দিকে দুই ঘণ্টার যাত্রাবিরতি করবেন। সোমবার রাতের যাত্রাবিরতির মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ এবং ঘণ্টা খানেকের একটি বৈঠকও করেছেন। তবে এটা আনুষ্ঠানিক কোন সফর ছিল না বলেও জানানো হয়। যদিও আফ্রিকা যেতে হলে বাংলাদেশ হয়ে না গেলেও চলে। অর্থাৎ এটি আসলে আফ্রিকা যাওয়ার রুট নয়।’

সাক্ষাতে যা কথা হলো সে প্রসঙ্গে বিবিসি আরো জানায়, বিমানবন্দরে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, চীন বাংলাদেশকে প্রায় আট কোটি ২০ লাখের মতো কোভিডের টিকা দিয়েছে। যার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ প্রায় ৮০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য চীনে রপ্তানি করে। আর চীন থেকে আমদানি করা হয় ১৩শ কোটি ডলারের পণ্য।

এটা এক পাক্ষিক উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন গ্যাংকে বলেন, “আপনারা বলেছিলেন যে ৯৮% যত প্রোডাক্ট আছে সেগুলোতে ডিউটি ফ্রি, কোটা ফ্রি অ্যাক্সেস (শুল্ক ও কোটামুক্ত) সুবিধা দিবেন। এটা ঘোষণা হয়েছিল কিন্তু গেজেটটা হয়নি বলে আমাদের ব্যবসায়ীরা সেই অ্যাক্সেস নিতে পারছে না।” এই সুবিধা চালুর বিষয়ে গ্যাংকে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিমানবন্দরে বৈঠক শেষে ঢাকার সাংবাদিকদেরকে এই বৈঠক নিয়ে ব্রিফ করেন ড. মোমেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে চীন সাহায্য করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু এবং এর রেল লাইনও তারা করছে তার জন্য ধন্যবাদ। চীনের প্রতি সমর্থনের বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এক চীন নীতিতে বিশ্বাস করে। এটাই বাংলাদেশের মূল নীতি। বাংলাদেশ ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতি বজায় রাখে। সুতরাং আমাদের সবাইকে নিয়ে চলতে হয় বটে।

বাংলাদেশ চীনকে সমর্থন দেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা আপনাদেরকে টাইম টু টাইম সাপোর্ট দিবো।” দুই হাজার ষোল সালে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় সই করা অর্থ সহায়তা বিষয়ক কয়েকটি চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ড. মোমেন।

ড. মোমেন জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদেরকে চীন সফরের দাওয়াত দিয়েছেন। উত্তরে মন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমরা তাকে বলেছি যে আপনি এই হঠাৎ করে অল্প সময়ের না, রেগুলার আসেন এবং তখন আমরা আমাদের একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবো।”চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন এক সময়ে বাংলাদেশে যাত্রাবিরতি করলেন, যখন বাংলাদেশের নানা ইস্যু নিয়ে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের প্রকাশে বিরোধে জড়ানো নিয়ে নানা খবর আসছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে।’

শেয়ার করুন