০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০২:৫৮:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


হিউম্যান রাইটস ওয়াচ রিপোর্ট
নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে নিপীড়ন বেড়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০১-২০২৩
নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে নিপীড়ন বেড়েছে


২০২২ সনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যে চিত্র তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র। বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন রিপোর্ট আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ তৈরি হতে পারে। কারণ মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্ট আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ গুরুত্ব বহন করে। আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি প্রতিটা দেশের বিষয়েই বিগত বছরের মানবাধিকার, রাজনৈতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে।


বিশেষ করে যে দেশে গণতন্ত্র থেকে শুরু করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো হয়ে থাকে। বিগত সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও মানবাধিকার প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও  ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ উন্নয়ন সহযোগী দেশসমূহ বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তাদের যেসব সুপারিশমালা দিয়ে যাচ্ছেন, তা মূলত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টও ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা তথা গ্রহণ করে। ফলে এ রিপোর্টের ওপর নির্ভর করে অনেক কিছুই। যেমনটা র‌্যাবের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া স্যাঙ্কশন দেয়ার বিষয়েও এ রিপোর্টও বড় ভূমিকা রেখেছিল। বিভিন্ন দেশ নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সদ্য প্রকাশিত ৭২২ পৃষ্ঠার সে রিপোর্টে বাংলাদেশের বিষয়গুলো তুলে ধরা হচ্ছে।  

দ্বাদশ নির্বাচন ইস্যুতে রাজনীতি পরিস্থিতি 

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেন, আন্তর্জাতিক চাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু উল্টো তারা দমন-পীড়ন বাড়িয়ে দিয়েছে। দাতাগোষ্ঠী এবং স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারদের জোর দেয়া উচিত, যাতে বাংলাদেশিরা আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে নির্ভয়ে নিজেদের মতপ্রকাশ করতে এবং তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে।  

মতপ্রকাশে স্বাধীনতা 

বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টি উঠে এসেছে ওই রিপোর্টে।  সেখানে সমালোচনা করে বলা হয়েছে, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে সমালোচকদের গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে কর্তৃপক্ষ। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক অংশীদাররা এই নিপীড়নমূলক আইন স্থগিত এবং সংস্কারের আহ্বান জানালেও সরকার তা উপেক্ষা করছে। পক্ষান্তরে জুলাইয়ে সরকার ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট-এর খসড়া প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর ফলে নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘিত হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র‌্যাব প্রসঙ্গ 

২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও এর কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- এবং বলপূর্বক গুমের ঘটনা নাটকীয়ভাবে কমে যায়। এতে ইঙ্গিত মেলে যে, নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ম লঙ্ঘনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সক্ষমতা আছে কর্তৃপক্ষের। সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেয়ার পরিবর্তে মানবাধিকারের পক্ষের কর্মী এবং জোরপূর্বক গুমের শিকার পরিবারগুলোর সদস্যদের বিরুদ্ধে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে কর্তৃপক্ষ। রিপোর্টে বলা হয়, কঠোর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে সরকার। গত বছর নভেম্বরে বিরোধীদলীয় নেত্রী সুলতানা আহমেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। সুলতানা আহমেদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযোগ, তিনি সেপ্টেম্বরে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করেছিলেন। বিরোধীদল বিএনপি দাবি করেছে, তাদের দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার অন্তত ২০ হাজার মামলা দিয়েছে, যার বেশিরভাগই অজ্ঞাতনামা। এই মামলাগুলোকে আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তারা রাজনৈতিক বিরোধীদলের সদস্যদের বাড়িতে অভিযান চালানোর জন্য ওয়ারেন্ট হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এধরনের আচরণকে প্রকাশ্য রাজনৈতিক হয়রানি এবং ভীতি প্রদর্শন তুল্য।

বিদেশে বসে মত প্রকাশকারীদের প্রসঙ্গ 

মানবাধিকার সংস্থাটির দাবি, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের ভিন্নমতাবলম্বীদেরও ছাড়ছে না কর্তৃপক্ষ। নভেম্বরে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ফেসবুকে ‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার’ অভিযোগে প্যারিসে বসবাসরত বাংলাদেশের ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য্যরে বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দিয়েছে। এ ছাড়া ওই একই সময়ে ঢাকাতেও দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। জাতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে থাকা ভিন্নমতাবলম্বীদের একটি তালিকা তৈরি করেছে যারা ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ কার্যকলাপ করছে। কর্তৃপক্ষ প্রবাসী ভিন্নমতাবলম্বীদের আত্মীয়দের টার্গেট করা বৃদ্ধি করেছে। 

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গ 

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর সাময়িক সময়ের জন্য নিপীড়ন কমে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও আইনপ্রয়োগকারীরা এটা প্রদর্শন করেছেন যে, তারা পুরোনো ধারায় ফিরে গেছেন। তারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বিরোধী ও সমালোচকদের টার্গেট করছে। যে অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। তারা বলেছে, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন র‌্যাবের এমন দু’জন কর্মকর্তাকে জানুয়ারিতে তাদের ‘সাহসিকতা ও দেশের সেবার’ জন্য অভিজাত পুলিশ মেডেল পুরস্কার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরো বলেছে, বাংলাদেশে ব্লক করা নেত্র নিউজ ১৪ আগস্ট একটি হুইসেলব্লোয়ার রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, একটি গোপন বন্দিশিবিরে জোরপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের আটকে রাখেন এবং নির্যাতন করেন কর্মকর্তারা। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকারকর্মী নবায়ন চাকমা মিলনকে নিরাপত্তা হেফাজতে নির্যাতন করা হয় এবং তিনি মারা যান। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে, কর্মকর্তারা তাদের বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছেন, জোর করে মিথ্যা বিবৃতিতে স্বাক্ষর নিয়েছেন যে, তাদের স্বজনকে জোরপূর্বক গুম করা হয়নি এবং তারা ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশকে বিভ্রান্ত করেছেন। সরকারকে প্রতিশোধ নেয়া বন্ধ করতে অনুরোধ করেছে জাতিসংঘের অধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। এতে আরো বলা হয়েছে, যেসব ভিন্নমতাবলম্বী বিদেশে বসে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ কর্মকা- চালাচ্ছেন তাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিদেশে বসবাসকারী এসব ভিন্নমতাবলম্বীদের আত্মীয়স্বজনকে টার্গেট করা বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করে সম্পাদকীয় এবং গুমের বিরুদ্ধে ব্রিটেনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ আয়োজনের খবর প্রকাশ করার পর লন্ডনভিত্তিক সাংবাদিক শামসুল আলম লিটনের ভাইকে সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করে ডিবি কর্মকর্তারা। একই মাসে পুলিশ গ্রেফতার করে আবদুল মুকতাদির মানু’কে। তিনি একই পত্রিকার লন্ডনভিত্তিক একজন প্রতিনিধির ভাই। প্রায় ৬ মাস বন্দি থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাংবাদিক কনক সারোয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকা। 

মানবাধিকারকর্মী নিরাপত্তাহীনতায় 

মানবাধিকার বিষয়ক কর্মীদের বিরুদ্ধে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনকে হয়রানি করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনকে টার্গেট বৃদ্ধি করেছে সরকার। ২৫ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত একটি সার্কুলার ফাঁস হয়ে যায়। তাতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়ে বেশকিছু মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনের বৈদেশিক অর্থায়নে নজরদারি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে। ৫ জুন দেশের সুপরিচিত মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অধিকারকে একটি চিঠি পাঠায় এনজিও বিষয়ক ব্যুরো। এতে তাদের নিবন্ধন নবায়ন করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের ২০১৩ সালের বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের রিপোর্ট করার কারণে শাস্তি দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির জন্য বিচারের মুখোমুখি অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক আসম নাসিরুদ্দিন এলান। 

মিচেল ব্যাচেলেটের বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গ 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই রিপোর্টে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট আগস্টে তিনদিনের জন্য বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, তিনি জোরপূর্বক গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের অভিযোগ তদন্তের জন্য নিরপেক্ষ মেকানিজম প্রতিষ্ঠা করতে এবং এসব অধিকার সুরক্ষিত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী একটি স্পেশাল মেকানিজম সৃষ্টিতে তার অফিসের সমর্থন দেয়ার প্রস্তাব করেছিলেন মিশেল ব্যাচেলেট। তিনি আরো সতর্ক করেন যে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশ যেহেতু সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে, তাই বাংলাদেশকে এটা নিশ্চিত করা উচিত- নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের মানবাধিকার বিষয়ক রেকর্ড স্ক্রিনিংয়ে একটি যথাযথ ব্যবস্থা আছে। ২০১৯ সালের এক রিভিউয়ে রিপোর্ট করা নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে যেসব সুপারিশ করা হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের কাছে তথ্য চেয়েছিল জাতিসংঘ। কনভেনশন এগেইনস্ট টর্চারের অধীনে এতে বাধ্য সরকার। তবে দু’বছর ধরে সরকার তা উপেক্ষা করে আসছে। 

মার্চে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে সফরে আসে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি মনিটরিং মিশন। একইসঙ্গে তারা এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) স্কিমের অধীনে সংযুক্ত হওয়া বৃদ্ধির বিষয়ে অগ্রগতির আহ্বান জানায়। মে মাসে আরো আলোচনা হয়। মার্চ মাসে ইউএস-বাংলাদেশ পার্টনারশিপ ডায়ালগের সময়ে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। সফরে তিনি নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের নিয়ম লঙ্ঘনের জবাবদিহিতার আহ্বান জানান। 

জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু 

জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন। এই গ্যাসের নির্গমনে বাংলাদেশের ভূমিকা নেই বললেই চলে। তা সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘূর্ণিঝড় এখানে আরো ঘন ও তীব্র হবে। এতে নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী লাখ লাখ মানুষের জন্য হুমকি বৃদ্ধি পাবে। জুনে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রেকর্ড পর্যায়ে বন্যা হয়। তাতে প্রায় ৭২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। চট্টগ্রামে একটি কয়লা ও গ্যাসবিষয়ক প্রকল্প নির্মীয়মাণ। যদি এটা নির্মিত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ৫ বছরে যে পরিমাণ গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন করবে, এখান থেকে প্রায় সমতুল্য গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গত হবে। একইসঙ্গে ঘটবে বায়ুদূষণ। ফলে স্থানীয় জনগণ এবং জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়বে।  

শেয়ার করুন