০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৩:১৪:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


ভোলার গ্যাস সিএনজি করে ঢাকায় আনা হচ্ছে
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৫-২০২৩
ভোলার গ্যাস সিএনজি করে ঢাকায় আনা হচ্ছে


দক্ষিণের দ্বীপ জেলা ভোলায় তিনটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। দেশজুড়ে তীব্র গ্যাস সরবরাহ সংকট থাকা সত্ত্বেও সরকার ভোলার গ্যাস ব্যবহার বিষয়ে দীর্ঘদিন বিভ্রান্ত থাকার পর সিএনজি করে ঢাকায় এনে শিল্প কারখানায় সরবরাহ করার জন্য বেসরকারি কোম্পানি ইন্ট্রাকোকোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পাইপলাইন নির্মাণ করে ভোলার গ্যাস ক্ষেত্রগুলো খুলনায় জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা ছিল অনেক উপযোগী সিদ্ধান্ত। 


১৯৯০ দশকের শেষ দিকে মার্কিন কোম্পানি ইউনোকোল ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে গ্যাস ক্ষেত্র উন্নয়নের পাশাপাশি শাহবাজপুর থেকে খুলনার দিঘলিয়া পর্যন্ত গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ এবং ভোলা , বরিশাল এবং খুলনায় তিনটি গ্যাস বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিলো। আলোচদক্ষিণ না এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম অনেক অগ্রগতির পর তৎকালীন সরকার অসম্মতি জানানোয় ওয়েস্টার্ন রিজিওন ইন্টিগ্রেটেড নামের প্রকল্পটির অপমৃত্যু ঘটে। এর পর এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ঈশ্বরদী থেকে ভেড়ামারা ,কুষ্টিয়া ,যশোর হয়ে খুলনা পর্যন্ত গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মিত হলেও এক দশকে গ্যাস সরবরাহ করা হয়নি।  এমনকি ভোলায় গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হয়নি।


কিছু উদ্ভট চিন্তাধারায় গ্যাস এলএনজি করার নামে কালক্ষেপন করা হয়। তীব্র গ্যাস সংকটের প্রেক্ষিতে এখন গ্যাস সিএনজি করে ভোলা থেকে ঢাকা নিয়ে আসার ঝুঁকি পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো কিন্তু নিজেদের বিতরণ ব্যবস্থা নিরাপদে পরিচালনা করতে পারছে না। প্রায় গ্যাস লিকেজ জনিত দুর্ঘটনা হচ্ছে। সিএনজি, এলপিজি জনিত দুর্ঘটনা কম না। এমতাবস্থায় একটি বেসরকারি কোম্পানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ভোলা থেকে জলপথে সিএনজি কতটা নিরাপদে ঢাকায় পরিবহন করে এনে গাজীপুর ,আশুলিয়া , মাওনা এলাকায় সরবরাহ করে সেটি নিশ্চিত করে বলা যায় না।

 বেসরকারি কোম্পানিগুলোর ভেসেল, সিলিন্ডারগুলো ফ্যাব্রিকেশন, টেস্টিং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কিনা, এগুলো তদারকির কি ব্যবস্থা আছে সেগুলো দেখতে হবে। একই সঙ্গে ভোলা সহ দক্ষিণ বাংলাদেশে ভোলার গ্যাস ব্যবহারের অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। 

বুঝতে পারি না জ্বালানি মন্ত্রণালয় যখন কুয়াকাটা উপকূলের ৭০ কিলোমিটার দূরে গভীর সাগরে এলএনজি স্থাপনা নির্মাণ করে সাবমেরিন পাইপ লাইনের মাধ্যমে আরএলএনজি সরবরাহ নেয়ার মার্কিন কোম্পানির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে তখন ভোলার গ্যাস কয়েকটি নদী তলদেশে পাইপ লাইন স্থাপন করে জাতীয় গ্রীডে সংযুক্তি করায় দ্বিধা কেন? 

wrip প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। প্রকল্পটি যথা সময়ে বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণ বাংলার জ্বালানি চিত্র পাল্টে যেত। দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের জ্বালানি খাত সুযোগসন্ধানী আমলাদের দৌরাত্বে এখন দুর্দশাগ্রস্থ।


শেয়ার করুন