০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার, ৬:০৬:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভায় গিয়াস
বাংলাদেশ ও প্রবাসীদের লজ্জায় ডুবালো শেখ হাসিনা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৫-২০২৩
বাংলাদেশ ও প্রবাসীদের লজ্জায় ডুবালো শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখছেন গিয়াস আহমেদ


ভোট চোর, ভোট ডাকাত এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের লজ্জায় ডুবিয়েছে। ক্ষমতালোভী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সোমালিয়া এবং রুয়ান্ডার মতো অসভ্য দেশে পরিণত করেছে। আমেরিকার মতো দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভিসা-নীতি প্রয়োগ করেছে, যা আমাদের জন্য লজ্জার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি আর বিএনপি হচ্ছে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। গত ২৯ মে বিকেলে নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি আয়োজিত শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গিয়াস আহমেদ এ সব কথা বলেন।

জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্টেট বিএনপির আহ্বায়ক মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান এবং পরিচালনা করেন যৌথভাবে স্টেট বিএনপির সদস্য সচিব সাঈদুর রহমান সাঈদ ও যুগ্ম-আহ্বায়ক রিয়াজ মাহমুদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও  বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি দক্ষিণের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, সদস্য সচিব বদিউল আলম, নিউইয়র্ক মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব ফয়েজ চৌধুরী, শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম দুলাল, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর এম আলম, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন স্টেট বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সদস্য সচিব দেওয়ান কাওসার, বিএনপি নেতা সোহরাব হোসেন, পারভেজ সাজ্জাদ, বদরুল হক আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, নাসিম আহমেদ, মোতাহার হোসেন, আশরাফ হোসেন, জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাওছার আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র যুবদল নেতা আমানত হোসেন আমান, কোকো স্মৃতি সংসদের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রাজু, শ্রমিকদল নেতা মোস্তাক আহমেদ, আবুল কালাম, লিয়াকত আলী, মনির হোসেন, আলমগীর ভূইয়া, আরিফ হোসেন, কাজী আসাদ উল্লাহ, মোহাম্মদ মুকুল, মোহাম্মদ রুহুল আমিন, মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি গিয়াস আহমেদ, ভোট চোর, ভোট ডাকাত এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের লজ্জায় ডুবিয়েছে। ক্ষমতালোভী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সোমালিয়া এবং রুয়ান্ডার মতো অসভ্য দেশে পরিণত করেছে। আমেরিকার মতো দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভিসা-নীতি প্রয়োগ করেছে, যা আমাদের জন্য লজ্জার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি আর বিএনপি হচ্ছে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি। তিনি আরো বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি নিজে হাতে লিখেছিলেন সেই ভাষণ। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কোনো পাঠক নয়, তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার ঘোষণাতেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি বলেন, ভোট চোর, ভোট ডাকাত, গণতন্ত্র হত্যাকারী এবং ক্ষমতালোভী শেখ হাসিনার পতন ঘনিয়ে আসছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশে আগামী সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া হবে না।

মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান সবাইকে ধন্যবাদ জানান অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য। তিনি বলেন, আজকে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীতে শপথ নিতে হবে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনে। তিনি বলেন, এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। আগামীর বাংলাদেশ হবে শহিদ জিয়ার বাংলাদেশ, বেগম জিয়ার বাংলাদেশ তারেক রহমানের বাংলাদেশ।

হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা না দিলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি, বাংলাদেশে বহু দলীয় গণতন্ত্রও চালু করেছিলেন। আর আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে কেউ পাকিস্তানে আত্মসমর্পণ করে চলে গিয়েছিলেন আবার কেউ ভারতের আনন্দ ফুর্তি করেছেন। তিনি বলেন, সংগ্রাম গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বৈরাচারী সরকার পতনের সংগ্রাম।

ফয়েজ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলছে এবং চলবে। যতদিন পর্যন্ত শেখ হাসিনার পতন না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

বদিউল আলম বলেন, শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করেই আমাদের দেশ এবং দলকে রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে শেষে সবার মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন