০৬ জুলাই ২০১২, শনিবার, ০৩:০১:৪৪ অপরাহ্ন


ইমামদের খুতবায়ও সরকারের হস্তক্ষেপ : মার্কিন রিপোর্ট
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৭-২০২৪
ইমামদের খুতবায়ও সরকারের হস্তক্ষেপ : মার্কিন রিপোর্ট


বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারের ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাবোধের মাত্রা, সহিংসতায় দায়ী ব্যক্তিদের সাজা দিতে ব্যর্থতা এবং ধর্মীয় কাজে বাধা প্রদানসহ নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া ওই প্রতিবেদনে ধর্মীয় বিভিন্ন বৈষম্যের দিকও উল্লেখ করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা হলেও বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে সমর্থন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সকল প্রকার ধর্মীয় বৈষম্যকে নিষিদ্ধ করে সকল ধর্মের সমতা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের অভিযোগ উল্লেখ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। এক্ষেত্রে তারা বিতর্কিত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করেছে। মার্কিন ওই প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের নীরব ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর ওই হামলার ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন আরো অনেকে। 

পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদনটিতে একজন মুসলিম নেতাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মসজিদগুলোর ইমাম নিয়োগ এবং তাদের অপসারণে স্থানীয় সরকার দলীয় লোকজন প্রভাব খাটিয়েছেন। দেশজুড়ে ইমামরা স্বাধীনভাবে তাদের খুতবার বিষয় নির্ধারণ করতে পারেননি বলেও উল্লেখ ছিল ওই প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে, ইমামরা কোন বিষয়ে তাদের খুতবা দেবেন সে বিষয়েও হস্তক্ষেপ করেছে সরকার। 

গত বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশের একটি গ্রামে এক নারীকে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে এক ইমাম এবং গ্রামের তিনজনের বিরুদ্ধে বেত্রাঘাতের আদেশে ফতোয়া জারি করার অভিযোগ ওঠে। ওই প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে দেশের আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে। দেশজুড়ে ঘটনা পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থা জানিয়েছে ২০২৩ সাল জুড়ে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অন্তত ২২টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের একজন নিহত এবং ৬২ জন আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। এছাড়াও ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারের ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাবোধের মাত্রা, ধর্মীয় কাজে বাধার মতো বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন