১৪ মে ২০২৫, বুধবার, ৬:৩৪:০১ পূর্বাহ্ন


বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন
দুই প্যানেলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চূড়ান্ত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৭-২০২৪
দুই প্যানেলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চূড়ান্ত দুই প্যানেলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক


আগামী অক্টোবরে প্রবাসের মাদার সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই ইতিমধ্যেই অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনিকে প্রধান করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক কাজকর্ম এখনো শুরু হয়নি। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা পেলেই নির্বাচন কমিশন তাদের কাজকর্ম শুরু করবেন। এদিকে গত ৩০ জুন ছিল বাংলাদেশ সোসাইটির ভোটার হওয়ার শেষ দিন। বাংলাদেশ সোসাইটির অফিসে ভোটার জমা নেওয়া হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও মধ্যরাত পর্যন্ত ভোটার জমা দেওয়া হয়। কারণ বিকাল ৪টায় সোসাইটির কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হলেও যারা ভেতরে ছিলেন তারা যেন পরীক্ষায় বসেছিলেন। কারো কারো ছিল পকেট ভর্তি ডলার। ভোট এসেছে ফোনে। ফোন করে অনেকেই নাম, জন্ম সন এবং ঠিকানা নিয়ে ভোটার বানাতে থাকেন। এ কাজটি উভয় প্যানেলের প্রার্থী এবং সমর্থকদের করতে দেখা গেছে। গেট বন্ধ ছিল ঠিকই, কিন্তু ভোটার আসা বন্ধ হয়নি।

ভোট জমা দেওয়ার পর বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রব মিয়া ভোটার সংখ্যা এবং অর্থের পরিমাণ ঘোষণা করেন। সভাপতি আরো উল্লেখ করেন, এই চূড়ান্ত তালিকা নয়। চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হলে ঘোষণা করা হবে। আজকে তাড়াহুড়ো করে ভোটর সংখ্যা যা ঘোষণা করছি, তার চেয়ে কিছু কমবেশি হতে পারে। এই সময় ভোটার সংখ্যা এবং অর্থের বিষয় নিয়ে হট্টগোল করে সেলিম-আলী প্যানেলের প্রার্থী এবং সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত বাধ্য করা হয় ভোটের মুডি এবং অর্থ গণনার। এ কাজটি স্বয়ং সেলিম-আলী প্যানেলের প্রার্থীরা সম্পন্ন করেন, যা অতীতে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে দেখা যায়নি। কোনো কোনো কর্মকর্তা ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, যে অধিকার তাদের নেই, সে কাজটি তারা করেছে। সোসাইটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য কর্মকর্তাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তারা মোড়লিপনা দেখিয়েছে।

ভোটার জমা দেওয়ার কাজ শেষ। এখন চলছে প্যানেল গঠনের কাজ। দুটো প্যানেল এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, একটি প্যানেলে সভাপতি পদে লড়ছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু। অপর প্যানেলে সভাপতি রয়েছেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী। রুহুল-জাহিদ প্যানেলের পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে তাদের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হয় এবং ঘোষণা দেওয়া হয়। রুহুল-জাহিদ প্যানেলের অন্য পদে কারা থাকবেন তা নিয়ে প্যানেলের মুরব্বিরা কাজ করছেন, সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছেন। আগামী কিছু দিনের মধ্যেই পুরো প্যানেল ঘোষণা করা হবে। তবে সহ-সভাপতি পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ফারুক চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ পদে নওশাদ হোসেন, অন্যান্য পদে আরো যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন-মাইনুল উদ্দীন মাহবুব, শাহাদাত হোসেন, রিজু মোহাম্মদ, সাদী মিন্টু, রুমানা আহমেদ।

অন্যদিকে সেলিম-আলী প্যানেলের মুরব্বিও প্যানেল গঠন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এই প্যানেলের সম্ভাব্য সহ-সভাপতি হিসাবে রয়েছেন মহিউদ্দিন দেওয়ান, কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক ডিউক খান, কোষাধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম ভূইয়া রুমি। অন্য পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- আহসান হাবিব, মোস্তফা অনিক রাজ, এ বি সিদ্দিক পাটোয়ারি প্রমুখ।

প্যানেল গঠনের মধ্যেই চলছে অন্য রকম খেলা। ভোট জমা দেওয়ার আগে যাদের বিভিন্ন পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তাদের পদ দেওয়া নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। অর্থের মাপকাঠিতে সেই পদে অন্যদের দেওয়ার খেলা শুরু হয়েছে। প্রত্যাশিত পদ না পাওয়ার কারণে এসব প্রার্থীরা অন্য প্যানেলের প্রার্থী এবং মুরব্বিদের সঙ্গে যোগযোগ শুরু করেছেন। অর্থের মাপকাঠিতেই এসব পদ বিক্রি করা হচ্ছে। কারণ অনেক প্রার্থী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভোট জমা দেননি বা পকেটে অর্থ নিয়ে গেলেও তা বের করেননি। ওই পরিস্থিতিতে অন্যের অর্থে ভোট জমা দিতে হয়েছে। সে অর্থ ফেরত দিতে হবে। যে কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

শেয়ার করুন