০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১০:১৩:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


রাজপথ ছাড়া যাবে না : টিপু বিশ্বাস
বিশেষ প্রিতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৯-২০২৪
রাজপথ ছাড়া যাবে না : টিপু বিশ্বাস


জাতীয় গণফ্রন্ট সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস বলেছেন, লক্ষ-কোটি ছাত্র-জনতার নিরস্ত্র গণআন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে শত সহস্র শহিদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের উচ্ছেদ হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সামাজিক ভিত্তি আমলা-দালাল, লুটেরা ধনি ও সামন্ত অবশেষ শ্রেণীর শোষণ ও শাসন এবং আন্তর্জাতিক শোষক ও শাসক ভারতীয় আধিপত্যবাদ, মার্কিন, চীন, রুশ, বৃটেন সম্রাজ্যবাদসহ সকল সাম্রাজ্যবাদীদের শোষণ বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করে। শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর, মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত ও জাতীয় ধনিক শ্রেণীকে মুক্ত করতে জনগণের গণতান্ত্রিক সরকার, সংবিধান, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিম্নোক্ত দাবি আদায়ে গণ আন্দোলনের চাপ মাঠে অব্যাহত রাখুন এবং রাজপথ ছাড়া যাবে না। একই সাথে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার দুঃশাসন ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন-রুখে দিন। জনগণের সরকার, রাষ্ট্র, সংবিধান প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করুন- এই স্লোগানকে সামনে রেখে মঙ্গলবার তোপখানা রোডস্থ শিশু কল্যাণ পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় গণফ্রন্ট’ এর কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাসি এসবক তথা বলেন।

সভায় ২০২৪ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মরণে, সাম্প্রতিক বন্যায় নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের স্মরণে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন কেন্দ্রীয় সদস্য হাসিবুর রহমান হাসু। কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমরেড টিপু বিশ্বাস আরো বলেন, ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হলেও ফ্যাসিস্ট সরকারের সামরিক- বেসামরিক দোসররা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে ঘাপটি মেরে আছে। দ্রুততম সময়ে এদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে আর কোন স্বৈরাচারী সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত না হতে পারে সেজন্য সকল দেশপ্রেমিক, জনগণ ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠন এবং ব্যক্তিদের এই স্বৈরাচার তৈরীর সরকার, রাষ্ট্র ও সংবিধান বাতিল করে জনগণের সরকার, রাষ্ট্র ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব সংবিধান সভার নির্বাচন করে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনা করতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, বিগত ১৬ বছর যাবত স্বৈরাচারী হাসিনা ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের কর্তৃক পাচারকৃত অর্থ এবং ব্যাংক লুটেরাদের কর্তৃক লুটকৃত অর্থ দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং লুটপাটকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে দেশের সম্পদ আর কেউ যেন লুট ও পাচার করার সাহস না করে। তিনি আরও বলেন, লক্ষ-কোটি ছাত্র-জনতার নিরস্ত্র গণ আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে শত সহস্র শহিদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের উচ্ছেদ হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক- অর্থনৈতিক সামাজিক ভিত্তি আমলা-দালাল, লুটেরা ধনি ও সামন্ত অবশেষ শ্রেণীর শোষণ ও শাসন এবং আন্তর্জাতিক শোষক ও শাসক ভারতীয় আধিপত্যবাদ, মার্কিন, চীন, রুশ, বৃটেন সম্রাজ্যবাদসহ সকল সাম্রাজ্যবাদীদের শোষণ বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করে। শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর, মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত ও জাতীয় ধনিক শ্রেণীকে মুক্ত করতে জনগণের গণতান্ত্রিক সরকার, সংবিধান, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের দাবি আদায়ে গণ আন্দোলনের চাপ মাঠে অব্যাহত রাখুন এবং রাজপথ ছাড়া যাবে না। একই সাথে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার দুঃশাসন ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন-রুখে দিন।

অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন কামরুজ্জামান ফিরোজ, জিল্লুর রহমান, লিটু বিশ্বাস, সোনা মিয়া, মো. মতিয়ার রহমান, আব্দুস শুকুর, শাহজাহান হোসেন, একরামুল, দেবাশীস পোদ্দার বাপ্পি, মো. শফিকুল ইসলাম, রুবেল বিশ্বাস এবং এড. নন্দ কুমার বাশফোর।

শেয়ার করুন