১৫ নভেম্বর ২০২৫, শনিবার, ৬:৪০:৫৫ পূর্বাহ্ন


যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে নেতৃবৃন্দ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-১১-২০২৫
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিবৃন্দ


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক নেতৃবৃন্দ এবং সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটি গত ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ সোলাইমান ভূঁইয়া এবং সভা যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফোরাম যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির অন্যতম নেতা মোতাহার হোসেন।

সভার শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি এটিএম হেলালুর রহমান পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন। স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের ও জুলাই ২৪-এর শহিদ, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সব শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়, মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। সভার বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার পরিবারের সকল সদস্যের সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দুল হকের মমতাময়ী মায়ের মৃত্যুতে এবং সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম মোল্লার বড় বোনের মৃত্যুতে বিশেষ দোয়া ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন জহিরুল ইসলাম মোল্লা।

বিপ্লব ও সংহতি দিবসের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, সাবেক সহ-সভাপতি শামসুল ইসলাম মঞ্জু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাকসুদুল হক চৌধুরী, বৃহত্তর চট্টগ্রাম জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট খায়রুল বাশার, জাতীয়তাবাদী ফোরাম যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাবেক সভাপতি নাসিম আহমেদ, নিউইয়র্ক সিটি বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক, এটিএম হেলালুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সদস্য সচিব সোহরাওয়ার্দী জাহাঙ্গীর, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ রুহুল আমিন, আবুল কালাম, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ আলী, সহ-দফতর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মির্জা আজম, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ‍্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা আজিজুল বারী তিতাস, অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা রাজ্জাক সেতু, অ্যাডভোকেট শাহনাজ পারভীন জোসনা, যুবদল নেতা মশিউর রহমান রুবেল, জাহিদ হোসেন সুমন।

সভার বক্তাগণ ৭ নভেম্বরের শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা রক্ষায় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান এবং বাংলাদেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গঠন করার ক্ষেত্রে ভূমিকা সে বিষয়ে বক্তারা বিশদ আলোচনা করেন। সভার বক্তারা উল্লেখ করেন যে, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে যে কোনো পক্ষের ষড়যন্ত্রকে বিএনপির সব স্তরের নেতাকর্মীরা প্রতিহত করবে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে, অধিকাংশ বক্তা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দানকারী নেতাকর্মীদের সমন্বয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির একটি কমিটি গঠনের জন্য আবেদন করেন।

সভাপতির ভাষণের আলহাজ সোলাইমান ভূঁইয়া বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং তার ঘোষণার পরে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। যার ফলে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। ৭৫ পরবর্তী ঘটনার পরে এদেশের মানুষ শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্র পরিচালনা করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন এবং তিনি একটি আধুনিক বাংলাদেশ গঠনের কাজ যখনই শুরু করেছেন, ঠিক তখনই একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র উদ্ধার ও বাংলাদেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু করা হয়েছিল, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকেও ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং গত ১৬ বছর তার ওপর অর্থাৎ জিয়া পরিবারের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গত ১৬ বছর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন এবং সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার হাসিনার পতন হয়েছে এবং শেষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে ভোট দিয়ে তারেক রহমানকে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দিবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত রেখে আগামী নির্বাচনে বিএনপির সকল পর্যায়ে নেতাকর্মীকে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের নেতা মোহাম্মদ আবুল কাশেম, জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, সিবিএ নেতা আলাউদ্দিন মাতব্বর, আবু তাহের, হারুনুর রশিদ, নাঈম হোসেন, অ্যাডভোকেট আলা উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন