১৫ অক্টোবর ২০১২, মঙ্গলবার, ০৯:২৩:২৯ অপরাহ্ন


শিক্ষা বৈঠকে মুনার ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট
আনুগত্য মানুষের জীবনকে সুন্দর করে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৯-২০২৪
আনুগত্য মানুষের জীবনকে সুন্দর করে বক্তব্য রাখছেন হারুণ অর রশীদ


রহমানের বান্দাদের জীবন পরিচালিত হবে বাইয়াত বা আনুগত্যের শপথের ভিত্তিতে। আলামুল আরওয়াহ বা রুহজগতে মহান রবের দরবারে যে আনুগত্যের শপথ সবাই করেছিল, সেই শপথের আলোকে জীবনের শেষ পর্যন্ত চলা রহমানের বান্দাদের আসল পরিচয়। পরিপূর্ণ ইমানদার বা মুমিনের সফলতার জন্য বাইয়াতের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। গত ৬ সেপ্টেম্বর মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকা (মুনা) নিউইয়র্ক নর্থ জোন আয়োজিত মেম্বার ও সিনিয়র মেম্বারদের দিনব্যাপী শিক্ষা বৈঠকে এসব কথা বলেন মুনার ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হারুন অর রশীদ।

জোন সভাপতি মো. রাশেদুজ্জামানের সভাপতিত্বে শিক্ষা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে মুনা সেন্টার অব জ্যামাইকার মিলনায়তনে। অনুষ্ঠান যৌথভাবে পরিচালনা করেন জোনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তোয়াহা আমিন খান ও শিক্ষা সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মজুমদার। বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন, মুনার সাবেক ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট আবু আহমদ নুরুজ্জামান, ন্যাশনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টও আহমদ আবু উবায়দা, মুনা মজলিসে শূরা মেম্বার আবু সামীহাহ সিরাজুল ইসলাম, ন্যাশনাল সোশ্যাল সার্ভিস বিভাগের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফ প্রমুখ। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মুনার মজলিশে শূরার সদস্য ডা. আতাউল গণী ওসমানী ও সাবেক ন্যাশনাল অর্থ সম্পাদক আনোয়ারুল হক।

হারুন অর রশীদ বলেন, বাইয়াতবিহীন মৃত্যু জাহিলিয়াতের মৃত্যু। বাইয়াত বা শপথ ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক। মানবজীবনে সফলতার জন্য বাইয়াতের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বাইয়াত বা আনুগত্য মানুষের জীবনকে সুন্দর, জ্ঞানগত পরিপূর্ণতা, মানুষের কল্যাণকামী ও উন্নত আমলের ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। রাসুল (সা.)-এর কাছ থেকে সাহাবিরা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে বাইয়াত নিয়েছেন। রাসুল (সা.)-এর ইন্তেকালের পর সাহাবায়ে কেরাম আবু বকর (রা.)-এর কাছে বাইয়াত হয়েছেন। মুসলিম সমাজ পরিচালনার দায়িত্ব যার ওপর ন্যস্ত হয়েছিল, তার কাছে বাইয়াত হওয়া ইসলামের ইতিহাসে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।

অন্য আলোচকবৃন্দ বলেন, ইসলামি আন্দোলনের নেতাকর্মীদের গুণাবলি তুলে ধরে বলেন, একজন কর্মীর তুলনায় নেতার জবাবদিহিতা অনেক বেশি। তাই দায়িত্বশীলদের আচার-ব্যবহার চলাচল সবই হবে আল্লাহর কোরআন ও রাসুল (সা.)-এর নির্ধারিত পন্থায়। কোরআন ও হাদিসকে যথাযথ অনুসরণ করতে পারলেই দুনিয়াতে কল্যাণ ও আখেরাতে মুক্তি সম্ভব। ইসলামী আন্দোলনের কাজকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে নৈতিক চরিত্র ও ঐক্যের শক্তি অর্জন করতে হবে। কোনো অবস্থাতে দীনি পরিবেশকে নষ্ট করা যাবে না। সমাজের প্রত্যেক স্তরের লোকদের কাছে দরদ মন নিয়ে দাওয়াত দিতে হবে। সব শ্রেণির লোকদের কাছে ইসলামের সুমহান বাণী তুলে ধরার গুরুত্বারোপ করেন তারা।

সভাপতির বক্তব্যে মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, দাওয়াতে দীনের পাশাপাশি সমাজ কল্যাণমূলক কাজ করা সময়ের দাবি। সমাজের প্রত্যেক শ্রেণির লোকদের সঙ্গে মিশে প্রমাণ করতে হবে আমরা দায়ি ইল্লাল্লাহর কাজ করছি। সমাজের চাহিদা কি তা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। 

দেড় শতাধিক লোকের উপস্থিতি অনুষ্ঠানের সাবির্ক সহযোগিতায় ছিলেন জোন কর্মপরিষদ সদস্য দিদারুল আলম, প্রফেসর দেলোয়ার মজুমদার, মো. আব্দুল্লাহ, নুরুস সামাদ চৌধুরী প্রমুখ।

শেয়ার করুন