৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০১:১৭:৫৩ অপরাহ্ন


জাতিসংঘের সামনে ঐক্য পরিষদের প্রতিবাদ সমাবেশ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-১০-২০২৪
জাতিসংঘের সামনে ঐক্য পরিষদের প্রতিবাদ সমাবেশ জাতিসংঘের সামনে ঐক্য পরিষদের প্রতিবাদ সমাবেশ


নিউইয়র্কে জাতিসংঘ-সংলগ্ন ডাগ হ্যামারস্কোল্ড প্লাজায় যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশে চলমান সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদ ছাড়াও সেখানে ইউনাইটেড হিন্দুজ অব ইউএসএ, সনাতনী গীতা সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু ধর্মীয় সংগঠন নিজ নিজ ব্যানার নিয়ে অংশগ্রহণ করে। সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নবেন্দু দত্তের স্বাগতিক বক্তব্যের পর মুক্ত অলোচনা সভা হয় এবং সেটা যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. দ্বিজেন ভট্টাচার্য ও যুগ্ম-সম্পাদক বিষ্ণু গোপ। 

জন্মভূমিতে নির্যাতনে আত্মীয়স্বজনের করুণ অবস্থা, সংবিধান সংস্কার কার্যক্রমে ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের অবস্থান কী হতে যাচ্ছে, সংখ্যালঘু নির্যাতকদের বিচারের ব্যাপারে ড. ইউনূস সরকারের অবস্থান প্রভৃতি বিষয়ে উদ্বিগ্ন ঐক্য পরিষদ ও অন্য সংগঠনের কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন শিতাংশু গুহ, ডা. প্রভাত দাস, ভজন সরকার, রামদাস ঘরামী, রণবীর বড়ুয়া, রূপকুমার ভৌমিক, প্রদীপ মালাকার, শ্যামল চক্রবর্তী, ভবতোষ দত্ত, ড. দিলীপ নাথ, সুশীল সাহা, বিদ্যুৎ সরকার, অজিত চন্দ, আশীস ভৌমিক, সুশীল সিনহা, পার্থ তালুকদার, রমেশ নাথ, সুকান্ত দাস টুটুল, পরেশ ধর, স্বপন চক্রবর্তী, প্রদীপ কুন্ডু, পঙ্কজ মেহেতা, সুভাষ মজুমদার, সত্য দোসাপতি প্রমুখ। 

গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, যদিও অভ্যুত্থানের ছাত্র সমন্বয়ক এবং চিফ অ্যাডভাইজার ড. ইউনূস এবং ওনার সহযোগী অ্যাডভাইজাররা দাবি করে চলেছেন যে, তারা ‘বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, ন্যায় বা সমতাভিত্তিক সমাজ’ গড়ার লক্ষ্যে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ রাজনৈতিক পরিবেশ গড়তে কাজ করছেন, তাদের আচরণে উক্ত প্রতিশ্রুতির মোটেও কোনো প্রতিফলন নেই।

যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয় যে, যেহেতু বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই শুধু নয়, শেখ হাসিনা সরকারসহ অতীতের সব সরকারই দেশের সংখ্যালঘু নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে, এমনকি প্রতিটি সরকারই তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে, যেমন ‘শত্রু সম্পত্তি’ আইন ব্যবহার করে সংখ্যালঘুদের ২.৮ মিলিয়ন একর জমি কেড়ে নিয়েছে এবং নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে অঙ্গীকার করেও তাদের জন্য একটি ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ পর্যন্ত পাস করেনি, দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার করেনি, তাই আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সংখ্যালঘুদের (১) সাংবিধানিকভাবে ‘বিপন্ন সংখ্যালঘু’ বলে স্বীকৃতি দিয়ে (২) যুক্তফ্রন্ট সরকারের আগের সময়কার মতো সেপারেট ইলেকটরেট প্রতিষ্ঠা করে, (৩) দেশের সংখ্যালঘু ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কয়েকটি সংখ্যালঘু এনক্লেভ করে দিক, ঠিক যা করে আমেরিকা বা ভারতে অদিবাসীদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।

শেয়ার করুন