৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৬:৩৫:০৪ অপরাহ্ন


বলেছেন আসাদুজ্জামান রিপন
‘দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার চিন্তা জনগন মেনে নেবে না’
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১২-২০২৪
‘দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার চিন্তা জনগন মেনে নেবে না’


সংস্কারের নামে ‘দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার চিন্তা জনগন মেনে নেবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন আসাদুজ্জামান রিপন। বুধবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় দেশের সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ উনারা(অন্তবর্তীকালীন সরকার) কতদিন ধরে সংস্কার করতে চায় সেটা তো আমরা জানি না। কিন্তু সংস্কারের নামে তারা যদি বছরের পর বছর ক্ষমতা আখড়ে থাকতে চান এটা বাংলাদেশের মানুষ গ্রহন করবে না।”

‘‘ কারণটা হচ্ছে, ইতিহাসের সবচেয়ে দূর্বলতম সরকার হচ্ছে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার। একটা দূর্বল সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবণতি হতে পারে, অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।সেজন্য দরকার জনগনের কাছে দায়ী জবাবদিহিমূলক একটি নির্বাচিত সরকার।”

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘‘ আমি সেই নির্বাচিত সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বলব না, আমরা বলছি, উইথ ইন টোয়েন্টিফাইভ… ‘২৪ সাল যাচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যেই সম্ভব্য সমস্ত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে নির্বাচন দেয়ার ব্যবস্থা করবেন।”

‘‘ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে… বাংলাদেশের সকল সংকট-সমস্যার কারণ কিন্তু নির্বাচন। ধানাইপানাই মার্কা নির্বাচন, নিশি রাতের নির্বাচন, বিনাভোটের নির্বাচন, আমি-ডামি নির্বাচন নয়। আমরা চাই জনগনের সত্যিকার ভোটের নির্বাচন।”

জাতীয় প্রেসক্লাবের জিয়া শিশু-কিশোর মেলা‘র উদ্যোগে বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হোসেন চুন্নুর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।

‘সংস্কার প্রসঙ্গে’

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘‘ মুখে সংস্কারের কথা সরকার বলছে। কিন্তু দৃশ্যমান ভাবে সরকারের তরফ থেকে সেই ধরনের কোনো উদ্যোগ আমরা দেখতে পাইনি।বরং আমরা দেখতে পেয়েছি, সংস্কারের কথা বলে..সংস্কারের প্রক্রিয়া পাস কাটিয়ে তারা হাসিনার পথ অনুসরণ করে তারা বিচারক নিয়োগ করছেন, তারা নির্বাচন কমিশনে লোক নিয়োগ করেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে তারা লোক নিয়োগ করেছেন… এসব সবই হচ্ছে হাসিনার পরিত্যক্ত মডেল।”

‘‘ সরকার ইতিমধ্যে তিনটি সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ তারা মিস করেছে। একটি হচ্ছে নির্বাচন কমিশন পূনর্গঠনের ক্ষেত্রে তারা সংস্কারের যে উদ্যোগ যেটা ভুল করেছেন। সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করে বসল…অথচ নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত সংস্কারের রিপোর্টই পেশ করতে পারিনি, দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন … ৩১ তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশনের রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিলো.. তার আগেই সরকার দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করে বসল।”

তিনি বলেন, ‘‘ বিচার বিভাগে বিচারক নিয়োগ করে বসলেন ২৩জন। শেখ হাসিনা যে পদ্ধতিতে বিচারক নিয়োগ করতেন শেখ হাসিনার সেই পরিত্যক্ত জুতা পরিধান করে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার বিচারক নিয়োগ করেছেন। কেনো? সংবিধানে তো উল্লেখ করা ছিলো যে, বিচারক নিয়োগ করার ক্ষেত্রে সংবিধানে উল্লেখ আইন তৈরি করতে হবে। আমরা চেয়েছিলাম বিচার বিভাগে একটু সংস্কার দরকার সেটার মাধ্যমে বিচারক নিয়োগের একটা প্রক্রিয়া তৈরি হবে। কিন্তু সরকার সেটা করেনি।”

 ‘‘ আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন… এই  আন্দোলনকে কোনোভাবে বিভক্ত করা যাবে না, আন্দোলনের স্পিরিটকে বিভক্ত করা যাবে না। এই স্পিরিট বিভক্ত হলে পতিত যে স্বৈরাচার তারা লাভবান হবে।কিন্তু তাদেরকে লাভবান হতে দেয়া যাবে না।”

জিয়া শিশু-কিশোর মেলা‘র সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির রেজাবুদ্দৌল চৌধুরী, আবদুল মালেকসহ জিয়া শিশু-কিশোর মেলার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন