১৫ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০:৩৫:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শেখ হাসিনা জুলাই আন্দোলন নির্মূলে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্ততি গ্রহনে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ নিউইয়র্ক সিটির ট্যাক্সিচালকদের ইন্স্যুরেন্সে বছরে ৩০০ ডলার পর্যন্ত সাশ্রয়ের বিল পাস টিপস ও ওভারটাইম আয়ে বছরে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩৭ হাজার ডলার পর্যন্ত করছাড় কারাগারে মুসলিম বন্দিদের শূকরজাত খাবার দেওয়ায় মামলা জাতীয় পার্টিতে গৃহবিবাদ চরমে সবকিছুতেই একটা রাজনীতি আছে : রিজওয়ানা হাসান মধ্যরাতের সংবর্ধনা শেষ পর্যন্ত প্রহসনে পরিণত তিন কারণে বিএনপির বেপরোয়ারা নিয়ন্ত্রণে আসছে না জাপায় সিনিয়ররা যে কারণে বলির পাঠা


মন্ত্রীত্ব থেকে টিউলিপের পদত্যাগ
দেশ অনলাইন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০১-২০২৫
মন্ত্রীত্ব থেকে টিউলিপের পদত্যাগ


সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্যের ইকোনোমিক সেক্রেটারির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ নিজেই এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন। টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন। দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে।

গত আগস্টে শেখ হাসিনা গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর শেখ হাসিনা সরকার আমলে বাংলাদেশে ৯টি অবকাঠামো প্রকল্প থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। তাতে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিকেরও নাম আসে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)ওই অভিযোগ তদন্ত করছে।

দুদকের এই তৎপরতা আলোচনায় আসার পর যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি খবর প্রকাশ হয়।

২০১৩ সালে শেখ হাসিনার মস্কো সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকের সময় টিউলিপ সিদ্দিকও উপস্থিত ছিলেন। বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ গণমাধ্যম তার সেই ছবি এ সময় ফলাও করে প্রচার করে।

কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি বেইদেনকস বেশ কয়েকজন বিরোধী দলীয় নেতা টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিয়মিত খবর ও সম্পাদকীয় প্রকাশিত হতে থাকে।

এর মধ্যে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সম্পত্তি টিউলিপের ব্যবহার করা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

এই প্রেক্ষাপটে টিউলিপ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা (ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার অন মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস) লাউরি ম্যাগনাসের কাছে চিঠি (রেফারেল) লিখেন। মন্ত্রীদের আচার-আচরণ, নীতিনৈতিকতা বিষয়ে ম্যাগনাস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে উপদেশ দিয়ে থাকেন। সূত্র: বাসস।

শেয়ার করুন