১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ০৬:৪৩:৪০ পূর্বাহ্ন


অবৈধ অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় ফেরাতে ১ হাজার ডলারের প্রণোদনা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৫-২০২৫
অবৈধ অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় ফেরাতে ১ হাজার ডলারের প্রণোদনা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প


যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফেরাতে নতুন প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যারা স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করবেন, তাদের ১ হাজার ডলার অর্থসহায়তা এবং যাত্রা খরচ প্রদান করা হবে। এ প্রক্রিয়ার জন্য ‘সিবিপি হোম’ নামক একটি অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে এবং যারা এই অ্যাপের মাধ্যমে ফেরার পরিকল্পনার কথা জানাবেন, তাদের গ্রেফতার ও নির্বাসনের ঝুঁকি কম থাকবে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি ক্রিস্টি নো এম বলেন, আপনি যদি অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন, স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনই সবচেয়ে নিরাপদ, কার্যকর ও সাশ্রয়ী উপায়। ইতোমধ্যে সরকার একজন অভিবাসীর হন্ডুরাসে ফেরার বিমান ভাড়া বহন করেছে এবং আরো কয়েকজনের টিকেট বুক করা হয়েছে।

এই উদ্যোগ ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির অংশ, যেখানে ব্যাপক গ্রেফতার ও নির্বাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছায় ফেরার পথও উন্মুক্ত রাখা হচ্ছে। টেলিভিশন বিজ্ঞাপন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিবাসীদের গ্রেফতারের দৃশ্য প্রচার করে জনমনে ভীতির সঞ্চার করার কৌশলও নেওয়া হয়েছে।তবে অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা এই পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো অ্যারন রেইচলিন মেলনিক বলেন, বিচারাধীন অবস্থায় দেশ ত্যাগ করলে অনেক আবেদন, বিশেষ করে আশ্রয় সংক্রান্ত বাতিল হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়া আদালতের সঙ্গে যথাযথ সমন্বয় ছাড়া এ ধরনের উদ্যোগ অভিবাসীদের জন্য আরো ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

অন্যদিকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মতে, একজন অভিবাসীকে খুঁজে বের করে, গ্রেফতার করে এবং নির্বাসন কার্যকর করতে গড় খরচ পড়ে প্রায় ১৭ হাজার ১২১ ডলার। সেই তুলনায় স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের জন্য প্রণোদনা দেওয়া অনেক বেশি সাশ্রয়ী। সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজের পরিচালক মার্ক ক্রিকোরিয়ান বলেন, এই ধারণাটি যৌক্তিক হলেও বাস্তবায়নে নানা জটিলতা রয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে যে অভিবাসীরা প্রকৃতপক্ষে নিজ দেশে ফিরে গেছে? তাদের কি কোনো লিখিত চুক্তিতে সই করানো হবে?

উল্লেখযোগ্যভাবে এ ধরনের প্রণোদনা কর্মসূচি আগেও বিভিন্ন দেশে চালু হয়েছে। ২০১১ সালে মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউট ও ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণায় দেখা যায়, বিশ্বজুড়ে প্রায় ১২৮টি ‘পে-টু-গো’ কর্মসূচি চালু ছিল। তবে এগুলোর বেশির ভাগই উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।

শেয়ার করুন