০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০২:০৭:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


নতুন ভিসা ফিতে বাংলাদেশিদের খরচ বাড়বে আড়াই গুণ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৭-২০২৫
নতুন ভিসা ফিতে বাংলাদেশিদের খরচ বাড়বে আড়াই গুণ বাংলাদেশ ও আমেরিকার পতাকা


‘বিগ বিউটিফুল বিল’-এ গত ৪ জুলাই স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বিল অনুযায়ী, ২০২৩ সাল থেকে অধিকাংশ নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা ক্যাটাগরিতে ২৫০ মার্কিন ডলারের নতুন ‘ভিসা ইন্টেগ্রিটি ফি’ কার্যকর হচ্ছে। ফলে পর্যটন, পড়াশোনা বা কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে ইচ্ছুক আবেদনকারীদের ভিসার খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। এই নতুন নিয়মের কারণে বাংলাদেশিদের জন্যও মার্কিন ভিসা খরচ বাড়তে পারে; কারণ, এই ফি নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা প্রায় সব ক্যাটাগরিতে প্রযোজ্য।

মার্কিন ভিসা ইন্টেগ্রিটি ফি হলো বিদ্যমান ভিসা খরচের ওপর নতুন করে ২৫০ মার্কিন ডলারের (প্রায় ৩০ হাজার টাকা) অফেরতযোগ্য সারচার্জ। এটি ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হবে। ভিসা ইস্যুর সময় এটি বাধ্যতামূলকভাবে পরিশোধ করতে হবে। ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) দ্বারা পরিমাপ করা মুদ্রাস্ফীতির ভিত্তিতে প্রতি বছর এই ফি সমন্বয় করা হবে।

এই ফি অধিকাংশ নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাদের মধ্যে রয়েছে বি-১/বি-২ (পর্যটন ও ব্যবসায়িক ভিসা), এফ এবং এম (শিক্ষার্থী ভিসা), এইচ-এয়ান বি (কাজের ভিসা) ও জে (এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ভিসা)। শুধু ‘এ’ ও ‘জি’ ক্যাটাগরির কূটনৈতিক ভিসাধারীরা এই ফি থেকে অব্যাহতি পাবেন। এর অর্থ হলো, ভারতসহ বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থী, প্রযুক্তি পেশাজীবী, পর্যটক ও ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী-সবাই এই অতিরিক্ত চার্জের আওতায় পড়বেন।

বর্তমানে একটি মার্কিন বি-১/বি-২ ভিসার খরচ ১৮৫ মার্কিন ডলার বা ২২ হাজার ২০০ টাকা। নতুন ভিসা ইন্টেগ্রিটি ফি, আই-৯৪ ফি (২৪ ডলার) ও ইএসটিএ ফির (১৩ ডলার) মতো অন্যান্য ছোটখাটো ফি যোগ করলে মোট খরচ হবে প্রায় ৪৭২ মার্কিন ডলার বা ৫৬ হাজার ৬৪০ টাকা। এটি বর্তমান ভিসা খরচের আড়াইগুণের বেশি। শিক্ষার্থী বা কর্মীদের এফ বা এইচ-ওয়ান বি ভিসার ক্ষেত্রেও খরচ বাড়বে।

এই ফি বাতিল বা কমানো যাবে না, তবে কিছু নির্দিষ্ট শর্তে এটি ফেরতযোগ্য হতে পারে। যদি ভিসাহোল্ডার ভিসার শর্তাবলি মেনে চলেন; যেমন ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পাঁচদিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেন বা আইনত তাদের থাকার মেয়াদ বাড়ান অথবা স্ট্যাটাস পরিবর্তন করেন (যেমন গ্রিনকার্ড পাওয়া), তাহলে এই ফি রিফান্ডের যোগ্য হবে। যদি কোনো ব্যক্তি ভিসার মেয়াদ অতিক্রম করেন বা ভিসার নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তাহলে রিফান্ড প্রযোজ্য হবে না।

মার্কিন সরকার এই ফি একটি নিরাপত্তাব্যবস্থা হিসেবে চালু করেছে, যা ভ্রমণকারী বিদেশি নাগরিকদের আইনসম্মত আচরণকে উৎসাহিত করবে বলে তারা মনে করছে। এটি একটি নিরাপত্তা আমানত হয়েছে, কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা দর্শনার্থীদেরও ভিসার নিয়ম অনুসরণ করতে বাধ্য করবে। মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এই নীতি পরিচালনা করবে এবং প্রতি বছর মুদ্রাস্ফীতির ভিত্তিতে ফির পরিমাণ পুনর্বীবেচনা করবে।

ভিসা ইন্টেগ্রিটি ফি ছাড়াও ট্রাম্পের ৯০০ পৃষ্ঠার ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’-এ রেমিট্যান্সের ওপর ১ শতাংশ আবগারি শুল্কও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অভিবাসীদের দেশে টাকা পাঠাতে এখন খরচ বেশি পড়বে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিবাসননীতি কঠোর করতে এবং সেখানে বসবাসকারী বা কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে রাজস্ব বাড়াতে এটি আইনগত চেষ্টা।

শেয়ার করুন