প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক এবং আদর্শিক সংগঠন রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের চমৎকার এবং বর্নিল বনভোজন গত ২০ জুলাই কানেকটিকাটের সি সাইড পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন প্রবাসের অন্য দশটি সংগঠনের মত নয়। এই সংগঠনেও নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা আছে, কিন্তু প্রতিহিংসা নেই। তাদের মধ্যে সব সময়ই সৌহার্দ্য- সম্প্রীতির বন্ধন অটুট। সেই সংগঠনের বনভোজন মানেই মানুষের বাধভাঙ্গা উপস্থিতি। জাম্পেট আড্ডা, হাসি, আনন্দ এবং স্মৃতিচারণ। রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের বনভোজন মানেই মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। অসাধারণ আতিথিয়তা এবং কর্মকর্তাদের হৃদয় নিংড়ানো আন্তরিকতা। সেই আন্তরিকতার ভেলায় সি সাইড পার্ক যেন একখন্ড চাঁদপুরে পরিণত হয়। আর একটু বাড়িয়ে বললে বলতে হয় একখন্ড কুমিল্লা, নাকি সর্বস্তরের অংশগ্রহণে একখন্ড বাংলাদেশ। অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন এই বনভোজনে যারাই এসেছেন, তারাই আয়োজকদের আতিথিয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন। সকাল থেকেই আগতেদের বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিবেশন করা হয়। বনভোজনে আড্ডা ছিলো, খেলাধুলা ছিলো, র্যাফেল ড্র ছিলো, খাবার ছিলো। দিন শেষে ছিলো র্যাফেল ড্রসহ বিভিন্ন খেলাধুলার পুরস্কার বিতরণী।
সংগঠনের সভাপতি মাওলানা ফখরুল ইসলাম মাছুমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মনিরের পরিচালনায় সকালে বনভোজনের উদ্বোধন করেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও জেবিবিএ’র সভাপতি হারুণ ভূইয়া। বনভোজনে প্রধান অতিথি ছিলেন কানেটটিকাটের স্টেট সিনেটর মো: মাসুদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সভাপতি ডা. এনামুল হক। অতিথি হিসাবে ছিলেন রাসেল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের জসিম রাসেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: ফিরোজুল ইসলাম পাটোয়ারী, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি আমিন খান জাকির, মোরশেদ আলম, (শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ), মনিরুজ্জামান মজুমদার (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী), মোহাম্মদ আলম (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী), নুর আলী স্বপন (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী), প্রফেসর মোঃ শাহাদাত হাসান, আক্তার হোসেন বদল, আরএলবি গ্রুপ, সিইও, মামুন মিয়াজী সাবেক সভাপতি, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন নিউইয়র্ক ইনক, মোঃ ফারুক হোসেন পলাশ, সাবেক ভিপি, চাঁদপুর সরকারি কলেজ, মোহাম্মদ ফারুকুল ইসলাম (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী), মুনমুন হাসিনা বারী (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী), সৈয়দা নিলুফার ইয়াসমিন (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী), মোঃ মনিরুল ইসলাম (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী-ডিজিটাল গ্রাফিক), মোঃ জামান তপন সম্মানিত সদস্য, মোহাম্মদ রফিকুর রহমান, ডাক্তার মাইনুল ইসলাম মিয়া, নাজমুল আহসান, মোস্তফা হোসেন মুকুল, ডাক্তার ধনঞ্জন সাহা।
বনভোজনের বিশেষ সহযোগিতায় ছিলেন আসিফ বারী টুটুল, সিইও, বারী হোম কেয়ার, ডাঃ এনামুল হক, ট্রাস্টি বোর্ড মেম্বার, বাংলাদেশ সোসাইটি, মোহাম্মদ আলম নমি, (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী), আলমগীর হোসাইন, এডভান্স একাউন্টিং এর প্রেসিডেন্ট, জুলফিকার আক্তার জুয়েল, ক্যালিসা অটো রিয়েফেয়ার, মোঃ সাইফুল ইসলাম, এমডি, সেবা হোল্ডিং লিমিটেড, মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল, খাবার বাড়ি, জ্যাকসন হাইটস্, দুলাল বেহেদু, সভাপতি, ঢাকা জেলা এসোসিয়েশন ইউএসএ ইন্ক, আবুল হাশেম, কর্ণফুলী ট্যাক্স সার্ভিস, মাহমুদুল হাসান, সিইও, এনওয়াই সফট ইউএসএ, ফাহাদ সোলায়মান, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক, (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী), নবান্ন রেস্টুরেন্ট, মোহাম্মদ আফতাবুজ্জামান শিমুল, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, ডিজিটাল গ্রাফিক, জ্যাকসন হাইট, শাকিল মিয়া গ্রাফিক্স ওয়ার্ল্ড, জ্যাকসন হাইটস, মমিনুল ইসলাম মজুমদার, বিগ ডিজাইন, জ্যাকসন হাইটস, ওয়াসী চৌধুরী, ইএ, ওয়াসী চৌধুরী এন্ড এসোসিয়েটস, এম রহমান প্রিন্স প্রগ্রেস ফান্ডিং, নুরুল ইসলাম মিলন, সহ-সাধারণ সম্পাদক, আসিফ শাহরিয়ার, প্রেসিডেন্ট এন্ড সিইও, লিবার্টি ব্রোকারেজ।
বনভোজনে সফলে যারা অক্রান্ত পরিশ্রম করেছেন। তারা হলেন- সভাপতি মু. ফখরুল ইসলাম মাছুম, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মনির, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আবু সাদেক, আহ্বায়ক মোঃ রেজাউর রহমান রাজু, সদস্য সচিব: মোঃ মাহাবুবুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ নুরুল আমিন, যুগ্ম আহবায়ক মিঞা ওবায়দুর রহমান, যুগ্ম সদস্য সচিব মোঃ আবু তাহের, যুগ্ম সদস্য সচিব, ফয়েজ আহমেদ, প্রধান পৃষ্ঠপোষক: হারুন ভূঁইয়া, সার্বিক তত্ত্বাবধানে: মোঃ কবির, তত্ত্বাবধানে মোবারক হোসাইন, মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ নুরুল ইসলাম মিলন, মোঃ জাকির হুসাইন, সমন্বয়কারী মোঃ এ সিদ্দিক পাটোয়ারী, আব্দুর রহিম ভূঁইয়া, বনভোজন উদযাপন কমিটির সদস্য: মোঃ জসীম উদ্দিন, মোঃ আবুবকর ফয়সাল পাটোয়ারী, রাজন হাসান, প্রচার সম্পাদক আবু বকর।
বাচ্চাদের খেলাধুলার মধ্যে ছিলো- ৫ থেকে ৮ ছেলে ও মেয়ে: ১০০ মিটার দৌড়। বিজয়ীরা হলেন- আমিনা, জারিফা তাবাস্সুম, নুমাইবা, মেহেরুন। ছেলে- মুসতাকিন, সালিকম ইব্রাহিম খলিল, জোহের। ৯ থেকে ১৩ ছেলে ও মেয়ে : ১৫০ মিটার দৌড়, তাজরীয়ান হক, আরিয়ান, মুরাদ, ওসর জাহিদী, মেয়ে- সিয়ানা, সামারা, সামিহা ও তাসপিয়া। ১৪ থেকে ১৭ ছেলে ও মেয়ে : ২০০ মিটার দৌড়, তানজিম, সামীর, তৌসিফ তাহা, মেয়ে- রেন্তী, কানিজ, ওয়ারসিয়া ও শাহরিমা। মহিলাদের বালিশ খেলা: বিজয়ী- ফারজানা, জান্নাত বেগ, সাদিয়া ইসলাম ও সুরাইয়া। পুরুষদের ফুটবল।
র্যাফেল ড্র পুরস্কার সহযোগিতায়: ১ম পুরস্কার: ১,০০০ ডলার- হোসেন মেডিকেল কেয়ার, মোঃ হোসেন এমডি, ২য় পুরস্কার: ৫০০ ডলার ক্যাশ, নবান্ন রেস্টুরেন্ট, মোঃ আফতাবুজ্জামান শিমুল, ৩য় পুরস্কার: ৪০০ ডলার ক্যাশ, রুবেন এবং সৈকত। ৪র্থ পুরস্কার: অ্যাপেল আইপ্যাড, এটর্নি মঈন চৌধুরী, ৫ম পুরস্কার: অ্যাপেল আইপ্যাড মোঃ সাইফুল ইসলাম, এমডি, সেবা হোল্ডিং লিমিটেড। ৬ষ্ঠ পুরস্কার : ল্যাপটপ, মহিউদ্দিন দেওয়ান, সিনিয়র সহ-সভাপতি বাংলাদেশ সোসাইটি। ৭ম পুরস্কার : ল্যাপটপ, মফিজুল ইসলাম রুমি কোষাধ্যক্ষ, বাংলাদেশ সোসাইটি। ৮ম পুরস্কার :৬৫ ইঞ্চি টিভি, সোহেল গাজী ফাইফ স্টার মাল্টিসার্ভিস, ৯ম পুরস্কার: স্যামসং আইপ্যাড, সলিমুল্লাহ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। ১০ম পুরস্কার : মিয়া মোহাম্মদ দুলাল, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি যুক্তরাষ্ট্র ইন্ক। ১১তম পুরস্কার: স্যামসং আইপ্যাড নুরুল ইসলাম মিলন, সহ-সাধারণ সম্পাদক, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন নিউইয়র্ক ইন্ক, ১২তম পুরস্কার: স্যামসং আইপ্যাড ওয়াসি ট্রাক্স ও মাল্টি সার্ভিস, ১৩তম পুরস্কার: স্যামসং আইপ্যাড জামাল আহমেদ এশিয়ান কারী, ১৪তম পুরস্কার :বিসমিল্লাহ লাইভ পোল্ট্রি, গিফট কার্ড, ১৫ম পুরস্কার: স্যামসং আইপ্যাড মোঃ আনোয়ার হোসাইন, বিডিওয়ারল্যাস, ১৬তম পুরস্কার: কুকিং সেট, মোবারক হোসাইন, সহ-সভাপতি রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন নিউইয়র্ক ইন্ক, ১৭তম পুরস্কার: কুকিং সেট, অবকাশ, জ্যাকসন হাইটস্, ১৮তম পুরস্কার:ডিনার সেট, আবু সাদেক, ১৯তম পুরস্কার:টাওয়ার ফ্যান, ইত্যাদি গ্রোসারি, জ্যাকসন হাইটস্ ও ২০তম পুরস্কার:হটপট বক্স, জালাল উদ্দিন জালাল।
বনভোজনকে সফল এবং স্বার্থক করার জন্য সভাপতি ফখরুল ইসলাম মাছুম ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মনির সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আবারো তারা প্রমাণ করলেন তাদের নেতৃত্বেই আস্থা চাঁদপুরবাসীর।