৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:৩৮:২৮ অপরাহ্ন


কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকার গাড়ি চালকেরা মানসিকভাবে অসুস্থ
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৮-২০২৫
কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকার গাড়ি চালকেরা মানসিকভাবে অসুস্থ রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের লগো


পেশাগত সুযোগ সুবিধা বিশেষ করে, নিয়োগপত্র, বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকার যানবাহনের অধিকাংশ চালক শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ। তারা সবসময় অস্বাভাবিক আচরণ করেন এবং বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালান। ফলে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হন। তাই, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে পরিবহন শ্রমিকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা এবং সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক জরিপ প্রকাশ করে এসব অভিমত উঠে আসে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক হলেন সাইদুর রহমান। জুলাই মাসের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন পেশ করতে গিয়ে তিনি এই অভিমত ব্যক্ত করেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন উদ্যোগে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

এতে বলা হয়েছে গত জুলাই মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৪৩টি। নিহত ৪১৮ জন এবং আহত ৮৫৬ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৭২ (১৭.২২%), শিশু ৫৩ (১২.৬৭%)। ১৩১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১০৯ জন, যা মোট নিহতের ২৬.০৮ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ২৯.৫৭ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৯২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৬ জন, অর্থাৎ ১৩.৪০ শতাংশ। আর এই সময়ে ৪টি নৌ দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। ২১টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত ৭ জন আহত হয়েছেন। 

 রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, ত্রুটিপূর্ণ সড়ক, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; ৯. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ-র সক্ষমতার ঘাটতি, গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

দুর্ঘটনা পর্যালোচনা ও মন্তব্যে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে অতিরিক্ত গতির কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। এই গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারী এবং চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ দরকার। যানবাহনের বেপরোয়া গতি এবং পথচারীদের অসচেতনতার কারণে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে। এজন্য সরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে জীবনঘনিষ্ঠ সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।

শেয়ার করুন