২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৪:০১:০৪ পূর্বাহ্ন


ডারবানে ৫৩ রানের লজ্জা
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৪-২০২২
ডারবানে ৫৩ রানের লজ্জা ডারবানে ৫৩ রানের লজ্জার পথে শুন্যরানে আউট হয়ে ফিরছেন মুশফিক। ছবি: ইন্টারনেট


ডারবানে রহস্যে ঘেরা বাংলাদেশের ব্যাটিং। যাতে বিস্ময়ের আর অন্ত নেই।   যেখানে জয়ের স্বপ্নে বিভোর ছিল বাংলাদেশ, সেই টেস্টের এক ইনিংসে মাত্র ৫৩ রানে অলআউট এটা কি কল্পনার করার মত? অল্পে রক্ষা। নতুবা নিজেদের ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটাও এ ইনিংসে ব্রেক হয়ে যেতেও পারতো। যা ২০১৮ সনে হয়েছিল ওয়েষ্টইন্ডিজের বিপক্ষে। বাংলাদেশ এ ম্যাচে জয়ের টার্গেটে মাঠে নেমেছিল। কিন্তু শেষদিনের চরম ব্যর্থতা মাত্র ৫৩ রানে অলআউট হয়ে, ২২০ রানে হেরে গেছে লড়াইয়ের আগেই। শেষদিনে যেন অসহায় আত্মসমর্পণ করল তারা পটিয়ায় স্পিনারদের বিপক্ষে।

বাংলাদেশ স্পিনে ভাল খেলে। কারন বাংলাদেশের উইকেটই হয় স্পিন সহায়ক। কথিত আছে পেস নিয়ে। ফাস্ট বোলিং উইকেটে ব্যাটিংয়ের অভাবে দেশের বাইরে প্রায়ই পেসের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ে হিমশিম খায়। কিন্তু এ কি অবস্থা।

                                                                                                                                                                                                                                                                           

এবার তো স্পিনেই নাকাল। প্রোটিয়া স্পিনার কেশব মহারাজ ও সায়মন হার্মারেই শেষ। কেশব মহারাজ নিয়েছেন ৭ উইকেট আর হার্মার তিন। ব্যাস, এই দুজন মিলে ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশকে লজ্জায় ডুবিয়ে দিয়েছে। অবশ্য ব্যাটিং ব্যর্থতা ছিল প্রথম ইনিংসেও। ওপেনার মাহামুদুল হাসান জয় দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল বাংলাদেশকে। অণ্যরা ব্যার্থ যথারীতি। এ ইনিংসে জয় ব্যার্থ হওয়ার পর অন্যরা নিজেদের ব্যার্থতা কন্টিনিউ করলো যথারীতি।  

যদি শেষ দিনে উইকেট ভেঙ্গে যায় এবং বল খুব টার্ন করে তাহলে এ ম্যাচে বাংলাদেশের বিশ্লেষন কী ছিল উইকেট নিয়ে? কেন উইকেট এমনটা জেনেও টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেয়া?

বরং প্রথম ব্যাটিং করলে তাহলে প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইন শেষ দিনে তছনছ করে দেয়া যেত। আবারও ভুল জাজমেন্ট টিম ম্যানেজম্যান্টের। অধিনায়কের একা দোষ নেই। টিম ম্যানেজম্যান্ট সিদ্ধান্ত নেয় টসে জিতলে কী করতে হবে। 

ম্যাচের চতুর্থদিনে ২৭৪ রানের জয়ের টার্গেট দিয়ে ইনিংস শেষ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ওভার খেলার সুযোগ ছিল চার। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাটিং করতে নেমে মুহুর্তেই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। 

 শেষ দিনে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল অন্তত পক্ষে লড়াই করা কিন্তু সেটার পারলো কই অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই অসহায় আত্মসমর্পণ করে ফিরল তারা ক্রিজে ফিল্ড ড্রেসিংরুমে। দলীয় ৫৩ রানের মধ্যে নাজমুল হোসেন শান্ত ২৬ রান করেছিলেন, এছাড়া তাসকিন করেছিলেন ১৪। বাকী ব্যাটসম্যান এর নামের সামনে টেলিফোন নাম্বার।  

ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টেস্ট ম্যাচে ভালো একটা সূচনার পর, এভাবে ভেঙ্গে পড়াটা বাংলাদেশ দলের পারফরমেন্সের যে আপডাউন হয় তারই প্রমান মিললো। এ থেকে কিভাবে উত্তরন ঘটানো সম্ভব কে জানে?  কেশব মহারাজ ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার লাভ করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

দক্ষিন আফ্রিকা : ৩৬৭ ও ২০৪/১০. বাংলাদেশ : ২৯৮ ( মাহামুদুল হাসান জয় ১৩৭) ও  ৫৩/১০ (১৯ ওভার), কেশব ৭/৩২, সায়মন হার্মার ৩/২১। ফল: দক্ষিন আফ্রিকা ২২০ রানে জয়ী।  

শেয়ার করুন