১৯ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৩:৩০:১৪ অপরাহ্ন


প্রেসিডেন্টের কঠোর হুঁশিয়ারী \ সময়সীমা ১০ বছর \ ২ বিলে স্বাক্ষর
পিপিপি ইআইডিএল ঋণ ও অনুদান প্রতারকদের ছাড় দেয়া হবে না
মো. জামান তপন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৮-২০২২
পিপিপি ইআইডিএল ঋণ ও অনুদান প্রতারকদের ছাড় দেয়া হবে না


গত ৫ আগস্ট ২০২২ শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দুটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন। যা বিচার বিভাগকে অধিকতর সময় দেয়া হয়েছে কোভিড-১৯ এর সময় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে জনগণের ট্যাক্সের অর্থ প্রতারণার মাধ্যমে গ্রহীতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও অভিযোগ প্রমাণ করে আইনের আওতায় আনা যায়।

সম্প্রতি দুইটি বিল কংগ্রেসস পাশ করা হয়েছে। বিলে প্রতারকদের ধরতে এবং আইনের আওতায় আনতে ১০ বছরের জন্যসীমা দেয়া হয়েছে। যা আগে ৫ বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। প্রেসিডেন্টের সই করার বিল দুটি আইনে পরিণত হয়েছে। একটি হলো এইচ আর ৭৩৩৪, ”যা কোভিড-১৯ ইআইডিএল ফ্রড স্ট্যাচু অব লিমিটেশন এ্যাক্ট অব ২০২২” হিসাবে অভিহিত। এর ফলে দীর্ঘ ১০ বছরের মধ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রশাসনের অধীনে ইকোনোমিক ইঞ্জুরি ডিজাস্টার লোন প্রোগ্রাম থেকে প্রতারণা বা জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ গ্রহীতদের বিচারের আওতায় আনা যাবে।

অপরটি হলো এইচ আর ৭৩৫২, যা “পিপিপি এন্ড ব্যাংকফ্রড এনফোর্সমেন্ট হারমোনাইজেশন এ্যাক্ট অব ২০২২” হিসাবে অভিহিত এবং এর ফলে দীর্ঘ ১০ বছরের মধ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রশাসনের অধীনে প্যারোল প্রটেকশন প্রোগ্রাম থেকে প্রতারণা বা জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ গ্রহীতাদের বিচারের আওতায় আনা যাবে। আর বিল দুটি যৌথভাবে উত্থাপন করেছিলেন রিপ্রেজেনটেটিভ লুইথ কেমায়ার, ভেলাজ কোয়েজ, ডেভিডস, ভ্যানডুইয়েন।

বিল দুটিতে স্বাক্ষর করার আগে প্রেসিডেন্ট তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য বলেন, ’আমেরিকার জনগণ জানার অধিকার রাখে যে তাদের করের অর্থ পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যয় হচ্ছে কিনা। তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ’যারা প্রতারণা করেছে তাদের কাছে আমার পরিষ্কার বার্তা হলো, তোমরা কেউ লুকাতে পারবে না, আমরা তোমাদের খুঁজে বের করবো, আমরা তোমাদের চুরি করা অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য করবো এবং আইনের অধীনে বিচারের মুখামুখি করবো।’ এর আগে গত মার্চ মাসে স্টেট অব দি ইউনিয়নের ভাষণে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কোভিড-১৯ পেন্ডামিক রিলিফ ফান্ড জালিয়াতদের বিচারের মুখোমুখি করতে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টে স্পেশাল প্রসিকিউটর নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

পে চেক প্রটেকশন প্রোগ্রাম (পিপিপি) করোনা মহামারীর সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং কোম্পানীগুলোকে তাদের কর্মচারির বেতন দেয়ার জন্য অফেরত যোগ্য ঋণ প্রদান করে। আর ইআইডিএল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ ও অনুদান হিসাবে অর্থ দেয় মূলধন ও আনুষাঙ্গিক খরচাদি মেটানোর জন্য। অক্টোবর ২০২০ সালে ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রশাসনের (এসবিএ) অফিস অব ইনিসপেক্টর জেনারেল ৭৮.১ বিলিয়ন ডলার সম্ভাব্য জালিয়াতিপূর্ণ ইআইডিএল ঋণ এবং অযোগ্য আবেদনকারীদের অনুদান প্রদান করা হয় আরো ৬.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ ও অনুদান সনাক্ত করেছে যা অভিযুক্তরা অপরের পরিচয় চুরির সাথে জড়িত।

এছাড়া গত বছর এজেন্সী ওয়াচডগ সনাক্ত করেছে যে ৭০ হাজারের বেশি পিপিপি ঋণ গ্রহীতা মোট ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের অধিক ঋণ গ্রহণে জালিয়াতি বা প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। বিলগুলির অন্যতম উদ্যোগতা কংগ্রেসম্যান নাদিয়া এম ভেলাজ কোয়েজ (ডি-নিউইয়র্ক-৭) এক বিবৃি বলেন, সময়সীমা বৃদ্ধি করে ১০ বছর করায় সকল প্রতারকদের আইনের আওতায় আনতে যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে।


শেয়ার করুন