২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১০:৫৭:১১ পূর্বাহ্ন


দেশকে সাইমন
চলচ্চিত্র বড় জায়গা, একটু সমালোচনা থাকবেই
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৯-২০২২
চলচ্চিত্র বড় জায়গা, একটু সমালোচনা থাকবেই সাইমন


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক। ২০১২ সালে চলচ্চিত্রের অভিষেক হওয়ার পর নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন তিনি। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসাবে ‘পোড়ামন’ ছবির জন্য পেয়েছেন সেরা অভিনেতার পুরস্কার। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার সিনেমা ‘লাইভ’। এই সিনেমা ও বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আলমগীর কবির 

প্রশ্ন: লম্বা বিরতির পর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলো আপনার নতুন ছবি। অনুভূতি কেমন?

সাইমন সাদিক: আমরা সিনেমার মানুষ। সিনেমা ছাড়া কিছুই ভালো লাগে না। করোনা ভাইরাসসহ নানা ঝামেলায় দীর্ঘদিন নতুন সিনেমা মুক্তি পায়নি। ওই অবস্থা থেকে বের হচ্ছি ‘লাইভ’ সিনেমার মাধ্যমে। এই অবশ্যই অনেক ভালো লাগার অনুভূতি। 

প্রশ্ন: দীর্ঘদিন পর আপনার নতুন ছবি। অথচ সেভাবে প্রচারণা দেখালাম না। কারণ কি?

সাইমন সাদিক: কারণটা আসলে আমিও খুঁজে পাচ্ছি না। সাংবাদিক ভাই-বন্ধুরা যা করছে, এতটুকুই। ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক এবং আমি হতাশ। এত ভালো একটা সিনেমার প্রচারণায় এমন ঘাটতি দেখে দুঃখ ছাড়া কিছুই করার নেই।

প্রশ্ন: সেটা কেন? নির্মাতারা কী বলছেন?

সাইমন সাদিক: আমি বারবার যোগাযোগ করেছি, কীভাবে কী করা যায় তা নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছি। আমার শিডিউলও দেওয়া ছিল মুক্তির আগে ১৫-২০ দিন সিনেমার প্রচারণার জন্য। এখন প্রযোজনা সংস্থার কাউকেই খুঁজে পাচ্ছি না। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব প্রচারের চেষ্টা করছি। তবে প্রচারণার মূল দায়িত্বটা কিন্তু প্রযোজনা সংস্থার।

প্রশ্ন: সিনেমাটি এরই মধ্যে অনেক দর্শক দেখে ফেলেছেন। আপনি কতটুকু আশাবাদী?

সাইমন সাদিক: সিনেমাটি সমসাময়িক একটা ঘটনার ওপর নির্মিত। এই সময়ের দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই পরিচালক শামীম আহমেদ রনী সিনেমাটি বানিয়েছেন। সাইকো থ্রিলার যেমন হওয়া উচিত, তেমনই হয়েছে। যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা প্রশংসা করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই আনন্দিত এরকম একটি কাজের অংশ হতে পেরে। 

প্রশ্ন : আবারও মাহির সঙ্গে জুটি বাঁধলেন। এবারের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

সাইমন সাদিক: মাহি দারুন অভিনেত্রী। আগের চেয়ে অনেক পরিণত মানুষ ও অভিনেত্রী। লাইভ সিনেমায় তাঁর চরিত্রটা পরিচালক যতটুকু আশা করেছিলেন, তার চেয়েও বেশি পেয়েছেন বলে আমি জানি। সামনে আমাদের ‘বুবুজান’, ‘নরসুন্দরী’ আর ‘অশ্রুঘর’ মুক্তির অপেক্ষায় আছে। ওই সিনেমাগুলোও দর্শকদের ভালো লাগবে।

প্রশ্ন: আপনার চরিত্রের অনেকগুলো শেড আছে। চরিত্রটা নিয়ে যদি বলতেন?

সাইমন সাদিক: এই প্রশ্নের উত্তরটা সবচেয়ে ভালোভাবে জানতে পারবেন সিনেমা হলে গেলে। বাইরে থেকে যা শুনবেন বাস্তবে গল্পটা আরও বিস্তারিত, আমার চরিত্রটাও সরলরৈখিক না। সাইকো থ্রিলার গল্প, তাই এখনই বেশি কিছু বলতে চাইছি না। অনেকে ভাবতে পারেন চরিত্রটা নেগেটিভ। আসলে তা নয়। তবে গল্পের প্রয়োজনে কিছু জায়গার রিঅ্যাকশন অনেকের কাছে নেতিবাচক লাগতে পারে।

প্রশ্ন: শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

সাইমন সাদিক: একটি দৃশ্যে টানা ১৬ মিনিট অভিনয় করেছি। কতটা মনোযোগ আর ডেডিকেশন নিয়ে কাজ করলে আমার মতো একজন অভিনেতা এটা একবারেই করতে পারে! টিজারেই রহস্যের ছায়া পাওয়া গেছে। গল্পটা একবার দেখতে বসলে দর্শক শেষ পর্যন্ত দেখবেন।

প্রশ্ন: লম্বা বিরতি দিয়ে আপনার সিনেমা মুক্তি পেলো। এই বিলম্বের কারণ?

সাইমন সাদিক: আমার সাত-আটটি সিনেমা সেন্সর হয়ে আছে। মাঝখানে আড়াই বছর করোনার কারণে সব থেমে থাকল। বাকি দেড় বছর সিনেমা রিলিজ হবে হবে করে চলে গেল।

প্রশ্ন: মুক্তির অপেক্ষায় কী আছে?

সাইমন সাদিক: শামীম আহমেদ রনির ‘নরসুন্দরী’, শাহীন সুমনের ‘গ্যাংস্টার’, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘অশ্রুঘর’, শওকত হোসেনের ‘নদীর বুকে চাঁদ’, বদিউল আলম খোকনের ‘দায়মুক্তি’ ইত্যাদি।

প্রশ্ন: আপনি শিল্পী সমিতির দায়িত্বপূর্ণ পদে আছেন। কিন্তু এই সমিতি নিয়ে মানুষের নেতিবাচক ধারণা কাটছে না। এর কারণ কী?

সাইমন সাদিক: যখন দেখি কেউ একটা ভালো বিষয়কেও মন্দভাবে প্রকাশ করছে তখন কিছুটা খারাপ লাগে। ফেসবুক আছে, সেখানে লিখে দিচ্ছেন। কিন্তু এখান থেকে (সমস্যা) কিভাবে সামনের দিকে আমরা এগিয়ে যাব তা কেউ বলছে না। আমার জায়গা তেকে বলব, বিব্রত হওয়ার কারণ নেই। চলচ্চিত্র বড় জায়গা। এটা নিয়ে একটু আলোচনা-সমালোচনা থাকবেই। আমি খুব একটা বিব্রত না। তবে মাঝে মাঝে মনে হয়, আপনার কী কোনো দায় নেই দেশের মানুষ হিসেবে? আপনার চলচ্চিত্র, সংস্কৃতি কিংবা দেশ কীভাবে এগিয়ে যাবে তা নিয়ে কি আপনার কোনো দায় নেই?

শেয়ার করুন