১৯ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৩:৩৩:৪৫ অপরাহ্ন


১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও আমার বাবার স্মৃৃতি
জুলি রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৪-২০২২
১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও আমার বাবার স্মৃৃতি


সেদিন ছিল ১০ই চৈত্র ১৩৭৭ বাংলা। প্রখর সূর্য তাপ। রোদের নহর ঝুলে ঝুলে পড়ছিল খরা মাটির কঠিন বুকে। ২৪শে মার্চ ১৯৭১ইং। আজ সেই ২৪শে মার্চ। আমার বাবার প্রয়ঠু দিবস। এই দিনটিতে আমি ভীষণ রকম এলোমেলো থাকি। মোটকথা খাওয়া-দাওয়া, আহার-নিদ্রা সব কিছুই এলোমেলো। আর যখন বাবা দিবসে ফেসবুকের পাতা গরম সরব হয়ে ওঠে। আমি তখন নির্জন কোনো বৃরে নিচে বসে বাবার গান পুঁথি একা একা গাইতে গাইতে কাঁদি। 

২০০২ইং এ ফারুক আহমদ এক সাক্ষাত্কারে আমাকে বলেছিলেন। আপনার ছোটগল্প সুন্দর, কিন্তু খেয়াল করে দেখলাম, আপনার গল্পের নায়ক শুধু মরে যায় কেন? ণকাল নীরব থেকে বললাম- যার বাবা সাত বছর বয়সেই পৃথিবী ছাড়ে। তাঁর গল্পের নায়ক বাঁচবে কেন? উনি একটু অবাক হলেন! আমি শুধু আমার মাকে কাঁদতেই দেখেছি। মা সুখেও কেঁদেছেন, শোকেও কেঁদেছেন। বড়ভাইয়ের এমএসসি রেজাল্ট হলো ফার্স্ট কাস ফার্স্ট আর মা মিষ্টি বিতরণ করছেন আর কাঁদছেন। আমি প্রথম শ্রেণি থেকে কোনোদিন কাসে দ্বিতীয় স্থানেও যাইনি। পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পেলাম। মা গলা ছেড়ে কাঁদলেন। কারণ আমার বাবা ও মায়ের যে প্রেম ছিল তা ছিল স্বর্গীয়। যে স্বপ্ন ছিল সন্তানদের নিয়ে তা বাবা দেখতে পেলেন না বলেই মায়ের এই করুণ বেহাগ বেদনা হয়ে আনন্দাশ্রু হয়ে ঝরেছে। 

তা যা বলছিলাম ২৪শে মার্চ। আমি রোদ গরম তাপ উপো করে খেলা করছিলাম সাথীদের সাথে। খেলার মাঝে মাঝে আমার আবিদ জেঠুর রেডিও ঘিরে আড্ডাও দেখছিলাম। কিন্তু সবার মুখের ওপর যে বিষন্নতার ছাপ দেখলাম তা ঢাকাকেন্দ্রিক। খবরে প্রকাশ ঢাকা ঘেরাও। কারা করছে কেন করছে সেসব বোঝার বা জানার কৌতুহল একদমই নেই। কলাপাতার নিচে সবে আমরা মাদুর পেতে বসেছি। অমনি বাজ পড়ার মতো সবাই একসাথে চিত্কার করে উঠলো। আমাকে আমার বড় জেঠি দৌড়ে এসে কোলে তুলে নিলেন। 

ঘরে ঢুকতেই দেখি সবাই আমার বাবা তজিম উদ্দীনকে ঘিরে বিলাপ করে কাঁদছে। আমার বড়ভাই উঠোনে পড়ে গড়াগড়ি যাচ্ছে। বড় বোনে এলোচুলে খাটের মধ্যে বারবার মাথা ভাঙছে। ফাতেমা আপা বড়বোনকে জাপটে ধরে বসে। সবাই কাঁদছে। আমি জেঠিমার কোলে বসে বসে দেখছি। হঠাত আমার মনে পড়লো জেঠিমা তো আমকে কখনো কোলে নেয় না। কোলে নেয় পলিকে। তা-ও কখন নেয়, যখন পলিকে আর আমি বহন করতে পারি না তখন, আজকে আমাকে কোলে নিলেন জেঠিমা? আমি দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ি। অনতিদূরে দেখি বড় জেঠুর কোলে পলি। জেঠু নিঃশব্দে চোখের জল ঝরাচ্ছেন। 

মুহূর্তে বাড়িটির শরীর ভরাট হয়ে উঠলো। ফুপুগণ আছড়ে পিছড়ে গলা ছেড়ে কান্না শুরু করলেন। আমি জেঠিমার কোমর গলিয়ে নিচে নামলাম। বাড়ির উত্তর পাশে বাবার ছিপ নৌকাটা কামরাঙা গাছের নিচে উঁচু মাটির ঢিবিতে পিঠস্থান করে রাখা। আমি সেই নৌকার লম্বা করা উল্টো গলুইতে বসতেই মনে পড়লো প্রতি বছর বাবা এই নৌকায় নাও দৌড়ানি খেলেন। কলমাইর ভরাট যৌবনা বুকে। সারি সারি ছিপ নৌকা। ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় রকমারি বেহাতি গ্রামের ভাষায়। কেউ কেউ আবার মজা বলতো। আমরা সেই ছো ডিঙি নৌকায় দুলতে দুলতে বাইলার আন্ডা জিলাপি, মিষ্টি বাকরখানি, বাদাম বাতাসা কিনতাম আর খেতাম। যখন নৌকাবাইচ শুরু হতো সে কি ব্যস্ততা সবার মুখে চোখে। শৈনার নাও বলে একটা নৌকা ছিল লাল-সবুজে পেটমোটা চ্যাপ্টা। আর সব নৌকাগুলোই লম্বা ছিপের মতো। প্রতিযোগিতার সময় পানির নিচে দিয়া যেতো শুধু বৈঠা আর নৌকার মাঝিই দেখা যেতো। চোখের পলকে চিলুগাতা থেকে বোরবারিয়ার মোড়ার চর। মাঝখানে লালশালু কাপড় মাথায় বেঁধে আমার বাবা মধুর কণ্ঠে গাইতেন আর একটা ঝুনঝুনি বাজাতেন। আর সুর করে বলতেন; কালো কোকিল তুই ডাকিস না কদমের ডালে। সারাদিন খেলতে খেলতে দৌড়াতে দৌড়াতে ওই একটা লাইনই বলতাম। মাঝে মধ্যে বাবার সামনে পড়লে বাবা বলতেন আমার বায়লার মা। গায়ের রঙ ময়লা বলে বলতেন মালেকার মা। কারণ আমার এক ফুপু মালেকা বানু আমার মতো রঙ বলে আমাকেও বাবা মালেকার মা বলে আদর করে ডাকতেন। 

দুই সপ্তাহ আগেও বাবার ব্যথার সে কী আর্তনাদ!

গলা ছেড়ে অসহ্য ব্যথায় চিত্কার করতেন। একটা ইনজেকশন বাবাকে ঘুম এনে দিতো। তখনও আমরা কেউ জানতাম না বাবা আর মাত্র দুইটা মাস বাঁচবেন। প্যানক্রিয়াস ক্যানসার। ডাক্তারদের সাধ্যের বাইরে। শুধুমাত্র বড়ভাই জানতেন। মাকেও বলেনি ভাই। বড়ভাই তখন অনার্স ফার্স্ট ইয়ার। 

বাবা এই পৃথিবীর আলো বাতাস থেকে বঞ্চিত হবে জেনেই বড়ভাই মাকে বলেন, বাবা যখন যা খেতে চায়, করতে চায় বাধা দিও না। 

মা খুব বিচণা। কেন এই কথা? তবে কী সে আর ভালো হবে না? হাসপাতালে কেন রাখলো না? অপারেশনের দগদগে ঘা পেটে। হাসপাতাল তাকে ছেড়ে দিলো? নানা চিন্তায় মা অস্থির! ওদিকে দিনকে দিন বাবার ব্যথা পাগলা হয়ে ওঠে। মা ডাক্তার-কবিরাজ-ফকির যে যা বলে তাই করতে থাকে। ঢাকা থেকে বড়ভাই আসে মন বিষন্ন করে বসে থাকে। মেঝো ভাই নবম শ্রেণির ছাত্র। সাইকেলেই থাকে দিনের বেশিরভাগ। কারণ বাবার ইনজেকশন, স্যালাইন- যখন যা প্রয়োজন সব চার-পাঁচ মাইল দূরে দরে সাইকেলে করে নিয়ে আসেন আমার মেঝো ভাই। চৈত্রের দাবদাহ আমার ভাইটির মুখ পুড়ে যায়। একটু বসতে না বসতেই আবার ছোটে। আমরা সাত ভাই, তিন বোন। চার ভাই-বোন পিঠাপিঠি বয়স। তিনজন বড়। বড়বোন ঢাকায় থাকে। স্বামীর সাথে। বড়ভাই ভার্সিটিতে। মেঝো ভাই ভালুম আতাউর রহমান হাইস্কুলে নবম শ্রেণির ছাত্র। 

হাতের টাকা শেষ, মা ছুটলেন জমি বিক্রয় করতে। বাবার জমি না বিক্রি করে মা’র জমি বেচলেন। বাবা যাতে কষ্ট না পায়। সেজন্য মা’র জমিই বেচলেন। ঘরের ভেতর কান্নার বেহাগ আমার চোখে কোনো জল নেই বাবার স্মৃতিচারণ ছাড়া। দু’ক‚ল প্লাবিত বন্যা। বাড়ির ওঠোন পানিতে স্রোতস্বিনি। আমি এই নৌকায় পাটাতনের নিচে লুকিয়ে থাকতাম, বাবা নৌকা ছাড়লে কিছুদূর যেতেই আমি ধীরে ধীরে দিগম্বর দেহটা নৌকার নিচ থেকে টেনে বার করতাম। বাবা চিত্কার করে  উঠতেন বায়লার মা! দেখ দেখি কাণ্ড। এই ঠাটা পড়া রোদ তুমি তো গইল্লা যাইবা মা। চলো বাড়িতে দিয়ে আসি?

আমি গলা ছেড়ে কাঁদতাম আর বলতাম, আমি পদ্মপাতায় ব্যাঙের লাফ দেখুম কইচি। কালা ডোরাসাপের সাঁতার দেখুম। বিলের শাপলা তুলুম। মালা গাঁথুম শাপলা ফুলে লকেট বানামোই। বাবা হাসি দিয়ে বলতেন- আইচ্ছা চলো যাই। সারাটা দিন বাবার সাথে এসব করতে কী যে মজা পেতাম। কালো ডোরাসাপ সাঁতরে এলে ভয়ে চিত্কার করতাম যদি নৌকায় আসে। বাবা বলতেন ডোরাসাপ তো কামড়ায় না। তাছাড়া জুইতা আছে টেডা আছে। তোমার দিকে এলেই শেষ করে দেবো না। বাবা ওইসব যন্ত্র দিয়ে বড় বড় মাছ ধরতেন। 

বর্ষায় নৌকা থাকে পানিতে। এখন বাড়ির পেছনের ওঠোনে আলকাতরা মেখে ঘুমুচ্ছে। আমি নৌকার পিঠে বসা। হঠাত মনে হলো বাবা তো আর কোনোদিন নৌকায় আমাকে নিবে না। এ কথা ভাবতেই আমার চোখের তারায় কালোছায়া আমি আর কিছু জানি না। দেখি রহিমা আপা আমার কাজিন আমার মাথায় পানি ঢেলে আমার সাথে কথা বলছে। আমি বলি বাবা কোথায়? ততণে বাবার মুখ বেঁধে ফেলেছে। চারকোণা থেকে চারজন কাঁধে তুলে গোরস্তানের দিকে রওয়ানা হলো। 

রাতে সবাই গোল হয়ে বসছে আর বলছে আমার বড় আপার ভাসুর শাশুড়ি ঢাকায়। মোশাররফের বাবা-মা চিত্কার করে মাকে জড়িয়ে ধরে বলেন চাচিজি আমার মোশাররফ মিরপুর গ্যাছে। মিরপুরে নাকি মানুষের মাথা কাটছে। আবিদ চাচা রেডিও হাতে আমাদের ঘরে ঢুকে বলেন- দুলুর মা, সামাদের মা ভাই নাই। ঢাকায় শুধু আগুন আর আগুন। এতো কান্না এতো আহাজারি যে গতকাল বাবার মৃত্যু হলো আমরা সবাই ভুলতে বাধ্য হলাম। প্রতিদিন, প্রতিণ মোশাররফের বাবা-মা আমার মায়ের কাছে। ওদিকে কী কারণে বড়ভাইকেও ঢাকায় ফিরতে হয়। মা পাগলপ্রায়। দুলাভাই তার মা-ভাইয়ের জন্য পাগলের মতো ছুটছে। 

একদল যুবক ছেলে এলো আমার মেঝো জেঠুর কাছে। সবাই মুক্তিযুদ্ধে যাবে। আমার জেঠু একজন মেম্বার অত্র এলাকার। দুই জেঠুর ছেলেরা সবাই যুদ্ধে যাবার মতোই। কিন্তু যুদ্ধের কথা শুনেই তারা ভয় পাচ্ছে। নদীতে নতুন পানি আসছে লঞ্চ সলিমাবাদ হঠাত প্রথম শুরু হলো আসা। আমরা সব খেলার সাথীরা এক দৌড়ে লঞ্চঘাটে। দেখি কেমন সব লোক কাঁধে রাইফেল, লঞ্চ ভর্তি। আমরা সবাই ভয়ে এমন দৌড়াচ্ছি যে, স্বপ্নের দৌড়ের মতো পেছনে সরে যাচ্ছি। আমাদের চিত্কারে লঞ্চ সোনার টেকে না ভিড়ে ভিড়লো দেপাশাই গোয়ালদি সংলগ্ন ঘাটে। আর ততণে ভয়ে গোটা চাপিল গ্রাম নিমেষে শূন্য হয়ে গেল। কে কোথায় লুকালো কেউ জানে না। বড়ভাই, ফাতেমা আপা, রহিমা, লুত্ফা, সামিরা, সালু আপাকে মসজিদে রেখে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলেন। 

সবাই বাড়ি ছাড়লেও আমার মা বাড়ি ছাড়লেন না। বারান্দায় বসে থাকলেন। আমি মাকে বলি মা আপুদের মসজিদের ভেতরে নিলো কেন ভাই? মা বলেন তুমিও যাও। 

তুমিও ওই পাড়ায় যাও। আমাদের বাড়ি তো নদীর পাড়ে যে কোনো সময় মিলিটারি আসতে পারে। আমি বলি তাহলে তুমি যাও না কেন? মা বলেন, আমার হাতে বন্দুক নাই, কিন্তু আমি এখন একজন যোদ্ধা। আমার যুদ্ধ তোমাদের সাত ভাই-বোনকে নিয়ে। আমাকে জিততেই হবে। মা’র কথার ভেতরেই চিত্কার মিলিটারি মিলিটারি গুলি গুলি থরথর করে কাঁপছেন আমাদের পাশের বাড়ির দূরসম্পর্কের খালু, কাঁপছে আমার ফুপাতো ভাই নিজাম বাউল। নিজাম ভাই মাকে হাত ধরে একটানে বাড়ির বাইরের দিকে নিতে চায়। 

মা’র সে কি জেদ। না, নিজাম তোমরা যাও। আমি আমার ঘর ছেড়ে এক পা নড়বো না। আর আমি মরে গেলেই কী আর বাঁচলেই কী? মিলিটারি আমাকে মেরে হাত কালা করবো না। কথা নয়। তোমরা পালাও। 

এক সপ্তাহ পর। অমাবস্যার রাত। ঘুটঘুটে অন্ধকার। সবাই এমনিতেই আতঙ্কে থাকে সব সময়। আমার বাবা নেই- এই চিন্তাটাও করার সময় যেন পাই না। গভীর রাতে এক ভয়াবহ চিত্কারে ঘুম ভাঙে। দেখি দরজা খোলা। ঘরে কেউ নেই। কুপির বাতি জ্বলছে। আমার এখনো মনে আছে ভয়ে আমি চিত্কার করবো সেই শক্তি আমার কণ্ঠে ছিল না। আমি অনাবশ্যকই ঘরের বার হই। দেখি আমার আবিদ চাচার ওঠোন ভর্তি লঞ্চে দেখা সেই লোকজন রাইফেল হাতে। আমি উল্টোদিকে দৌড় দিতেই আমার সেঝো ভাইয়ের সাথে ধাক্কা লাগে। সেঝো ভাই আমাকে কোলে তুলে একেবারে গুহার ভেতর। 

মিলিটারির গুলি থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাড়ির পেছনে ঘন ঝোপঝাড়ের ভেতর এক গোর তৈরি করেন মা কাজের ছেলেটাকে দিয়ে। সাতদিন লেগেছিল এটা নির্মাণ করতে। সেঝো ভাই আমাকে মা’র দিকে ঠেলে দিয়ে বলে মরছিল তো একটু হলেই। চাচার বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো জুলি। সেঝো ভাই ফিস ফিস করে বলে দুলাভাই বলেন কথা না। আমাদের মাথার ওপর দিয়ে ধপাস ধপাস পায়ের আওয়াজ একদল লোকের। প্রথমে মনে হলো কেউ পালাচ্ছে তার পিছু নিয়েছে একদল। আমাদের শ্বাসনালী রুদ্ধ তখন। যদি দেখে তো সবাই একসাথে শেষ। বেত বনের কাঁটা! করমচা, ধঞ্চের নড়াচড়া যেন ঝড় বয়ে যাচ্ছে। নিচেই ইরি ক্ষেতের ড্রেন। ছিপছিপে পানি জমে আছে। তার ভেতর পড়ে গেলেন আমাদের সারেং আবিদ চাচা। উনি কঁকিয়ে উঠলেন। মা চিত্কার করতেই দুলাভাই মুখ চেপে ধরলেন। দীর্ঘণ বোটের দাপাদাপি। একসময় শান্ত হলো সব। ততণে সূর্য ল²ী উঠান আলো করে বনের কোনো রাঙিয়ে জানান দিলো। আর কোনো ভয় নেই। আমি হাজির। 

এমনি করে আমরা বাবার কঠিন মৃত্যুশোক ভুলে গেলাম। নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য। তিনদিন পর সারেং আবিদ চাচাকে মৃতপ্রায় উদ্ধার করা হয়। চাচার বড় ছেলে যুদ্ধে গ্যাছে বলে মিলিটারির আগমন। আমার মা ভাবছেন তিনি যে রাতের আঁধারে মুক্তিযোদ্ধাদের রেঁধে খাওয়ান, এটা বোধহয় জেনেই আসছে। মিলিটারি রাতের অন্ধকারে। চাচার ছেলেও মুক্তিযুদ্ধে যায়নি। তবে কেন হঠাত মিলিটারির আগমন? এই প্রশ্নের আকুতি ভরা রহস্যের ঘূর্ণাবর্তেই ঘুরতে ঘুরতেই ঘটে গেল আরো কতো কি!

নিউইয়র্ক, ২০২২ইং

শেয়ার করুন