২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ১১:৪৫:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


নিউইয়র্কে সিরাত কনভেনশনে বক্তারা
নবীকে মহব্বত করেই আল্লাহকে সন্তষ্ট করা সম্ভব
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১০-২০২২
নবীকে মহব্বত করেই আল্লাহকে সন্তষ্ট করা সম্ভব সিরাত কনভেনশনে মঞ্চে অতিথিবৃন্দ


ইন্টারন্যাশনাল ইউনাইটেড সীরাত কনভেনশনে বক্তারা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর জীবন চরিত্রের আলোকে নিজেদের গড়ে তুলতে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তিনি শুধু মুসলমানদের জন্য নন, সমগ্র মানবজাতির আলোকবর্তিকা হিসেবে পৃথিবীতে এসেছিলেন। ছিলেন সমগ্র মানবের জন্য ন্যায়ের প্রতীক। তাঁর আলোকে আমাদেরকে আলোকিত করতে পারলেই ইহকাল ও পরকাল উভয় জগতেই সুখ নিশ্চিত করা যাবে। কনভেনশনের বক্তারা নবী করীম (সা:) এর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বিশেষ করে পিতা-মাতার সাথে সন্তান আর সন্তান্তের সাথে পিতা-মাতার সম্পর্কের পাশাপাশি খাঁটি মুসলিম হওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, পরিবার থেকেই প্রথম শিক্ষা নিতে হবে। আর মা-বাবই হচ্ছেন সন্তানদের প্রথম শিক্ষক। তাই সকল মা-বাবার দায়িত্ব ইহকাল-পরকালের কথা ভেবে সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা। বক্তারা নবী করিম (সা:)-কে নিজের চেয়ে বেশি ভালোবাসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দুনিয়ার লালসা দুনিয়াকে যেমন ধ্বংস করে, তেমনী আখেরাতকে ধ্বংস করে। একমাত্র নবীকে (সা:) অনুস্মরণ, অনুকরণ ও মহব্বত করেই আল্লাহকে সন্তষ্ট করা সম্ভব। 

গত ২ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যায় জ্যামাইকার একটি মিলনায়তনে ‘মহাম্মদ (সা:) বিশ্ব শান্তি ও সামাজিক ন্যায় বিচারের প্রতীক’ শীর্ষক এই কনভেনশনে আলোচনায় অংশ নেন প্রধান অতিথি ফার্মাসিস্ট আমীর খান ও কনভেনশনের চেয়ারম্যান ইমাম মির্জা আবু জাফর বেগ ও ফাদার জিমসহ আমন্ত্রিত অতিথি আব্দুল হাদী আফসারী, মোয়াজ্জেম হোসেন ফারুকী, ড. আবুল কালাম আজাদ, ড. জহিরুল আলম, সোস্যাল অ্যাক্টিভিষ্ট ড. মোহাম্মদ নাদির, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম শামসে আলী, আবু হুরায়রা মসজিদের ইমাম ও খতিব মওলানা ফায়েক উদ্দিন, ইকনা মসজিদের ইমাম মওলানা সাঈদুর রহমান, বেলাল মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি আনসারুল করীম, মওলানা লুৎফর রহমান কাশিমী, জেএমসি’র ইমাম ও শিক্ষক আকিমুজ্জামান চৌধুরী মাদানী, মুফতি মোহাম্মদ ইসমাইল, মওলানা নোমান কাসিমী, মওলানা আহমদ, হাফেজ আব্দুল্লাহ কাফি, ইসলামিক স্কলার ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আবু সাইদ মাহফুজ, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, জেবিবিএ’র সভাপতি গিয়াস আহমেদ, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর আনোয়ার হোসেন, এস্টোরিয়ার আল আমীন মসজিদের সভাপতি জয়নাল আবেদীন এবং এনওয়াইপিডি’র অফিসার এরিক রবিনসন।

কনভেনশনে নাত পরিবেশন করেন এটর্নী মঈন চৌধুরী, ডা. অতাউল গণি ওসমানী ও ইকবাল হোসেন। পরিচারায় ছিলেন মুফতি আব্দুল মালেক। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ইমাম হাফেজ রফিকুল ইসলাম ও মওলানা মঞ্জুরুল করীম। উল্লেখ্য, এবারের কনভেনশন ছিলো ১৫তম কনভেনশন। আয়োজক ছিলো আমেরিকান মুসলিম সেন্টার। বিকেল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কনভেনশনের কর্মকান্ড চলে।

এশার নামাজ শেষে বিশেষ মুনাজাতের মধ্যদিয়ে কনভেনশনের সমাপ্তি ঘটে। এতে কয়েক শত মুসলিম নরনারী সপরিবারে অংশ নেন।

শেয়ার করুন