৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০৮:২৯:৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


সরকারের ফাঁদে পড়তে চায় না বিএনপি
মাসউদুর রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৬-২০২২
সরকারের ফাঁদে পড়তে চায় না বিএনপি


প্রায় ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার বহু পরিকল্পনা হয়েছে।বিএনপির জনপ্রিয়তা যে মোটেও কমেনি সেটা থ্রি টার্ম ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কথাবার্তাই বড় উদাহরণ। ক’দিন আগেও যারা বিএনপিকে হিসেবের মধ্যেও ধরেনি,তারা এখন বিএনপির নামে কুৎসা,ভুলত্রুটি তুলে ধরা, নেতৃত্ব সংকট নিয়ে গলাবাজি, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে অযথা শঙ্কা প্রকাশ, বিএনপির রাজনীতির গতিপথ ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কায় তারা। যে আত্মসমালোচনা প্রয়োজন বিএনপি নেতাদেও, সেটা করে দিচ্ছে বিএনপির ঘোরবিরোধীরা, বিষয়টি বিস্ময়ের। 

গত ১৩ জুন রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মাঠে মোহাম্মদপুর থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মির্জা ফখরুলের কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জন্ম রাজপথে, রাজপথেই থাকবে,রাজপথ কখনো ছাড়বে না।’ সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না,তাহলে সেই আগুনে পুড়ে আপনাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। আওয়ামী লীগের অবস্থান জনগণের বিরুদ্ধে নয়,আওয়ামী লীগের অবস্থান সাম্প্রদায়িকতা ও বিএনপির মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে।’ 

১২ মে প্রেসক্লাবের সম্মুখে বিশাল সমাবেশে প্রকাশ্যে বলেন মির্জা আব্বাস, যে আসনভাগের নির্বাচন করতে দেয়া হবেনা,যারা যাবে তাদের ও সরকারকে প্রতিহত করা হবে/ফাইল ছবি

একটা দল ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে। যাদের শীর্ষ দুই নেতার একজন জেলে অন্যজন দেশান্তর। সে দলকে নিয়ে থ্রি টার্ম ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের এতো দুশ্চিন্তার কী কারণ হতে পারে। এইতো ক’দিন আগেও আওয়ামী লীগ বিএনপিকে কোনো পর্যায়ের দল হিসেবেই ধরতে নারাজ ছিল, কথায় কথায় তুচ্ছতাচ্ছিল্য। প্রধানমন্ত্রী নিজেই আক্ষেপ করে বলেছিলেন, তিনি একটা শক্তিশালী বিরোধীদল চান। তার অর্থ জাতীয়পার্টি, জামায়াত জাতীয় দলকে তিনি হিসেবেই রাখছেন না। বিএনপি তো তার আগেই না। তাহলে বিএনপিকে নিয়ে সারাক্ষণ এতোকিছু বলার কী উদ্দেশ্য? 

এগুলোর অর্থ দাঁড়ায় বিএনপি তার আগের অবস্থানেই এবং তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির এখনো প্রয়োজনীয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বিদ্যমান। শুধুই কী আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে বহির্বিশ্বে যারা চিন্তিত যেমনটা যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য দেশ- তাদের সবার মুখেই এ মুহূর্তে বিএনপির নাম। সেটা বলছে তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। বারবার তারা বলছেন, অংশীদারিত্বের নির্বাচন। বুঝিয়ে দিচ্ছেন তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। বাইডেন তো গণতান্ত্রিক সম্মেলনে বাংলাদেশকে রাখেইনি। 

ফলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সব দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রয়োজন। সব দলের অংশগ্রহণ মানেই বিএনপি। কেননা বিএনপি গত দুই টার্ম জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ২০১৪ সনের ৫জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপি বয়কট করার পর ১০১৮ সনেও সেই একই অবস্থা। তবে ২০১৪ সনের অন্তত মাস ছয়েক আগ থেকে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে একটা সমঝোতার চেষ্টা ছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। কিন্তু সেটাতে সফল হওয়া যায়নি। সে সমঝোতাহীন অবস্থা এখনো বিদ্যমান। তবে এখনকার প্রেক্ষাপট ২০২২ বা ২০২৩ সনের শুরুতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। ওই নির্বাচনেও সমঝোতার কথা উঠলেও এবারো তার কোনো লক্ষণ নেই। 

তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। প্রচণ্ড চাপ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ওপর। যে কোনো মূল্যে বিএনপিকে সাথে নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ভীষণ তাগিদ। বিএনপিও নির্বাচন করবে, কিন্তু দিয়ে রেখেছে শর্ত। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে সে নির্বাচন। আওয়ামী লীগ চায় বরাবরের মতোই তাদের অধীনে নির্বাচন, যা সংবিধানসম্মতও। কিন্তু ওটা মানে না বিএনপি। এ নিয়েই দুই দলের এ মতবিরোধ এখন জটিল আকার ধারণ করেছে।

দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকারের ক্ষমতার মেয়াদ। ক্রমশ ঘনিয়ে আসছে পরবর্তী নির্বাচনের দিনক্ষণ। এতে ক্ষমতাসীনদের মধ্যেই উৎকণ্ঠা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কারণ বিএনপিকে না নিয়ে নির্বাচন করলে সেটা আর মানবে না আন্তর্জাতিক বিশ্ব। ইতিমধ্যে যারা বহু হুমকি-ধামকি দিয়ে রেখেছেন। যা দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা র‌্যাব ও তার কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কুরে কুরে খাচ্ছে ক্ষমতাসীনদের। সব মিলিয়ে চাপটা দিন দিন বাড়ছে।  

সরকারও বিভিন্নভাবে বিএনপিকে বাগে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এর সবই পর্দার আড়ালে। এর মধ্যে আসনভাগের প্রস্তাবনা সর্বশেষ। সেটাও বিএনপি প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপির সেই এক দাবি, যা ২০১৪ সনে দিয়েছিলো। ২০২২-এ এসেও সেই একই দাবি। সম্প্রতি প্রেসক্লাবের সম্মুখে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অধীন কোনো নির্বাচন হবে না। আসন ভাগাভাগির নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না।’ সম্ভবত নিজদল বিএনপির মতিভ্রম হওয়া একটি গ্রুপকে উদ্দেশ্য করে তিনি হুঁশিয়ার দিয়ে বলেন,‘আসন ভাগের নির্বাচনে যারা যাবে, সরকার ও তাদের বিরুদ্ধে একযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’  বিএনপির একটি অংশ সরকার তরফ থেকে দেয়া টোপ গিলে নির্বাচনে যাওয়া ও প্রয়োজনে বিএনপির একাংশ নাম দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার পাঁয়তারা হচ্ছিল। এ নিয়ে রিপোর্টও হয়। ঠিক তখনই বেগম খালেদা জিয়া এদের ডেকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলে পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় সবমুখী সে তৎপরতা। 

এখন প্রশ্ন উঠছে, বিএনপি তো ঈদুল ফিতরের পূর্বে বলেছিল, ঈদের পর কঠোর আন্দোলনে যাবে। সেটার খবর কী। এবারো ঈদের পরের আন্দোলন আর জমাতে পারেনি বিএনপি। এ জাতীয় বহু কথা এখনো রাজনীতির মাঠে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেনও যে, বিএনপি কোন ঈদের পরের কথা বলে? এমন ঈদ তো অনেক গেল। তবে বিএনপির শীর্ষনেতারা এগুলো এখন আর কেয়ার করছে না। দলের যে নীতি, যে প্ল্যান সেদিকেই তারা ধীরেধীরে ধাবিত হচ্ছে। ছোটখাটো সভা-সমাবেশ, প্রেসকনফারেন্স, সুযোগ হলে ঢাকার বাইরে ছোটখাটো ইনডোর বা আউটডোরে সভা,আলোচনা, প্রেসব্রিফিং।

এর আগে প্রথমত. তারা দীর্ঘদিন বসে ঘর গুছিয়েছে। এখনো সে প্রক্রিয়া অব্যাহত, তবে শেষের দিকে। এর সঙ্গে তাদের এখন কার্যক্রম গণসংযোগ। সেটা সাধারণ মানুষের সঙ্গে নয়, এখন সে গণসংযোগ, রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে। আকারে ছোট হোক আর বড়। দেশে নিবন্ধিত সব দলকে পাশে চায় বিএনপি। কারণ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে বর্তমান সরকার অনেকদিক থেকেই শক্তিশালী। তাদের বিভিন্নস্তরে ভিত মজবুত। ফলে সে স্থান থেকে তাদের সরানো কঠিন কাজ। শত জনপ্রিয়তা যদি নাও থাকে তবুও। ফলে এ কাজটা সর্বস্তরের মানুষ,দল,বিভিন্ন পেশাজীবীদের নিয়েই করতে চায় বিএনপি। এ জন্য তিল তিল করে এগোচ্ছে। 

বিএনপি এ পর্যায়ে ধর-মার করে কিছু করবে না। এ মুহূর্তে বড়সড় আন্দোলনও না। ক্রিকেটে টেস্ট ম্যাচের মতো। ওয়ানডে ম্যাচ ৫০ ওভারের। দুই দলের জন্য নির্ধারিত ১০০ ওভার। এরমধ্যেই খেলা শেষ, একদিনের নির্ধারিত সময়ে। কিন্তু ক্রিকেটে টেস্ট ম্যাচ ৫ দিনের, ১৫ সেশনের। ওই ১৫ সেশনে কখনো এক দলের আধিপত্য, কখনো অন্য দলের। সুবিধা বুঝে এক দল অন্যদলের জন্য ফাঁদও পাতে। ফলে প্রতিটা সেশনের গুরুত্ব হিসাব-নিকাশ আলাদা। পাঁচদিন, প্রতিদিনের জন্য ৯০ ওভার। ফলে ওই সময়ে একে অপরকে ঘায়েল করতে হলে প্রথম একটি দল নিজের ডিফেন্স শক্ত করে এরপর অ্যাটাকে যায়। 

ঠিক বিএনপির অবস্থাও এখন এমনই। হুটহাট অনেক কিছু করেছে। অনেক আন্দেলন,অনেক ধর্মঘট, হরতাল, লাগাতার হরতাল, অবরোধ। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ২০০৬ থেকে এ পর্যন্ত অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তারা আজ এ পর্যায়ে। বিএনপি এখন আর হঠাৎ কোনো কিছুতে ঝাঁপিয়ে পড়তে নারাজ। বুঝে শুনে যখন প্লেয়িং ফিল্ডটা যুদ্ধের উপযোগী হবে তখনই মাঠের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে। তার আগে নিজেদের শক্তিটা তিলে তিলে গুছিয়ে নিচ্ছেন তারা। কীভাবে কী করলে সাফল্যটা অনুকূলে আসবে সে চিন্তাটাও সঠিকভাবেই সারছেন। খালেদা জিয়া অসুস্থ। সেভাবে কথা বা পরামর্শ দিতে পারেন না। তবু ফাইনাল সিদ্ধান্তটা তার থেকেই আসছে। কারণ তিনি রাজনীতির আদি-অন্ত তার চেয়ে ভালো কে জানবেন? দেশ ও বিদেশের কার কখন কী চাওয়া। কীভাবে ফিল্ড সাজাতে হবে। অ্যাটাকে যেতে হবে। সব তার জানা। তারেক রহমান,মির্জা ফখরুলরা এগিয়ে নিচ্ছেন দেশ-বিদেশ থেকে। ওটা তাদের প্ল্যান অনুসারেই।

বিএনপির ওই ধীরে চলা বা টেস্ট ম্যাচের মেজাজটা অনেকের সহ্য হয়না। গা-জ্বালা ধরে গেছে। এ জন্যই বিএনপিকে উজ্জীবিত করার নানা কৌশল আঁটছে অনেকেই। এর কারণও আছে। আগামী নির্বাচনের খুব বেশি সময় হাতে নেই। বিএনপি কী করবে তার ওপর নির্ভর করবে তাদের প্ল্যান। এখন বিএনপির প্ল্যানটাই বুঝতে পারছেনা তারা। প্ল্যানটা কীভাবে কষবেন। সে অস্থিরতার জন্য তাদের সাফল্যে যে প্ল্যান ‘এ’প্ল্যান, ‘বি’,প্ল্যান ‘সি’,প্ল্যান ‘ডি’। এগুলো প্রয়োগের চেষ্টা করছেন। কিন্তু ফল হচ্ছেনা। নতুবা অসুস্থ খালেদা জিয়ার হার্টে রিং পরানো হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে আরো ব্লক। 

এর সঙ্গে আরো অনেক রোগ তার দেহে বাসা বেঁেধছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এগুলোর সম্মিলিত চিকিৎসা করতে এক মেডিকেল বোর্ডে বসে সব রোগের স্পেশালিস্টদের সিদ্ধান্ত নিয়ে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। যে ব্যবস্থা বাংলাদেশে নেই। এ জন্যই উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া প্রয়োজন তার। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা সেটা উপেক্ষা করছে। শোনা যাচ্ছে, বিভিন্ন শর্তের বেড়াজালে আটকা খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা। খালেদা জিয়াও প্রচণ্ড চাপা স্বভাব ও আপসহীন। সেও শর্তের বেড়াজালে নিজেকেও  তার দলকে আটকে দিয়ে নিজের চিকিৎসায় ‘না’ বলেছেন। সব মিলিয়ে একটা অস্থিরতা। আবার খালেদা জিয়াকে পদ্মাসেতুর উদ্বোধনীতে দাওয়াত দেয়ার কথা বলছেন সরকারের দায়িত্বশীলরা, এখানেও একটা পলিটিক্স। 

এমনি মুহূর্তে বিএনপি ওই যে টেস্ট ম্যাচের মেজাজে। প্রতিপক্ষকে অস্থিরতায় ফেলে দেয়াও যে ম্যাচের একটি বড় কৌশল। সেটাই করছেন। যাতে এমন সময় আন্দোলনটা শুরু করবেন, যে সময় বিএনপি তার দাবি করা নির্বাচনী শর্তটা মানতে বাধ্য হবে সবাই। ফলে দলীয় বিভিন্ন সূত্রে যেটা জানা গেছে, তাহলো ওই লক্ষ্যটাই মাথায় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় টেস্ট মেজাজে এগোচ্ছেন এখন তারা। কারো উসকানি বা কোনো ধরনের ট্র্যাপে আর পা দিতে চান না। দেখেশুনে বিচক্ষণতার সঙ্গেই এগোচ্ছেন তারা।


শেয়ার করুন