০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ১০:৪৯:৪২ পূর্বাহ্ন


সুপার টুয়েলভে অঘটন
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আইরিশদের বাধভাঙ্গা উচ্ছাস
সালেক সুফী, অস্ট্রেলিয়া থেকে
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-১০-২০২২
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আইরিশদের বাধভাঙ্গা উচ্ছাস এভাবেই মেতে ওঠে ইংল্যান্ডকে হারানোর আনন্দে/ছবি সংগৃহীত


আয়ারল্যান্ড: ১৫৭/১০ ((১৯.২ ওভার), ব্যালবার্নি ৬২,টাকার ৩৪,উড ৩/২৪)।


ইংল্যান্ড: ১০৫/৫ (১৪.৩ ওভার), মালান ৩৫,মঈন আলী ২৪, ব্রুক ১৮,জোস ২/১৬)। 

ফল: আয়ারল্যান্ড ৫ রানে জয়ী (ডিএল ম্যাথড)। 


এবার সুপার টুয়েলভে অঘটন। বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম এমসিজিতে প্রথম আবির্ভাবেই আইসিসি সর্বকনিষ্ট দেশ আয়ারল্যান্ড ভালো অনেকটা ভাল ক্রিকেট খেলেই হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। ম্যাচে প্রকৃতির কিছু সহায়তা ছিল বৃষ্টি বিঘ্নিত খেলায় । ফলে খেলার রেজাল্ট নিশ্চিত করা হয় ডিএল ম্যাথডে।  তবে এ ম্যাচে আইরিশরা সমান তালে লড়েই জিতল ম্যাচ। 

আগে ব্যাটিং করে ভয় ডরহীন খেলে ১৫৭ রানে অল আউট হয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ব্যালবার্নি করেন দুর্দান্ত ৬২ রান। ওই রান তাড়া করতে নেমে আইরিশ দলের কুশলী বোলিং মোকাবিলায় ১৪.৩ ওভারে ১০৫/৫ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ম্যাচ জয় করতে প্রয়োজন ছিল ৩৩ বলে ৫৩ রান। এই সময় মুসলধারায় বৃষ্টি এসে খেলা থমকে দিলে ডাকওয়ার্থ লুইস হিসাবে ৫ রানে জয় পায় আয়ারল্যান্ড। যারা শুরু থেকে শেষ খেলা দেখেছেন, সবাই বলবে প্রকৃতির সুবিচারেই জয় পেয়েছে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু আসলে জয় তো জয়ই। 

টস হেরে ব্যাটিং শুরুর মুহূর্ত থেকেই জয়ের পরিকল্পনায় পসিটিভ ক্রিকেট খেলে আয়ারল্যান্ড। শুরুতে স্টার্লিং আউট হয়ে গেলেও বালবার্নি আর টাকার নিয়ন্ত্রণ হীন ইংলিশ বোলিং প্রতি আক্রমণ করে রানের গতি অক্ষুন্ন রাখে। কেন যে উড ,ওকস , কুরআন ম্যাচ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে বোলিং করে নি বুঝা যায় নি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৮২ রান করে আইরিশ ইনিংস সুদৃঢ় ভিত্তি প্রদান করে।


তবে টাকার রান আউট হবার পর ম্যাচে ফিরে আসে। উড ( ৩/৩৪) এবং লিভিংস্টোন (৩/১৭) সক্রিয় হয়ে ১৫৭ রানে গুটিয়ে দেয় আয়ারল্যান্ড ইনিংস। শেষ বিচারে এন্ডি বালবার্নির (৬২) রান ম্যাচ জয়ী হিসাবে বিবেচিত হয়। শুরুর মোমেন্টাম অনুযায়ী আয়ারল্যান্ড ১৭৫-১৮০ করলেও অবাক হতাম না। 

ইংল্যান্ড ব্যাটিং শুরু করলে আইরিশ বোলাররা সেই ভুল করেনি যা ইংলিশরা শুরুতে  করেছিল। জোস বাটলার , আলেক্স হলেন, বেন স্টোকস তেমন কিছু করতে পারেনি। ডেভিড ম্লান ৩৫ রান করলেও ছিল আস্থা হীন। ১৩.১ ওভারে ৮৬/ ৫, অবস্থায় ইংল্যান্ড ছিল কোনঠাসা। মঈন আলী এসে প্রতিআক্রমণ করে ১৪.৩ ওভারে ১০৫/৫ উইকেট হয়ে যাওয়ার ইংলিশদের কলিজা ভেদ করে যেন ভেঙে বৃষ্টি আসে।


যাতে জয়ের স্বপ্ন দুমড়ে মুচড়ে যায় তাদের। এবং ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জয় পায় আয়ারল্যান্ড। এতে করে বিশ্বকাপের মত প্রেস্টিজিয়াস আসলে আয়ারল্যান্ড রূপকথায় আরো একটা সোনার অক্ষরে লেখা যোগ হলো। আসলে দুই দলের মধ্যে ব্যাবধানটা করে দিয়েছে পাওয়ারপ্লে। যেখানে এগিয়ে ছিলেন আইরিশরা। 


শেয়ার করুন