২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৮:২৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :


বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট
ইনশাল্লাহ, আগামী মাস থেকে হয়তো এত কষ্ট আর থাকবে না - প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-১১-২০২২
ইনশাল্লাহ, আগামী মাস থেকে হয়তো এত কষ্ট আর থাকবে না - প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ফাইল ছবি


বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের জন্য জনগণের ভোগান্তি সেটা থেকে উত্তরনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ। হয়তো আগামী মাস থেকে এত কষ্ট আর থাকবে না। শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। এখন রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে গ্যাস আনতে অসুবিধা হচ্ছে। শুধু আমাদের দেশ নয়, ইংল্যান্ড আমেরিকা ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের দিকে বিশেষভাবে নজর দিয়েছে। তারা হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে আমাদের কিছুদিনের জন্য কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। ইনশাল্লাহ হয়তো আগামী মাস থেকে এত কষ্ট আর থাকবে না।

তারপরও তেল পানি ও জ্বালানি ব্যবহারের সকলকে সাশ্রয়ী হতে হবে। কারণ সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব। তার থেকে আমরা মুক্ত নই। কারো এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে। যে যা পারেন উৎপাদন করেন । নিজের জমিতে ফসল ফলান। কেননা সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমাদের নিজেদের খাদ্য সংস্থান নিজেরা করতে পারলে, বিশ্বব্যাপী চলমান দুর্ভোগ বাংলাদেশের লাগবেনা। 

 তিনি বলেন, আমরা খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে যা প্রয়োজন, তার থেকে বেশি উৎপাদন করছি। তারপরও আমরা আপদকালীন মজুদ রাখি। যাতে আমাদের দেশে মানুষ কষ্ট না পায়। 

 মানুষকে বিনামূল্যে এবং খাদ্য সরবরাহ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বেশি দাম দিয়ে সব জিনিস কিনে নিয়ে এসে কম দামে দিচ্ছি। যাতে মানুষের খাদ্য কষ্ট না পায়। টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে চাল, ডাল, চিনি, দিচ্ছি। মোট এক কোটি মানুষকে এটা পাচ্ছে। এছাড়া প্রায় ৫০ লাখ মানুষকে আমরা ১৫ টাকায় দিচ্ছি। আর ৫০ লাখ পরিবারের কাছে বিনা পয়সায় দিচ্ছি। যারা বয়োবৃদ্ধ তাদেরকে দিচ্ছি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা গৃহহীন ভূমিহীন তাদের ঘর করে দিচ্ছি। যাদের ঠিকানা ছিল না, এ ধরনের যত মানুষ তাদের বাঁচতে আমরা খুঁজে খুঁজে বের করে ঘর করে দিচ্ছি। কিছুদিন আগে বন্যা হয়ে গেল নদী ভাঙ্গনে যারা গৃহহারা, আমরা তাদের ঘর করে দেব। 

তিনি প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য এত কাজ কে কবে করেছে? এতবার তো ক্ষমতায় ছিল সবাই। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ছিল। মানুষের কল্যানে তারা তো কখনো করেনি। করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগই করে। 

তিনি বলেন কিছুদিন ধরে রিজার্ভ নিয়ে যে কথা শোনা যাচ্ছে-  করোনাকালে আমাদের আমদানি হয়নি। কেউ বিদেশ যেতে পারেনি। কোনো রকম খরচ হুন্ডি ব্যাবসা ছিলনা। একেবারে সরকারিভাবে সব অর্থ এসেছে, যার ফলে আমাদের ভালো ফান্ড আসে। ’৯১ থেকে ’৯৬ পর্যন্ত বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন রিজার্ভ রেখে গিয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার। যেটা ৩ মাসের খাবার আমদানি করারও পয়সা হতো না।

প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের কল্যাণেই তাঁর সরকার রিজার্ভের অর্থ খরচ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অতীতের ঋণের সুদও গুণতে হয় বড় অংকের। তাঁর সরকার কখনো ঋণ খেলাপি হয়নি বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনও যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে ৫ মাসের আমাদানী ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব। এটি ৩ মাসের থাকলেই যথেষ্ট বলেই তিনি উল্লেখ করেন।’ শেখ হাসিনা বলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে প্রকৃত গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকার এদেশের মানুষের ছিলনা আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করি। তিনি বলেন নির্বাচনে যতটুকু স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে সেটা কিন্তু আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের ফসল। 

 বিএনপি আমলের নির্বাচন কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জামায়াতকে নিয়ে সরকার গঠন করার পর থেকে দেশে হত্যা-খুন জঙ্গিবাদ দুর্নীতি মানিলন্ডারিং এমন কোন অপকর্ম নেই যা তারা করেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময়কার নির্বাচন বিষয়ে কথা বলেন- তিনি বলেন, কথাই ছিল- দশটা হুন্ডা, বিশটা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা। অবশ্য তাদের মুখে এখন গণতন্ত্রের কথা শোনা যায়। তারা নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে। তথ্যসূত্র : বাসস। 


শেয়ার করুন