বাংলাদেশ : ১৪৪/৮ (আফিফ ৩৮, শান্ত ২৫, মোসাদ্দেক ২০*, সৌম্য ১৪, সোহান ১৩, লিটন ৯,সাকিব ৭, মিকেরেন ২/২১)।
নেদারল্যান্ডস: ১৩৫/১০ (২০ ওভার), কলিন অ্যাকারমেন ৬২, স্কট এডওয়ার্ড ১৬, তাসকিন ৪/২৫)।
ফল: বাংলাদেশ ৯ রানে জয়ী।
জয় পেতে ভুলে যাওয়া বাংলাদেশ দীর্ঘ প্রতিক্ষা আর অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে। হোক না সেটি গ্রুপের দুর্বলতম দল সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। তবু ৯ রানে জয় পাওয়া মন্দ কিসে!
এ ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথম ব্যাটিং করে মাত্র ১৪৪ /৮ করেছিল। বড় দলের অনভিজ্ঞ নেদারল্যান্ড কিছু তাড়াহুড়ো করে শুরুতেই কিছু উইকেট বিসর্জন না দিলে হয়তো জিতে যেতেও পারতো। ১৩৫ রান করে ৯ রানে হেরে যায় ওরা। যাহোক জয় সেতো জয়ই। অনেককেই বলতে শুনেছি একটি জয় বদলে দিবে বাংলাদেশকে। দেখা যাক এই জয় আরো জয়ের জন্ম দিতে পারে কিনা।
অনেকের ধারণা ভুল প্রমান করে আজ কিন্তু বৃষ্টি খুব একটা বাগড়া দেয়নি। তবে কনকনে শীত আর তীব্র বাতাস ছিল। শুরুতে দুই বাম হাতি ওপেনার শান্ত সৌম্য বলেও সূচনা করেও বড় ইনিংস গড়তে পারে নি। মিডল অর্ডারে লিটন ,সাকিব, ইয়াসির নুরুল বার্থ হয়েছে। একমাত্র আফিফ (৩৮) আর মোসাদ্দেক (২০*) ছাড়া কারো বোলিংয়ে আস্থার ছাপ ছিল না। নেদারল্যান্ডের দুর্বল বোলিং খেলতে বার্থ বাংলাদেশ ব্যাটিং কিভাবে ভারত ,পকিস্তান , দক্ষিণ আফ্রিকার তুখোড় বোলিং সামাল দিবে?
তবে বোলিং অনেক ভালো হয়েছে। উন্নতির ধারায় থাকা তাসকিন ( ৪/২৫) লাইন, লেংথ ছন্দ খুঁজে পেয়েছে। সব মিলিয়ে তাসকিন দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। নবীন হাসান মাহমুদের ( ২/১৫) বোলিংয়ে প্রতিশ্রুতি ছিল। অনেক দিন পরে মুস্তাফিজকে কাটার করতে দেখলাম। তবে শুরুতে ডাচ ব্যাটসম্যানরা তাড়াহুড়ো দুটি রান আউট নাহলে ম্যাচের গতি বদলে যেতে পারতো।
তার পরেও লড়াই করে কলিন আকারমান (৬২) আর মিকারেন (২৪*) দলকে কোলাকুলি করার দুরুত্বে নিয়ে গিয়েছিলো। বাংলাদেশ বহু আরাদ্ধ জয় পেলো মাত্র ৯ রানে।
যে কথা শুরুতে বলেছি বাংলাদেশ জয় পেতে প্রায় ভুলতে চলেছিল। একটি জয় যদি বাংলাদেশকে বদলে দেয় সেটি অগণিত বাংলাদেশী ক্রিকেট পূজারীদের আনন্দ জোয়ারে ভাসাবে।