২৮ মার্চ ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৪:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন


গোল্ডেন বুট এমবাপ্পের , কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল নিস্পতি টাইব্রেকারে
মেসির হাতে উঠলো বিশ্বকাপ ট্রফি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-১২-২০২২
মেসির হাতে উঠলো বিশ্বকাপ ট্রফি আর্জেন্টিনার মেসির হাতে বিশ্বকাপের শিরোপা/ছবি সংগৃহীত


দীর্ঘ প্রত্যাশার অবসান। আর্জেন্টিনাই হলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন,ফুটবল বিশ্বকাপে। অনেক জল্পনা কল্পনা ছিল। মেসিকে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের তকমাও দিতে চান কেউ কেউ।


কিন্তু সেই মেসি কী বিশ্বকাপ স্পর্শ না করেই খেলোয়াড়ী জীবনটা শেষ করে দেবে? অনেকেই ধারনা করছেন, এটাই সম্ভবত শেষ বিশ্বকাপ মেসির। তাইতো মেসির জন্য হলেও আর্জেন্টিনার চাই শিরোপা। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো।


তবে শিরোপাটা একেবারে সহজেই আসেনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দুর্দান্ত এক ফাইনাল। বলতে হয় হাইভোল্টেজের ফাইনাল। কেউ কাউকেই ছেড়ে বলেনি। নির্ধারিত সময় ২-২ ড্র হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ে ৩-৩। এর মধ্যে কতবার যে সুযোগ এসেছিল এগিয়ে যাবার। কখনো মনে হচ্ছিল ফ্রান্স জিতেই যাবে। কখনও আর্জেন্টিনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এমন উত্তেজনাপূর্ণ খেলার পরিসমাপ্তি ঘটে ভাগ্য নির্ধারনি টাইব্রেকারে। যাতে ৪-২ গোলে জিতে যায় আর্জেন্টিনা। 

ম্যাচে অসাধারন কিছু ঘটনা ঘটেছে। যার একটি করেছেন ফ্রান্সের বিস্ময় ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে। হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ফাইনালে হ্যাটট্রিকের ঘটনা দুর্লভ। চলমান শতাব্দিতে তো নেই। এমবাপ্পে সেটা করে দেখালেন। এ বিশ্বকাপে গোল্টেন বুটটাও তার। কারন সর্বোচ্চ ৮ গোল করেছেন এ ফরাসী তারকা। মেসির গোল সাতটি। 


হ্যাটট্রিক করা কিলিয়ান  এমবাপ্পে/ছবি সংগৃহীত 

খেলার প্রথমার্ধটা ছিল আর্জেন্টিনার। অনেকটাই নিস্প্রাণ ছিল ফ্রান্স। সে সুযোগে আর্জেন্টিনা ২৩ মিনিটে এগিয়ে যায়। ডিবক্সে ডিমারিয়াকে ফাউল করলে পেনাল্টি। তা থেকে মেসি গাল করে দলকে এগিয়ে নেন। এরপর ৩৬ মিনিটে গোল করে বসেন ডি মারিয়া ২-০।

 প্রধমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত কামব্যাক ফ্রান্সের। অনেকগুলো গোলের সুযোগ তৈরী করে আর্জেন্টিনাকে এলোমেলো করে ফেলে। এ থেকে গোল পায় তারা খেলার ৮০ মিনিটে। পেনাল্টি থেকে সে গোলটি করে এমবাপ্পে। ঠিক পরের মিনিটেই সুসংগঠিত অ্যাটাক থেকে বক্সের ভেতরে বসে সাইটভলিতে বল আবারও জালে জড়ান এমবাপ্পে ২-২। খেলা হয়ে যায় ড্র। 

প্রথমার্ধ ও দ্বিতীয়ার্ধ ড্র থাকায় খেলা গড়ায় এক্সট্রা সময়ে। ওই ৩০ মিনিটে প্রথম গোল করে মেসি। চমৎকার প্লানিং অ্যাটাক থেকে গোলরক্ষকের হাত হয়ে ফেরা বল শটে জালে জড়ান মেসি ৩-২। কিন্তু একেবারে শেষের দিকে আবারও পেনাল্টি পেয়ে যায় ফ্রান্স। বল ক্লিয়ার করতে গেলে হাতে লাগে রক্ষনভাগের খেলোয়াড়। সেখান থেকে এমবাপ্পে গোল করে আবারও খেলায় সমতা আনে ৩-৩। নির্ধারিত সময়ের শেষের দিকে দুই পক্ষই গোলের দারুন সুযোগ পেলেও গোল হয়নি। অথচ গোল হওয়ার মত ছিল সে সৃুযোগ। 

এরপর টাইব্রেকারে ফ্রান্সের দুই খেলোয়াড় গোল করতে পারেনি। পক্ষান্তরে একটি মিস করলেও বাকীগুলোতে গোল করে বিজয়ের উল্লাসে মেতে ওঠেন তারা চ্যাম্পিয়ন। বহু আকাংখিত লিওনেল মেসির হাতে ওঠে বিশ্বকাপ ২০২২ এর কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা। ফ্রান্স হয় রানার্সআপ। 

উল্লেখ্য, এটা আর্জেন্টিনার তৃতীয় শিরোপা। 


শেয়ার করুন