২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০১:৫৩:১১ অপরাহ্ন


মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০১-২০২৩
মির্জা ফখরুল  ও  মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জমিন দিয়েছে হাইকোর্ট। 

পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের অন্তর্বতীকালীন জামিন আবেদন শুনানি মঙ্গলবার দুপুর ২টার পর অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শুনানী শেষে  তাদের ওই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। 

বিচারিক (নিম্ন) আদালতে চার দফায় জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর উচ্চ আদালত হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন বিএনপির শীর্ষ এই দুই নেতা।

এর অগে গত ২১ ডিসেম্বর বিচারিক আদালতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ। কিন্তু ওই আদেশের সার্টিফাইট কপি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আইনজীবীর হাতে না পাওয়ায় এতোদিন উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করতে পারেননি বিএনপির এ দুই শীর্ষ নেতা।

১ জানুয়ারি ওই আদেশের সার্টিফাইট কপি হাতে পাওয়ার পর আজ উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করলেন ফখরুল-আব্বাসের আইনজীবী।

এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর দিনগত রাতে নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে।

এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার বিএনপি নেতাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন অনেকে। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল, পানি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায় বলে দাবি করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়। পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। তবে এ মামলার এজাহারে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না। পরবর্তিতে এ দুই নেতাকে পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে মামলায় আটক দেখানো হয়।  


শেয়ার করুন