০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ০২:২৭:৩৯ পূর্বাহ্ন


বড় মর্মান্তিক
আটলান্টায় মাকে গুলি করে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা
দেশ রিপোর্ট:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০১-২০২৩
আটলান্টায় মাকে গুলি করে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা ছেলে ও মায়ের নামাজে জানাজা



 বড় মর্মান্তিক। এই ধরনের ঘটনা সত্যিই কম্যুনিটিতে হতবাক করে দেয়। কেউ শুনলে হয়ত বিশ্বাস করতে পারবেন না- ছেলে মাকে গুলি হত্যা করতে পারে। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা। তাও আমেরিকার জর্জিয়া স্টেটে। প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় মায়ের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে মাকে গুলি করে হত্যা করার পর নিজেও মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেছে জর্জিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি তৌফিক ইসলাম (২৯ ) নামের এক যুবক। তার বাবার নাম মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। বাংলাদেশের তাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়। গত ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জর্জিয়া অঙ্গ রাজ্যের মেরিয়াট্টা শহরে  এ ঘটনা ঘটে। 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তৌফিক ইসলামের সাথে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবতির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঐ যুবতিকে নিয়ে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখে তৌহিদুল ইসলাম। এই কথাটি তৌফিক তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের এ বিয়েতে সম্মতি না থাকায় মা-বাবার সাথে তৌফিকের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। এ নিয়ে পরিবারে প্রায়ই কলহের সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন মায়ের সাথে আবারও এ নিয়ে তৌহিদের ঝগড়া বাধে। এ সময়ে বাড়িতে অন্য কেউ ছিল না।  সন্ধ্যার দিকে  তৌফিকের ছোটভাই বাড়িতে এসে দরজা খুলেই ঘরের দুই রুমে মা ও ভাইয়ের রক্তাক্ত নিথর দেহ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পুলিশে খবর দেয়।  অকুস্থলে পুলিশ এসেই মা ও ছেলের নিথর দেহ স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেল কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করে ( ইন্নালিল্লাহে ... রাজেউন ) ।

ধারণা করা হচ্ছে , সম্প্রতি কেনা নিজ লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তৌহিদ মাকে গুলি করে হত্যা করার পর নিজেও মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপারে মেরিয়াট্টা পুলিশ ডিপার্টমেন্টে একটি অপমৃত্য রেকর্ড করা হয়েছে। 

গত ৬ জানুয়ারি শুক্রবার স্থানীয় আত্তাকোয়া মসজিদ প্রাঙ্গনে জুমার নামাযের পর মা ও ছেলের নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা ছাড়াও ভিনদেশি বহু মুসল্লি অংশগ্রহণ করে। পরে নিউটন কাউন্টিতে অবস্থিত মুসলিম কবর স্থানে মা ও ছেলের লাশ দাফন করা হয়। এই ঘটনায় পুরো জর্জিয়া বাংলাদেশী কম্যুনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে।


শেয়ার করুন