২৯ মার্চ ২০১২, শুক্রবার, ০৯:৪০:০২ অপরাহ্ন


ধন্যবাদ মইনুল
৩৮ বছর পর স্বপ্ন পূরণ এস্টোরিয়ায় জালালাবাদ ভবন
দেশ রিপোর্ট:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০১-২০২৩
৩৮ বছর পর স্বপ্ন পূরণ   এস্টোরিয়ায় জালালাবাদ ভবন বক্তব্য রাখছেন মইনুল ইসলাম


দীর্ঘ ৩৮টি বছর। নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের যতো আঞ্চলিক সংগঠন আছে তার মধ্যে অতি পুরোনো এবং ঐতিহ্যবাহী সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন। একসময় কমিউনিটিতে মাদার সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়েও বেশি সদস্য ছিলো জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন মানেই প্রবাসের সর্বত্র উত্তেজনা। প্রবাসে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন মানেই ঐতিহ্যের ধারক এবং বাহক। জন্মের পর থেকেই এই সংগঠনের যারা নেতৃত্বে ছিলেন তারা জালালাবাদবাসীকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জালালাবাদ ভবনের। আর জালালাবাদবাসীও স্বপ্ন বুননে নিজস্ব স্থায়ী একটি ঠিকানার। এই পর্যন্ত জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের যারা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কার্যকরি কমিটির দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের অধিকাংশই প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন জালালাবাদ ভবনের। অনেকটা বাংলাদেশের রাজনীতির মতো। নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্যই তারা কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। নৌকায় করে নদী পার হবার পর যেভাবে বলা হয়- (মাঝি) নাইয়া শালা, একই অবস্থা জালালাবাদবাসীর ক্ষেত্রেও অনেকটা প্রযোজ্য। কারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েই তারা নেতা হয়ে যান। প্রতিশ্রæতির কথা আর মনে থাকে না। নির্বাচন আসে, নির্বাচন যায়। নেতা আসে, নেতা যায়, কিন্তু ভবনের দেখা পায় না জালালাবাদবাসী। দুঃখ যেন জালালাবাদবাসীর ললাটে লেপ্টে আছে। নির্বাচিত হয়ে অনেকে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ভবনের জন্য কয়েকবার ফান্ড রেইজিংয়ের আয়োজন করেছিলো। অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন, কিন্তু ভবনের আর ঠিকানা খুঁজে পাওয়া গেল না। সাবেক প্রয়াত সভাপতি কামাল আহমেদ ফিলাডেলফিয়াতে একটি বাড়ি ক্রয় করেছিলেন, তাও বিক্রি করা হলো বদরুল হোসেন খানের শাসনামলে। কীভাবে বিক্রি করলেন তা নিয়েও জালালাবাদবাসীর মনে নানা প্রশ্ন আছে? এর বড় প্রশ্নটি হচ্ছে তিনি কী গঠনতন্ত্র মেনে বিক্রি করেছিলেন? এখন তিনি গঠনতন্ত্র গঠনতন্ত্র বলে গলা ফাটাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়া গরম করছেন এমনও প্রশ্ন জালালাবাদবাসীর। একাট্টা করার চেষ্টা করছেন কার্যকরি কমিটি এবং জালালাবাদের ক্ষেত্রে যাদের হাতে নাটাই থাকে তাদের। জালালাবাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে যারা নির্বাচিত হন তারা নিজেদের মতো করে সংগঠন পরিচালনা করতে পারেন না, তাদের ওহি নাজিল হয় অন্য জায়গা থেকে। কার্যকরি কমিটির কারো কারো দায়িত্ব যেন নির্দেশ পালন করা। নির্দেশ পালন না করলেই যেন সর্বনাশ। চার খুঁটির ওপর দাঁড়ানো চেয়ারের কোনো খুঁটি না ভেঙে পড়ে। ঝামেলার কথা চিন্তা করেই জি হুজুর জাহাপনা, কর্তার ইচ্ছায় কীর্তন। সেই খেলাই এখন চলছে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ভবন ক্রয়কে কেন্দ্র করে।

জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে বদরুল-মইনুল প্যানেলের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মইনুল ইসলাম ঘোষণা করেছিলেন তিনি এবং তার প্যানেলে নির্বাচিত হলে তিনি জালালাবাদবাসীর স্বপ্ন পূরণ করবেন। জালালাবাদ ভবন করবেন। সেট ১০০ দিনের মধ্যে এবং এস্টোরিয়াতে। অবশেষে সেই মাহেদ্রক্ষণ এলো। মইনুল ইসলাম তার প্রতিশ্রæতি রক্ষা করেছিলেন। শপথ নেয়ার এক সপ্তাহ আগেই বিশেষ পরিস্থিতির কারণে এস্টোরিয়াতে ৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারে বাড়ি ক্রয় করলেন। সেই বিশেষ পরিস্থিতি মানেই ষড়যন্ত্র। গোপন বৈঠক হলো- মইনুল ইসলামকে এস্টোরিয়ায় বাড়ি ক্রয়ে অর্থ দেয়া হবে না। মইনুল ইসলাম পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করলেন তৎকালীন সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ এবং কার্যকরি কমিটির কাছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে ভবন ক্রয় করবেন এবং অর্থ দিবেন। ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল, মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ ও তৎকালীন কমিটিও জালালাবাদবাসীর ভবন হোক। তাদের ধ্যান-ধারণা, চিন্তা-চেতনা ছিলো একটি। আর সেটি হলো জালালাবাদবাসীর স্বপ্নের জালালাবাদ ভবন। যেখানে গোস্সা বর্তমান সভাপতি বদরুল হোসেন খান এবং কার্যকরি কমিটির একটি অংশ। এর মূল কারণ হচ্ছে ক্রেডিট তো আমার হচ্ছে না। উপায় কী? বল চলে গেল গুরুর কাছে। সাথে যুক্ত হলো সাবেক কিছু কর্মকর্তা। জালালাবাদ ভবন হচ্ছে আমাদের নাম থাকবে না, সব ক্রেডিট অন্যরা নিয়ে যাবে- এতো বছর জালালাবাদের সাথে ছিলাম, এখন আমরা নেই, এটা কী করে সম্ভব? মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। না, এটা হতে দেয়া যাবে না। সিদ্ধান্ত দেয়া হলো আমরা ভবন চাই না, অর্থ ফেরত চাই। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন কার্যকরি কমিটি সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, সৃষ্টি হলো অচলাবস্থা। গেল উপদেষ্টা পরিষদের কাছে, তারা জানিয়ে দিলেন ভবন চাই না, অর্থ চাই। এই সিদ্ধান্ত দেয়ার তারা কে? উপদেষ্টা পরিষদ যদি সমস্যার সমাধান করতে পারেন, তাহলে সেই সিদ্ধান্ত হবে সাধারণ সভায়। সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত না দিয়ে অর্থ ফেরত চেয়ে তারাও বিতর্কিত হলেন এবং বুঝিয়ে দিলেন তাদের অবস্থান- ‘ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না।’

জালালাবাদ ভবনটি ক্রয় করার পর সম্পূর্ণ রিনোভেশন করা হলো। রিনোভেশন শেষে সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম জালালাবাদবাসীকে আমন্ত্রণ জানালেন ভবনটি পরিদর্শনের জন্য। দিনটি ছিলো ৮ জানুয়ারি। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সময় দেয়া হলেও তার আগে থেকেই জালালাবাদবাসী আসতে থাকেন তাদের স্বপ্নের ভবনে। আনন্দ-উচ্ছ¡াস যেন সকলের মুখে এবং চোখে। সেই আনন্দ-উচ্ছ¡াসেই জালালাবাদবাসী সময় কাটিয়ে দিলেন মধ্যরাত পর্যন্ত। জালালাবাদবাসীর উপস্থিতিতে একসময় পুরো অডিটোরিয়াম কানায় কানায় ভর্তি হয়ে যায়। আবার অনেকেই নিজের অনুভ‚তি জানিয়ে চলেও গেলেন। ভাগ্য ভালো তারা চলে গিয়েছেন, তা না হলে স্থান সংকুলান হতো না। কোনো আনুুষ্ঠানিকতা ছাড়াও বক্তব্য দিয়েছেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শওকত আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুনেদ খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, সাবেক কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রানা ফেরদৌস চৌধুরী, সাবেক কোষাধ্যক্ষ আতাউল গনি আসাদ, সাবেক কর্মকর্তা ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাজি এনাম, খলিল আহমেদ, আসাদ উদ্দীন, শেখ জামাল, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট এম এন মজুমদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিলাল চৌধুরী, এ এফ মিসবাউজ্জামান, সাবেক প্রচার সম্পাদক এম এ করিম, আব্দুল জব্বার, মাসুক মিয়া, সাবেক কর্মকর্তা পংকি মিয়া, মওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী, রুমানা আহমেদ, মনির আহমেদ, জালাল আহমেদ, শাহ মিজান, ফারুক শামীম, মোদাব্বির হোসেন, আব্দুল রাজা, হাজি আব্দুল জব্বার, শামসুল ইসলাম, ইয়ামীন রশীদ, আযম চৌধুরী, এনায়েত হোসেন জালাল।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লায়েক খান, আবুল হাশেম হাসনু, এবাদ চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী একেএম ফজলুল হক, মাখন মিয়া, মইনুজ্জামান চৌধুরী, রানা চৌধুরী, শোটাইম মিউজিকের আলমগীর খান আলম, জে মোল্লা সানি, সৈয়দ ইলিয়াস খসরু, আতিকুল ইসলাম জাকির, শাহীন কামালি প্রমুখ।

সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই ভবনের মর্টগেজ মাসে সাড়ে ৫ হাজার ৪শ ডলার। ২টি ফ্লোর থেকে ভাড়া পাচ্ছি-পাবো মাসে সাড়ে ৬ হাজার ৮শ ডলার। এ দিক থেকে আমরা লাভে আছি। ভবনের ওয়াকিং বেজমেন্ট সংগঠনের অফিস হিসেবে ব্যবহার হবে। জালালাবাদ ভবন চলবে নিজস্ব আয় থেকেই। বেজমেন্টের এই অত্যাধুনিক হলরুমটি দেখছেন তা সিলেটের ১১টি উপজেলাবাসীর জন্য উন্মুক্ত। তারা বিনা পয়সায় এটি ব্যবহার করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক কমিটির সভাপতি হেলাল চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শেফাজ ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামের প্রচেষ্টায় কুইন্সের এস্টোরিয়ায় ভবনটি ক্রয় করা হয়। এ ভবন ক্রয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান মইনুল ইসলামের। এটি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রæতিও ছিল। প্রবাসী সিলেটবাসীরা মনে করেন তার প্রাণপন চেষ্টাতেই এ ভবন কেনা সম্ভব হয়েছে। মইনুল ইসলাম জালালাবাদবাসীর লালিত স্বপ্ন ৩৮ বছর পর পূরণ করেছেন, সে জন্য ধন্যবাদ মইনুল ইসলাম। তারা আরো বলেন, অতীতে অনেক কথা শুনেছি, প্রতিশ্রæতি শুনেছি কিন্তু কেউ প্রতিশ্রæতি রক্ষা করেননি। মইনুল ইসলাম আমাদের ভবন উপহার দিয়েছেন। যে কারণে যতোদিন এই ভবন থাকবে, ততোদিন তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তারা বলেন, ভবন ক্রয়ের সময় যদি কোনো ভুলত্রæটি হয়ে থাকে, তাহলে সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে তা দূর করা হবে। কিন্তু আমরা এই ভবন চাই। আমরা ভবন ছাড়বো না। সমস্যা থাকলে তা সমাধান করা হবে। আমরা কারো কথায় বা নির্দেশে অর্থ ফেরত দেবো না। অতীতে ভবনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছি কিন্তু সেই অর্থ কোনো কাজে আসেনি। তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, অতীতে বাড়ি ক্রয় এবং অন্যান্য বিষয়ে নিয়েও গঠনতন্ত্র মানা হয়নি, এখন আমাদের যখন ভবন হলো তখন গঠনতন্ত্রের দোহাই দেয়া হচ্ছে। আসলে তারা জালালাবাদবাসীর জন্য ভবন চায় না। এক সদস্য বলেন, আমাকে কয়েকজন বললো- আপনি মইনুলের লোক, আপনি কেন যাচ্ছেন, উত্তরে তিনি বলেছিলেন, আমি জালালাবাদী সেই জন্য যাচ্ছি। অতীতে আমরা বিভিন্ন গ্রোসারির বেজমেন্টে অনুষ্ঠান করেছি, এখন আমাদের আর বেজমেন্টে যেতে হবে না। সকল সভা-সমাবেশে এখানেই করতে পারবো। তারা আরো বলেন, আমাদের ভয় দেখাবেন না, আমরা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করি না। এই ভবন আমরা চাই, এই ভবন থাকবে। হিংসা-বিদ্বেষ, প্রতিহিংসা, পরশ্রীকাতরতা এবং আঞ্চলিকতা পরিহান করুন। এই সংগঠন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সংগঠন নয়, এটা জালালাবাদবাসীর সংগঠন। এই ভবন নিয়ে রাজনীতি করা চলবে না এবং আমরা তা করতে দেবো না। প্রয়োজনে আমরা সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নেবো, সমস্যার সমাধান করবো। মইনুল ইসলাম যে স্যাক্রিফাইজ করেছেন, সে জন্য তার কাছে আমরা চিরকৃতজ্ঞ।

এদিকে সভাপতি বদরুল হোসেন খান সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের ভবন নয়। ভবনের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানাচ্ছে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক। যুক্তরাষ্ট্রস্থ জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব কোনো ভবন নেই। বর্তমান কার্যকরি কমিটি, প্রাক্তন কার্যকরি কমিটি কিংবা সম্মানিত উপদেষ্টা পরিষদ কারো দ্বারা এ ধরনের প্রক্রিয়ায়ও গ্রহণ করা হয়নি। কতিপয় ব্যক্তিবর্গ তাদের নিজস্ব নামে ক্রয়কৃত ভবনকে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ভবন হিসেবে পরিচিতি দিতে প্রাণান্তর চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে বলে আমরা জ্ঞাত হয়েছি। আমরা জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের কার্যকরি কমিটি এ ধরনের হীন উদ্দেশ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ধরনের অযাচিত উদ্যোগ প্রবাসী বৃহত্তর সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত সুশৃঙ্খল ও ঐতিহ্যবাহী মানবিক সংগঠনকে বিতর্কিত এবং বিশৃঙ্খল সংগঠনে পরিণত করার স্বার্থান্বেষী অপচেষ্টা বলে মনে করি। কোনো অপশক্তি দুষ্টচক্র কর্তৃক বৃহত্তর সিলেটবাসীর ঐক্য-সংহতির প্রতীক, বিশ্বময় সমাদৃত এ মহতী সংগঠনের নামে অপপ্রচার থেকে সাবধানতা ও দূরত্ব বজায় রাখতে আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে আহŸান জানাচ্ছি।’ তার এই বিবৃতিতে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন- জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে কোনো ব্যাংক ঋণ দেবে? জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ক্রেডিট স্কোর কী? মর্টগেজ পরিশোধ না করলে ব্যাংক কাকে ধরবে? যে কারণে প্রথমেই কোনো না কোনো ব্যক্তির নামে নেয়া হয়। বদরুল খানের নিজ এলাকা বিয়ানীবাজারের ভবনটিও ব্যক্তির নামে। নিউইয়র্কে বহু সংগঠনের বাড়ি ব্যক্তির নামে বা করপোরেশনের নামে।


ভবন দেখতে আসা জালালাবাদবাসী

এমনকি মসজিদ-মন্দিরও। কোনো সংগঠনের জন্য মর্টগেজ ব্যয় অর্থ দেয়া না। যদি লোনের পুরো অর্থ পরিষদ করা হয় তাহলেই তা সংগঠনের নামে করা সম্ভব। অনেকেই বলেছেন, এটা বদরুল হোসেন খানদের অহেতুক প্রশ্ন? ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করে জালালাবাদবাসীকে বিভ্রান্ত করার অচেষ্টা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন