১৯৯২ পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের কর্নার্ড টাইগার বিশ্বকাপ জিতেছিল এমসিজিতে। ফাইনাল জিতেছিল তারা ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে। ইমরানের দল,দলের অবস্থান আর এবারের টি ২০ বাবরের দলের মধ্যে অদ্ভুত সাদৃশ্য দেখতে পাচ্ছি। ১৯৯২ ইংলন্ডের সাথে গ্রুপ পর্যায়ে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যাক্ত না হলে পাকিস্তান সেমী ফাইনালে যেতে পারতো না।
এবারেও গ্রুপ পর্যায়ের খেলার শেষ দিন নেদারল্যান্ডস দক্ষিণ আফ্রিকাকে ছিটকে না দিলে, পাকিস্তানের সুযোগ সৃষ্টিই হতো না সেমিতে ওঠার। সেবারেও বৃষ্টি আইনে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিতে উঠেছিল পাকিস্তান। এবং সেমী ফাইনাল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল এবারের মতো নিউজিল্যাণ্ড। ’৯২ বিশ্বকাপে ওয়াসিম আকরামের মতো এবার আছে শাহীন শাহ আফ্রিদি। ইনজামামের মতো ধুম ধারাক্কা ব্যাটিং করছে চৌকষ খেলোয়াড় শাদাব খান। টুর্নামেন্টে বাবর আজম আর রিজওয়ানের ব্যাট থেকে ভালো ইনিংস পাওনা হয়ে গেছে।
নজর থাকবে/
ইনজুরি থেকে ফেরায় সুবিধা করতে না পারলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে নিজেকে জানান দেন শাহীন শাহ আফ্রিদী। ছবি সংগৃহীত
মিডল অর্ডারে শান মাসুদ, ইফতিখার ভালো ব্যাটিং করছে। ঠিক সময় জ্বলে উঠেছে পাকিস্তান। ওরা ঠিক তেমনি যেমন হয় বাঘ রক্তের স্বাদ পেলে। যদি পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে আর ইংল্যান্ড ভারতকে হারায় এমসিজিতে আবার ফাইনালে সেই ’৯২ এর প্রতিচ্ছবি। মুখোমুখী হবে ইংল্যান্ড পাকিস্তান। ঠিক, যেমন হয়েছিল ১৯৯২। সাম্প্রতিক সময়ে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের রেকর্ড অনুকূলে।
নিউজিল্যাণ্ড ও কিন্তু এখন সহজ দল নয়। ট্রেন বোল্ট ,টিম সৌদি, ফার্গুসন তুখোড় বলার। ফিন অ্যালেন, কোনওয়ে , কেন উইলিয়ামসন , মিচেল ,জিমি নিশাম ভালো ব্যাটিং করছে। কিন্তু ফর্মে ফেরা শাহীন আফ্রিদি, দুরন্ত হারিস রউফ, ওয়াসিম জুনিয়র বা শাদাব খানকে কতটুকু সামলাতে পারবে তা সন্দেহ আছে। পাকিস্তান যদি ১৬০ রান করে তাহলে তুখোড় বোলিং নিয়ে ওরা হয়তো জিতে যাবে।
নজর থাকবে/
সিডনিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গ্লেন ফিলিপস ধ্বংসত্বক ব্যাটিং করে সংগ্রহ করেছিলেন ১০৪। ব্রিসবেনে েইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ছিল তার ৬২ রান। ছবি সংগৃহীত
আমি ব্রিসবেন, গ্যাবায় নিউজিল্যাণ্ড ইংল্যান্ড খেলা দেখেছি। ওদের অজেয় মনে হয় নি। পাকিস্তান কিন্তু অনেকটা দুর্ভাগ্যজনক ভাবে হেরেছে ভারত আর জিম্বাবোয়ের কাছে। দুরন্ত ভাবে ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশকে একই ধ্বংস করেছে আফ্রিদি। মোমেন্টাম এখন পাকিস্তানের। ইংল্যান্ড অথবা ভারত যে কোনো দল ফাইনালে আসুক পাকিস্তান এগিয়ে থাকবে। ভারত পাকিস্তানের যায় একটি দ্বৈরথ হয়তো কামনা করছে আইসিসি। তবে সব কিছু যেন ফেয়ার ভাবে হয় এটি কামনা।
টি২০ ক্রিকেটে দুই দলের মধ্যে ২৮ বার সাক্ষাত ঘটে। এতে ১৭ ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান। ১১ বার জিতেছে নিউজিল্যান্ড। এ আসরের আগে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্টিত ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালেও পাকিস্তান ৫ উইকেটে জিতেছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। যদিও সে ম্যাচে ছিলেন না শাহীন শাহ আফ্রিদী।
সবমিলিয়ে একটু আগামই ধারনা যে ইমরান খানের কর্নার্ড টাইগারের মতো বাবরের কোনঠাসা পাকিস্তান বিশ্বকাপ জয় করলে বিস্মিত হওয়ার কিছু থাকবে না।