২৯ মার্চ ২০১২, শুক্রবার, ০৮:৪৫:১৩ অপরাহ্ন


বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এলো রিজার্ভ চুরির মামলার রায়
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০১-২০২৩
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এলো রিজার্ভ চুরির মামলার রায়


সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া রিজার্ভের মামলার রায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এসেছে। এখন থেকে চুরির সাথে জড়িত ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি) ও অন্যান্য ১৮ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের আদালতে মামলা পরিচালনায় কোনো বাধা থাকলো না। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক নিউইয়র্কে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টে (স্টেট কোর্ট) আরসিবিসি ও অন্যান্য ৬ জন বিবাদীর দায়ের করা ‘মোশন টু ডিসমিস’ আবেদন ১৩ জানুয়ারি আদালত খারিজ করে দেয়। একইসঙ্গে অভিযুক্ত কিম অংয়ের দায়ের করা মোশন টু ডিসমিসও খারিজ করে আদালত। এর ফলে মামলা পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর কোনো বাধা থাকলো না।

এর আগে ২০১৯ সালে চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর দি সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্কে আরসিবিসিসহ ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলাটি দায়েরের পর আরসিবিসিসহ ৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ‘মোশন টু ডিসমিস’ আবেদন করেছিল। এরপরে ২০২০ সালের মার্চ মাসে ফেডারেলা আদালত ফিলিপাইনের বিভিন্ন বিবাদীর দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়ে মামলাটি ফেডারেল কোর্টের পরিবর্তে স্টেট কোর্টে পরিচালনা নির্দেশ দেয়।

এর পরে বাংলাদেশ ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টে আরসিবিসিসহ ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এখানে মামলাটি দায়ের করার পর ৬ জন বিবাদী ফেডারেল কোর্টের মতো মোশন টু ডিসমিস আবেদন করে। বিবাদীপক্ষের আবেদনের বিষয়ে ২০২১ সালের ১৪ জুলাই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি স্টেট কোর্ট বিবাদীদের দায়ের করা মোশন টু ডিসমিস খারিজ করে দেয়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে নিউইয়র্কের ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬২৩ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১০ কোটি টাকা) চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দুই কোটি ডলার শ্রীলঙ্কা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি আট কোটি ডলারের বেশি ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চলে যায়। ওই অর্থ এখনো ফেরত পায়নি বাংলাদেশ। সেই অর্থ উদ্ধারেই মামলা চলছে নিউইয়র্কের আদালতে।

শেয়ার করুন