০১ মে ২০১২, বুধবার, ০২:৩২:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে এবার বন্দুকধারীর গুলিতে তিন আইনশৃংলাবাহিনীর সদস্য নিহত ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ


ছাত্রদল-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ
হঠাৎ কেন উত্তপ্ত ঢাবি ক্যাম্পাস
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৬-২০২২
হঠাৎ কেন উত্তপ্ত ঢাবি ক্যাম্পাস


 বেশ কিছু সময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পর ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের মধ্যকার সংঘাতকে কেন্দ্র উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড-খ্যাত ঢাকা

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। 

ছাত্রলীগ-ছাত্রদল উভয় রণ সজ্জায় সজ্জিত হয়ে মল্লযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লো। মিডিয়ায় কিন্তু উভয় দলের অ্যাকটিভিস্ট ক্যাডারদের হাতে মারণাস্ত্র, মাথায় হেলমেট দেখা গেছে। সেটি ছাত্রদল বা ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেতারা যতই শাক দিয়ে ভাত ঢাকার চেষ্টায়ই করুক না কেন? বিএনপি এবং কয়েকটি প্রান্তিক দল ক্রমাগত সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করার কথা বলেও আন্দোলন জমাতে পারছে না। জনগণ আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিচ্ছেনা। অপরদিকে সরকারি দল যে কোনোভাবে বিরোধীপক্ষকে আন্দোলনের মাঠে প্রতিহত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এমন পরিস্থিতি কেন, কাদের ইঙ্গিতে ঢাবিতে সংঘর্ষের মহড়া- বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়।

তবু সৌভাগ্য লাশ পড়েনি। যেটি দায়িত্বহীন রাজনৈতিক নেতারা সবসময় কামনা করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য। আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং সরকারকে অনুরোধ করবো, কোনোভাবে যেন অস্থির ছাত্ররাজনীতির কারণে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত না হয়। হলে বিরোধীপক্ষের থেকে সরকারেরই ক্ষতি বেশি হবে। কেননা আমরা জানি, ভাষা আন্দোলন, এগারো দফা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, এরশাদ খেদাও আন্দোলন- সূচিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে। ছাত্ররা সুস্থধারার রাজনীতি করুক সেটি দেশ জাতির জন্য মঙ্গলের। ইদানীং ছাত্ররাজনীতি বলতে ভর্তিবাণিজ্য,চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাণিজ্য। ছাত্ররা এখন পড়ালেখা থেকেও অনেক সময় কাটায় মাদক, ড্রাগস নিয়ে। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম সীমিত। 

সবাই জানি শিক্ষার মান, শিক্ষক, ছাত্রদের মেধা মননশীলতার বিচারে অনেক পিছিয়ে এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬০, ১৯৭০,১৯৮০ দশক থেকে। অন্যান্য কারণের অন্যতম সুস্থধারার ছাত্ররাজনীতির অনুপস্থিত। ১৯৭৫-এর পর থেকে এপর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাসকদলের বিশেষ প্রচেষ্টা দেখেছে। যেভাবেই হোক, আধিপত্য বজায় রাখা।ছাত্ররাজনীতির স্বতঃস্ফূর্ত প্রবাহ রুদ্ধ করা। সামরিক একনায়করা ছাত্ররাজনীতিকে ভয় পেতে পাওে, কিন্তু গণতান্ত্রিক সরকারের ভয় কেন?

সম্প্রতি একটি ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দুই প্রধান ছাত্র সংগঠনের দুই কেন্দ্রীয় নেতার বাহাস শুনছিলাম। ওরা এখন তোফায়েল ভাই, মেনন ভাই, রব ভাই, নূর আলম সিদ্দিকী, মাখন ভাইদের মতো গুছিয়ে কথাও বলতে পারেনা। শুনলাম, একজন বলছে তার দলের কেউ অস্ত্র নিয়ে মহড়া করেছে প্রমাণ করতে পারলে ছাত্ররাজনীতি ছেড়ে দিবে। কেউ একজন রাজনীতি করলো বা নাইবা করলো কার কি আসে যায়? আর এখন শাসক দল এবং দলের সকল সংগঠন হাইব্রিড নেতায় ভরা। অনেক ছাত্রশিবির নেতাও চুপিসারে অন্য পরিচয়ে ছাত্রলীগ করে। তাই মাঠে কোন অ্যাকটিভিস্ট অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে, তাকে সাধারণ অর্থেই সন্ত্রাসী বিবেচনা করে আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রশ্ন পক্ষপাতিত্ব করলেই সমূহ বিপদ।

অনুমান করতে পারছি,পদ্মাসেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ করে একটি মহল চাইছে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করণ। এ সময় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বিশেষভাবে সজাগ থাকা উচিত হবে বলে মনে হচ্ছে। কারণ এমন একটা সুন্দর পরিবেশ বা বাংলাদেশের জন্য আনন্দঘন মুহূর্তে যেন কোনো অশুভ চক্র আনন্দটা মলিন না করতে পারে। ঝামেলা তৈরি করতে না পারে।


শেয়ার করুন