২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০২:০১:০৪ অপরাহ্ন


ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে দেশ
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০২-২০২৩
ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে দেশ বিএনপির জনসভা ও আওয়ামী লীগের র‌্যালি


সারা দেশে একের পর এক অহিংস আন্দোলন পালন করছে বিএনপি। অপরদিকে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের পক্ষ থেকেও নানান ধরনের হুমকির পাশাপাশি চলছে পাল্ট কর্মসূচি দেয়া। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে দেশে ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন । অপরদিকে বিশ্বের এমন সঙ্কটকালীন সময়ে দেশে বিদেশে আওয়ামী লীগের জন্য গুড ইমেজ রাখা চেষ্টা দুরূহ হয়ে উঠতে পারে। 

গতবছর থেকে বলা চলে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে একের পর কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। এর আগের বছরগুলিতে কর্মসূচিগুলিতে কিছুটা উত্তেজনা বা বিক্ষুদ্ধ ভাব প্রকাশ পেলেও বর্তমান বিশেষ করে গত দুই বছরে সময়ে বিএনপি’র ভিন্ন রূপ দেখা গেছে। এসব কর্মসূচিকে এক প্রকার ধরে নেয়াই হয়েছে যে বিএনপি আসলে অংহিস আন্দোলন করেই তাদের দাবি আদায় করতে চায়, যা দেশ বিদেশে বলা যায় সমাদৃত হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি’র অংহিস সমাবেশ এখন কতটা অহিংস থাকবে তা সঠিক করে বলাও যাচ্ছে না। কারণ একের পর পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সরকার পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ফেলছে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করেন। যদিও আওয়ামী লীগের দেয়া পাল্টা কর্মসূচি বা অবস্থান মোকাবেলায় দলের নেতাকমীদের শান্ত থাকারও পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি। 

সরকারি দলের শান্তি সমাবেশের ভাষা...

এখন দেখা যাক বিএনপি’র অহিংস আন্দোলনের বিপরীতে কি করছে এবং এর পাশাপাশি বক্তৃতা বিবৃতির ভাষা ব্যবহার করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ?  বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর চলমান আন্দোলনের বিপরীতে বিভিন্ন এলাকায় ’শান্তি সমাবেশ’ নামে কর্মসূচি পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে ১১ ফেব্রুয়ারি ’শান্তি সমাবেশ’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। একই দিন সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি ছিল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আগামী ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকায় নতুন করে দুই দিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এদিকে শান্তি সমাবেশ উপলক্ষে দেশের ৪০ জেলায় সফর করবেন বলেও ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগের ৫৩ কেন্দ্রীয় নেতা। তবে চমকপ্রদভাবে আওয়ামী লীগ কর্মসূচিও স্থগিত করে ফেলে বিএনপি’র মত। বিএনপির পর আওয়ামী লীগও গত বৃহস্পতিবার তাদের ডাকা সমাবেশ স্থগিত করেছে। বিএনপির ছিল পদযাত্রা। আর ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ছিল শান্তি সমাবেশ। বিএনপি ‘তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ায় গভীর শোক, সমবেদনা, সহমর্মিতা জ্ঞাপন করে’ তাদের পদযাত্রা স্থগিত করেছিল গত বুধবার গভীর রাতে। আর পরেদিন সকালে একই কারণ দেখিয়ে সমাবেশ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। 

ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে.... 

অন্যদিকে এর আগে ও পরে বিভিন্ন শান্তি সমাবেশ ডেকে আওয়ামী লীগের নেতারা অত্যন্ত কড়া ভাষায় কথাও বলছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক সম্প্রতি বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বের বিস্ময়। ক্ষমতার লোভে বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে বারবার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের পাত্তা দেননি। তারা বরাবরই শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।’ এ সময় তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেই ফেলেছেন, ‘ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে গণতান্ত্রিক পথে আসুন। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে এর ফলাফল ভালো হবে না।’ 

আমরা দেখে নেব...

অপরদিকে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘বিএনপি উল্টো আমাদের অত্যাচারী এবং কর্তৃত্ববাদী সরকার হিসেবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছে। তাদেরকে এত রাজনৈতিক সুযোগ দেওয়ার পরও তারা আমাদের বলছে, আমরা নাকি কর্তৃত্ববাদী সরকার, অত্যাচারী সরকার।’ বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে শেখ ফজলে শামস বলেন, ‘তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে ওস্তাদ। তাদের পারদর্শিতা কোনোভাবেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। আরেকটা ব্যাপারে তারা পারদর্শী। মিথ্যাচারের রাজনীতি, প্রোপ্রাগান্ডার রাজনীতি। আমরা দেখে নেব, তারা কীভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে।’ 

ধাওয়া-পাল্টা....

অন্যদিকে নিত্যপণ্যের দাম কমানো এবং বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে গতকাল শনিবার দেশজুড়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিরোধী দল বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বড় সংঘাতের ঘটনা ঘটে জামালপুর ও সিরাজগঞ্জে। জামালপুরের কয়েক জায়গায় পদযাত্রা কর্মসূচিতে হামলা করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এতে বিএনপির কমপক্ষে ৪০ নেতাকর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ও টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নে শান্তি-সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। এ ছাড়া ১৩টি মোটরসাইকেল এবং বেশকিছু দোকান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

অংহিস সমাবেশে গিয়ে নাতির বয়সের কাছে মার খাওয়া...

এদিকে অংহিস আন্দোলন করতে গিয়ে মারাত্মকভাবে নাজেহাল হচ্ছেন বিএনপি’র তরুণ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ নেতারা। কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম সম্প্রতি এমন ঘটনার স্বীকার হয়ে গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘বারবার অনুরোধ করছিলাম, আমার বয়স ৭১ বছর। আমার হার্টের সমস্যা আছে। তবু তারা শুনল না। হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। চার-পাঁচটা আঘাত শরীরে লাগে। বাম হাতের চারটি আঙুল ও কনুইয়ে লাগে। ফুলে যায়। যারা পেটাল, তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। আমার নাতির চেয়ে কম বয়স। বাস থেকে একজন একজন করে নামিয়ে পেটাল।’ তিনি উপজেলা বিএনপির ২ নম্বর সহসভাপতি, একই ইউপির তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১০ দফা দাবিতে খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাসের একটি বহর থামিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই বহরে সামনের বাসের যাত্রী ছিলেন সিরাজুল। কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কোনো এমন করছে আওয়ামী লীগ 

প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কেনো আওয়ামী এখন বিএনপি’র ডাকা কর্মসূচির বিরুদ্ধে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে? সরকারি দলটি দেশে বিদেশে বিভিন্নভাবে বলে এসেছে যে বিএনপি দেশে সাম্প্রদায়িক দলকে মাঠে নিয়ে সারা দেশে সহিংস কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে বিদেশে তথ্য চিত্র উপস্থাপন করে ক্ষমতাসীন সরকার কূটনৈতিক মহলে এটা বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে বিএনপি বাংলাদেশে সহিংস আন্দোলন করে যাচ্ছে। অনেকে এমন কথা বলতে শোনা গেছে বিএনপি’কে জামায়াতের কাতারে ফেলে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সহানুভূতির পাশাপাশি সমর্থন লুফে নিয়েছে। কিন্তু বিএনপি এখন দেশের স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক দল জামায়াতকে পরিহার করেই সমমনাদের নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করছে। বলা চলে বিএনপি এই কর্মসূচি চলাকালে অনেক নেতাকর্মী হারিয়েও অহিংস আন্দোলনে দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্ত তারপরেও সরকার বিএনপি’র আন্দোলন নিয়ে নানান ধরনের মন্তব্য করে যাচ্ছে। পাল্টা কর্মসূচি দেয়ার পক্ষে যুক্তি খাড়া করেছে। বলা হচ্ছে সরকার পতনে বিএনপির আন্দোলনের লক্ষ্য ব্যর্থ হয়েছে। এবং আন্দোলন ব্যর্থ হলে বিএনপি আগুনসন্ত্রাসের দিকে ঝুঁকে পড়ে, অতীতে তার প্রমাণ রয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও সন্ত্রাসের সে আশঙ্কা এখনো রয়ে গেছে। এমন কথাই বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

আসল কারণ কি??

কিন্তু পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন আওয়ামী লীগ আসলে এখন শুধু প্রশাসন দিয়েই বিএনপিকে মোকাবেলায় খুব একটা ভরসা পাচ্ছে না বিভিন্ন কারণে। কেননা 'গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার' অভিযোগে বাংলাদেশের বিশেষ পুলিশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর ছয়জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ২০২১ সালের শেষের দিকে। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগ প্রসাশনকে দিয়ে আর বেশি ঝুঁকি নিতে বা ব্যবহার করতে চায় না বিশেষ করে বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির বিপরীতে। এই জন্যই তারা দলকে এভাবে মাঠে নামিয়েছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগ শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা মনে করেন মূল দলকে এভাবে সাইড লাইনে বসিয়ে রাখলে আওয়ামী লীগের জন্য সাংগঠনিক দিক থেকে ক্ষতিকর হতে পারে। তাই রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিক কাছে ব্যবহার করাই যুক্তিযুক্ত বলে তারা মনে করেন। যদিও বিএনপি’র কর্মসূচির বিপরীতে নেয়ার এধরনের কর্মসূচিকে দেশে বিদেশে কেউ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বলছে না। তবে অনেকে মনে করেন আওয়ামী লীগের এধরনের আচরণের পেছনে আরো কারণ আঝে। তারা মনে করে বিএনপি এবারে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কিছু একটা করবেই। তাই আওয়ামী লীগ দলের নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। আওয়ামী লীগর এমন আশংকার কথা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মুখে ফুটে উঠেছে। তিনি বলেছেন, আমরা চিৎকার করলেও আওয়ামী লীগ ভয় পায়, আবার নীরব থাকলেও ভয় পায়। তবে কেউ কেউ মনে করেন আওয়ামী লীগ চেষ্টা করছে উসকানি দিয়ে, হুমকি দিয়ে বিভিন্নভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণ কমসূচিকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য। এতে তারা আবারো বিএনপি’র বিরুদ্ধে পুরোনা অভিযোগ তুলে দেশে বিদেশে সুযোগ নিতে পারবে এই বলে যে দলটি (বিএনপি) একটি সন্ত্রাসী জণবিরোধী দল।

শেষ কথা...

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন দেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র মতো বড়ো দল একে অপরের সাথে রাজপথে এভাবে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠে দেশে ভিন্ন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়ে যেতে পারে, যা দু’টি দলের জন্যই ক্ষতিকর। এর পাশাপাশি দেশের জন্যও হবে চরম ঝুকিপূর্ণ। সম্প্রতি এমন কথাই ফুঠে উঠেছে বিএনপি’র মহাসচিবের মুখে। কেননা আওয়ামী লীগকে পাল্টা কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সম্প্রতি ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।  ক্ষমতাসীনদের দোষারোপ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এই পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে তারা কিন্তু গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। তারা চেষ্টা করছে একটি অনিশ্চয়তার দিকে বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে।


তবে এমন আশঙ্কার পাশাপাশিও রয়েছে আরো অন্যরকম প্রচ্ছন্ন হুমকি যা বিএনপি’র মহাসচিবের একটি উক্তির মধ্যে ফুটে উঠেছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি দাবি আদায় করতে পারবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল ইসলাম যখন বলেন, সম্ভব। অতীতে এ রকম হয়েছে। তবে আন্দোলনের যাত্রাই বলে দেবে তা কোন পথে যাবে, কীভাবে যাবে। মহাসচিবের এমন ধরনের উক্তিতে বোঝাই যাচ্ছে সরকার এভাবে পাল্টা কর্মসূচির পাশাপাশি হামলা সহ যাবাতীয় কার্যক্রম অব্যহত রাখলে বিএনপি অহিংস আন্দোলনে কতক্ষন থাকবে সেটাই! 

শেয়ার করুন