জিয়া পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কোন ভিত্তি না থাকা সত্ত্বেও মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি মনে মনে করেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডাক্তার জোবায়দা রহমান লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ করে দেওয়া আদেশ ফরমায়েশি বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। এ সময় শুক্রবার অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন তিনি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের লিভ টু আপিল আবেদন আপিল বিভাগ বিভাগীয় খারিজ হয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ডাক্তার জোবায়দা একজন অরাজনৈতিক চিকিৎসক ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর/ফাইল ছবি
তাকে দুদকের এই মামলায় জড়ানো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রতিহিংসামূলক। কোন ভিত্তি না থাকলেও শুধুমাত্র জিয়া পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে যে আদেশ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয়, বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রভাব বিস্তার করে এই ফ্যাসিবাদী সরকার রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্মূল করার হীন উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে এ কিভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
পরিকল্পিতভাবে সংবিধান গণতন্ত্র গণতান্ত্রিক চরিত্র ধ্বংস করে একদলীয় একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিচারবিভাগ সাংবিধানিক স্বাধীনতা রক্ষা না করে দলীয় সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যে চরিতার্থের জন্য বেআইনি জবরদখলকারী অনির্বাচিত সরকারকে অনৈতিক সহযোগিতা করছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
এলডিপি নিন্দা
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের লিভ টু আপিল আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর যে নির্দেশনা দিয়েছেন আপিল বিভাগ- এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে ২০ দলীয় জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসী ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন।
এক বিবৃতিতে তারা বলেন, জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে এই মামলা সম্পূর্ণ রুপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে দুদকের মামলা চালু করেছে। এর পেছনে ক্ষমতাসীনদের চক্রান্ত রয়েছে। বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয় ভবিষ্যতে জোবায়দা রহমান রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন এমন আশঙ্কা বৃত্তি থেকেই সরকার নতুন করে মামলাটি সামনে এনেছেন।